জীবনটা যেন এক বর্ণীল প্রজাপতি
আজকে শংকর বাস স্ট্যান্ডের কাছে, হাসপাতালে ভাইকে রাতের ভাত দিতে গেছি রাত আটটার একটু পর। দিন হোক বা রাত হোক , গ্রীন রোডের কাছেও জব্বর ভীড়, যানবাহনের লাইন দেখে মনে হয় এরা চলবেনা, থেমে থাকার মহড়া দিচ্ছে যেন!
একেবারে গ্রীন রোডের সামনে হতে গনস্বাস্থ্য হাসপাতাল, তারপর ধানমন্ডি আট নাম্বার ব্রিজ, তারপর ধানমন্ডির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ মেডিকে্ল----কোথায় নেই জ্যাম? জ্যামের জ্বালায় জীবণ অতিষ্ট!
হাসপাতালে অসুস্থ ভাইকে রাতের খাবারটা সময়মত দিতে হলে বেরোতে হবে এক ঘন্টা হাতে রেখে, নইলে তার ওষুধ খাওয়ার সময় পেরিয়ে যাবে মনে করে বাসা থেকে খালামনিকে সাথে নিয়ে বের হোলাম রাত আটটার একটু পরে। কেবিনে পৌছে দেখি ঘড়িতে মাত্র বাজে পৌনে নয়টা।
আবার খাইয়ে দাইয়ে বের হয়ে রিকশাও পেয়ে গেলাম ঝটপট। বাসায় আসতে আসতে খালামনি বললো, "দেখ সনিয়া, আজব না?" আমি বল্লাম, "হু!"
যারা ভুক্তভোগী তারা তো জানেন, এতো একেবারে ইতিহাস!!! তাইনা? মাত্র ১৮ মিনিটে পৌঁছে গেছি বাসায়। ঢাকা শহরে এমনটা কি সচরাচর দেখা যায়?
খালামনি আর আমি আলোচনা করছিলাম, "হুম বুঝছি, সব শবে বরাতের হালুয়া বানাইতে বসছে।"
বাসায় ফিরেও রাতে নেট এ বসে অন্যান্য দিনের মত সবাইকে পেলাম না। তার মানে কি ওইটা শবেবরাতেরই শুভ ফল!!
সে যাই হোক, বিনা যানজটে ভাল একটা রিকশা জার্নি হয়ে গেছে। মানুষ কি বোকা নাকি! কি সুন্দর আকাশ! চাঁদের মুখ গম্ভীর থাকলেও প্রকৃতি যে সুন্দর হাওয়া ছড়াচ্ছিলো , এমন প্রতিদিনের আবহাওয়া হলে অফিস ফিরতি মানুষগুলোর খুব আরাম হতো।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।