চলন্ত বাসে এবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন চালক ও হেলপার। মানিকগঞ্জের মানরা এলাকায় গতকাল বেলা ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ চালক দিপু মিয়া (২৪) ও হেলপার আবুল কাশেমকে (২৩) গ্রেফতার করেছে। মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। বাসচালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে ওই তরুণী নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছে।
গ্রেফতার কাশেম সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের বিদু মিয়ার ছেলে এবং দিপু গুরকি গ্রামের আতরাফ হোসেনের ছেলে। সদর সার্কেল এএসপি কামরুল ইসলাম জানান, তরুণীটি আশুলিয়ায় গার্মেন্টে কাজ করে। দুপুর দেড়টার দিকে সে সাভারের নবীনগর থেকে গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর যাওয়ার জন্য মানিকগঞ্জগামী শুভযাত্রা পরিবহনের বাসে ওঠে। কিন্তু পথে চালক জানান, বাস বিকল হয়ে গেছে। এ সময় সব যাত্রী নেমে যায়।
তখন সে হেলপারের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তিনি ভাংতি নেই বলে অপেক্ষা করতে বলেন। কিছুক্ষণ পর বাসটি সচল হয়েছে বলে তাকে উঠতে বলেন। মেয়েটি গাড়িতে উঠলে বাসটি ধীর গতিতে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়। কিছুদূর যাওয়ার পর মানরা নামক স্থানে হেলপার বাসটি চালাতে থাকেন। আর চালক দিপু মিয়া মেয়েটিকে পেছনের সিটে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
পরে হেলপার আবুল কাশেমও তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর মানরায় রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। সেখানে বাদাম বিক্রেতা হান্নান মিয়া গাড়ির জানালা দিয়ে ধস্তাধস্তি করতে দেখেছেন। তিনিই তরুণীকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে থানায় খবর দেন। তবে স্থানীয়রা জানতে পেরে বাস চালক দিপু মিয়াকে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ করে।
কাশেম পালিয়ে গেলেও রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাভারের নবীনগর এলাকা থেকে তাকেও গ্রেফতার করা হয়। তরুণীটি এখন মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সম্প্রতি ভারতের রাজধানী দিলি্লতে চলন্ত বাসে এক মেডিকেল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হলে দেশবিদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
সকল পত্রিকার খবর একসাথে পড়তে এখানে ক্লিক করুন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।