আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শুধু পরিবার নয় গোটা গ্রামবাসীই জেগে ছিল।



২১ তারিখ রাতে এসআই কফিলের জন্য তার পরিবার নয় গোটা গ্রামবাসীই জেগে ছিল। আহাজারি, হাহাকার আর কান্নার ধ্বনিতে বাতাস ভারি হয়ে উঠে। চোখের জলে ভিজে মধ্যরাত সাড়ে ১২টার দিকে সকলেই দাফন করে সৎ ও নিষ্ঠাবান পুলিস অফিসার এসআই কফিল উদ্দিনের লাশ। মঙ্গলবার পাবনায় চরমপন্থীদের হাতে নিহত হন কুড়িগ্রামের চিলমারীর সন্তান এসআই কফিল উদ্দিন। ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে নিঃস্ব পরিবারের সন্তান কফিল উদ্দিন ১৯৮২ সালে এসএসসি পাস করে পুলিশের চাকরী নেন।

চাকুরিরত অবস্থায় পাবনা এ্যাডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি ও বিএ পাস করেন মেধাবী কফিল। ৩ সন্তানের জনক কফিল উদ্দিনের স্বপ্ন ছিল মেয়েকে ম্যাজিস্ট্রেট, ২ ছেলেকে ডাক্তার ও সচিব করার। এ কারণে নানা প্রতিকুলতার মধ্যেও নিজে একা থেকে ছেলে-মেয়ের পড়াশুনার জন্য স্ত্রী রেবা খাতুন রংপুরের ভাড়া বাড়িতে থাকতো। একমাত্র মেয়ে কামরুন্নাহার মেধাবী ছাত্রী। সে এসএসসিতে জিপিএ-৫ এবং ২০১০ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে ক্যান্টপাবলিক কলেজ থেকে পাস করে।

বাবার আকস্মিক মৃত্যুতে মেয়ে কামরুন্নাহার রাবি, ছেলে রেজোয়ান আহমেদ রিয়াজ ও ইমতিয়াজ আহমেদ রাজের সামনে এখন শুধুই অন্ধকার। বাবা কফিল উদ্দিনের সব স্বপ্ন এখন শুধুই স্বপ্ন। হয়তো অধরাই থেকে যাবে তার ইচ্ছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.