শুক্রবারও দেখা গেল রাস্তার মাঝ বরাবর দাঁড়িয়ে থাকা হেফাজতের এই ‘ক্ষতকে’ পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে শত শত গাড়ি। এতে বেগ পোহাতে হচ্ছে চালকদের। সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অচিরেই এটিকে সরানো হবে। তবে কবে, আর কতদিন লাগবে- সে উত্তর মিলে না।
অবশ্য কেউ কেউ বাসটির পড়ে থাকাকে হেফাজতের ধ্বংসযজ্ঞের নিদর্শন হিসেবেও দেখছেন। তাদের বক্তব্য, ওই দিন হেফাজত কী ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল এটি তারই সাক্ষী হয়ে আছে।
পল্টন থানার ওসি গোলাম সারোয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তিনবার চেষ্টা করা হয়েছিল পুড়ে যাওয়া বাসটি সরানোর। কিন্তু বাসটি এতটাই পুড়েছে রেকার দিয়ে টেনে তোলার চেষ্টা করেও পারা যায়নি। ”
কেটে ছোট করে বাসটি সরানো হবে বলেও জানান তিনি।
গত ৫ মে দুপুর থেকে রাত পযর্ন্ত শাপলা চত্বরে সমাবেশের সময় পল্টন ও আশে পাশের এলাকায় পুলিশ ও হেফাজতকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। হেফাজতকর্মীরা সেদিন ওই এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। পুড়িয়ে দেয় ফুটপাতের দোকান, রাস্তার যানবাহন। আগুন দেয় ব্যাংকেও।
এ ঘটনায় মতিঝিল, পল্টন ও রমনা থানায় মোট ১৬টি মামলা হয়েছে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় ওইদিন পুলিশসহ ১২জন নিহত হয়েছেন।
ফুটপাতের হকার মাসুদ মিয়া বললেন, এই এলাকায় ওই দিন যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা শুধু এই বাসটিকে দেখলেই বোঝা যাবে না। প্রতিটি ভবনেই ক্ষত। তাদের ফুটপাতের দোকানগুলোও সেই আগের চেহারায় নেই।
তবে দুর্ঘটনা এড়াতে বাসটিকে সরিয়ে ফেলা উচিত বলে মত দিলেন তিনি।
আর মিরপুর-যাত্রাবাড়ি রুটের সিল্কসিটির হেলপার মো. রফিক জানালেন, হরতাল বা রাজনৈতিক কর্মসূচি মানেই গাড়ি পোড়ানো। অন্তত এই বাসটিকে দেখে জ্বালাও পোড়াওকারীদের মনে যদি এতটুকু দয়ামায়া হয়!
তাছাড়া পোড়া বাসটিকে ওই দিনের ঘটনার একটি নিদর্শন হিসেবেই দেখছেন তিনি, যা দেখলে যে কারো মনে ঘৃণা জন্মাতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।