বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তি হবার পর পরের দিন থেকেই মনের গভীরে একটা লুকায়িত স্বপ্নের বিজ বুনেছিল যে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতাকেই বেছেনিব পেশা হিসাবে। সে উদ্দেশ্যেই নিজেকে তৈরি করার জন্য আজ মা-বাবা, ভাই-বোন, সদ্য বিবাহিত বউ কে ছেড়ে পরে আছি বিদেশ বিঁভুইয়ে। যে মানুষগুলোর সান্নিধ্য আমার জীবনের চলার পথকে প্রভাবিত করেছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে প্রফেসর আবদুল্লা আবু সাইদ (যার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র) , প্রফেসর রেজা-ই করিম খন্দকার (বিভাগীয় প্রধান অর্থনিতি বিভাগ শাহ জালাল বিঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ) যিনি আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা ছেড়ে সিলেট এর এক প্রত্যন্ত এলাকায় পরিবার পরিজান ছেরে পরে আছেন, প্রফেসর জাফর ইকবাল(তার কথা নতুন করে নাই বা বল্লাম), প্রফেসর হাবিবুল অহসান ( বিভাগীয় প্রধান পদার্থ বিঞান বিভাগ শাহ জালাল বিঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ), প্রফেসর বদিউজ্জামান ফারুক (পদার্থ বিঞান বিভাগ শাহ জালাল বিঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ) যার মত সত মানুষ আমি আমার জীবনে খুব কমই দেখেছি। প্রফেসর রওশন আরা বেগম ( দর্শন বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ) যিনি তার প্যারালাইজড অসুস্হ স্বামীকে হাসপিটাল এর বেড এ রেখে স্বেচ্ছা শ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশ উনমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসগুলো বাদ দেন নি কখনও । এই সব শিক্ষকগুলোর নৈতিকতা, দায়িত্বকর্তব্যবোধ, উদারতা একজন অমানুষকে যেকোন মুহূর্তেই অনেকখানি মানুষ বানিয়ে দিতে পারে।
কিন্তু, যখন পত্রিকা খুলে দেখতে পাই "ত্রিশালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকার কক্ষে প্রক্টর ", তখন প্রিয় পেশার মানুষগুলোর নৈতিক অবক্ষয় মেনে নিতে খুবই কষ্ট হয়।
Click This Link
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।