আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কক্সবাজারে এসে জাবি'র ছাত্র হাসান আল সোহানের রহস্যজনক মৃত্যু

সমাজের প্রয়োজনকে ঘিরে যার জীবন আবর্তিত সেই তো প্রকৃত মানুষ
কক্সবাজারে বেড়াতে এসে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে সাগরে ডুবে আত্মহত্যার প্রচেষ্টা, অতঃপর জেলেদের দ্বারা উদ্ধার হয়ে মুমূর্ষূ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি, পরবর্তীতে হাসপাতাল থেকে পলায়ন এবং অবশেষে লাশ উদ্ধার। লাশ হওয়া এই যুবকের নাম হাসান আল সোহান (২৫)। মেহেরপুর সদর উপজেলার বড় বাজার এলাকার মো. বাবর আলীর ছেলে তিনি। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ছাত্র ছিলেন। থাকতেন শহিদ সালাম বরকত হলের ৩২১-নম্বর কক্ষে।

সোহানের বড় ভাই মো. জহির রায়হান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশন জট, রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ নানা কারণে হতাশাগ্রস্ত সোহান প্রায়ই আত্মহত্যার কথা বলতেন। কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে এসে আত্মহত্যা করার কথাও সহপাঠীদের বলতেন তিনি। গত ২৩ জুলাই তিনি কক্সবাজারের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন। থানা সূত্র জানায়, গতকাল বিকালে টেকনাফের বদরমোকাম এলাকায় নাফ নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন ও জেলেরা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

আজ শনাক্ত করা হয় লাশটি চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় টেকনাফ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া জাবি'র ছাত্র সোহানের। পুলিশ ও বড় ভাই সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারে বেড়াতে আসা জাবি'র ছাত্র হাসান আল সোহানকে সেন্টমার্টিনের বঙ্গোপসাগর থেকে মুমূর্ষূ অবস্থায় গত ২৫ জুলাই সকাল ৯ টায় উদ্ধার করে স্থানীয় জেলেরা। উদ্ধার করার পর তাঁকে সেন্টমার্টিনস্থ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বানৌজা বঙ্গবন্ধু জাহাজে নিয়ে যাওয়া হয়। কন্টিজেন্ট লে. রেজওয়ানের নেতৃত্বে জাহাজের সিনিয়র চিকিৎসক তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়।

২৫ জুলাই রাত ১১ টার দিকে তিনি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।