শাতিলের পাতায় আপনাকে স্বাগতম হাতে তেমন কোন জরুরী কাজ না থাকলে পড়ে দেখতে পারেন। কারন যতই পড়বেন ততই জ্ঞ্যান বাড়বে। সেটা যত অখাদ্য লেখাই হোক না কেন। ফেবুতে আমি http://www.facebook.com/nafissadique.shatil বাসে উঠেই একটা ধাক্কা খেলাম। না কারো সাথে ধাক্কা খায়নি ।
খেয়েছি নিজের সাথেই নিজে। আমার সিট নাম্বার B4। আমার সিটে একটা মেয়ে বসে আছে। ঠিক বসে আছে বললে ভুল হবে। ঘুমিয়ে আছে মনে হয়।
কি মেয়েরে বাবা । গাড়িতে উঠেই ঘুম।
-কিউজ মি
-জী। কিছু বললেন?
না জেগেই আছে। ঘুমের মধ্যে কথা না বলার সম্ভাবনা বেশি।
-হ্যা। বলেছি কিউজ মি।
-মানে কি?
-মানে এক্সকিউজ মি। বাংলা করলে হয় আমাকে ক্ষমা করুন।
-ক্ষমা করবো কেন? আপনার সমস্যা কি বলুন তো?
যাহ বাবা আমার সিটে বসে আছে আবার আমাকেই ঝাড়ি দেয়।
-আমার সমস্যা হল আপনি আমার সিটে বসে আছেন। কথা না বাড়িয়ে সিটটা ছাড়ুন। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে হাটু খুলে গেল।
-আপনি প্লিজ আমার টায় বসুন না।
আহা কন্ঠে কি মধু।
এখন আমার ভাব নেয়ার পালা।
-না না সম্ভব না। আমি জানালার পাশের সিট ছাড়া বসি না। ৫০ টাকা বেশি দিয়ে এই দুর্দিনে টিকেট কাটছি।
-আমি আপনার ৫০ টাকা দিয়ে দিচ্ছি।
-উহু। ৫০০ টাকা দিলে চিন্তা করে দেখতে পারি।
-আমার বমি হয় তো এই জন্যে বলছিলাম।
আহারে বেচারী। থাক ইট্টু আধটু সেক্রিফাইস না করলে তো মানুষ আর পশুর মধ্যে কোন পার্থক্যই থাকবে না।
এবার একটু ফাজলামি করা যাক।
-ও আপনার বমি বমি ভাব হচ্ছে? মাথা ঘুরছে? তেতুল নিয়ে আসব নাকি?
-নিয়ে আসুন
এই সেরেছে। কি বলে এই মেয়ে। আর কিছু বলার খুজে পেলুম না। এখন চুপ করে থাকাটাই ভাল।
-আপনি যাবেন কোথায়? সে নিজেই জিগ্যেস করল
-সিমাখালি। আপনি?
-আড়পাড়া।
-না আসলে আমিও ওখানেই যাব
অতঃপর ক্রুদ্ধ দৃষ্টি নিক্ষেপ করল রমনী। হয়ত মনে মনে ১০১ টা গালিও দিল। দিলে দিক আমার কি? আমার কাজ আমি করেই যাব।
কেউ আটকাতে পারবে না
-আপনি কি সব মেয়ের সাথেই এমন ফ্লার্টিং করেন?
যাহ বাবা। একেবারে ডাইরেক্ট একশন।
মাথা চুল্কে লজ্জিত স্বরে বললাম।
-এই একটু আধটু চেষ্টা করি আর কি।
সরল স্বীকারোক্তি অনেক মেয়ে পছন্দ করে।
ইনিও সেই রকমেরই কেউ। কাজ হয়েছে। উপহার স্বরুপ একটা হাসি।
তবে যাই বলেন হাসি টা কিন্তু চমৎকার।
তারপর .।
.। .। .। .। ।
।
-আপনার নাম?
-রাহুল। আপনি হুল বলতে পারেন। আমার আবার শর্ট কাট পছন্দ কিনা।
-রাহুল।
আপনি কি রাজিন নামে কাওকে চিনেন?
-আপনি কোন রাজিনের কথা বলছেন বলুন ত? আমার ভাইয়ার নাম ই তো রাজিন। আচ্ছা আপনার নাম টা বলুন তো।
মনে মনে দোয়া ইউনুস পড়ছি। আর প্রাণপনে দোয়া করছি নাম টা যেন তিথি না বলে।
-তিথি
খেলাম বাশ।
হ্যা । ঠিক ই ধরেছেন। উনি আমার ভাইয়ার গার্লফ্রেন্ড। আমার হবু ভাবী।
এখন তার সাথে কথা বলতেই লজ্জা করে।
আচ্ছা উনি কি এই ঘটনা মনে রাখবেন না ভুলে যাবেন??
খুব টেনশন এ আছি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।