maanush84@yahoo.co.uk
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুটপাটসহ বিভিন্ন অভিযোগে পিরোজপুরে করা দুটি মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
গত বছরের আগস্টে সাঈদীর বিরুদ্ধে পিরোজপুর সদর ও জিয়ানগর উপজেলার দুই ব্যক্তি বিচার বিভাগীয় হাকিম আদালতে মামলা দুটি করে। আদালত তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দুই থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়।
এই মামলা দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের জন্য বুধবার সদর থানার ওসি শেখ মো. আবু যাহিদ ও জিয়ানগর থানার মামলার তদন্তকর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবু জাফর হাওলাদার পিরোজপুর মুখ্য বিচার বিভাগীয় হাকিম আদালতে আবদেন করেন।
আবেদনে তারা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যকারিতা থাকায় মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সংঘটিত অরপাধের অভিযোগ দুটি ওই আদালতে স্থানান্তর করা হোক।
হাকিম চৌধুরী মাহবুব হোসেন আবেদন আমলে নিয়ে মামলা দুটি ওই ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের আদেশ দেন।
সদর থানার ওসি আবু যাহিদ সাংবাদিকদের জানান, আদালতের আদেশ অনযায়ী তারা মামলার কাগজপত্র আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠাবেন।
গত বছরের ৩১ আগস্ট জিয়ানগর উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলম বাদি হয়ে সাঈদীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
এই মামলায় অভিযোগ করা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় সাঈদীর নেতৃত্বে ওই গ্রামে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, বেশ কয়েকটি সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়ি-ঘরে লুটপাট চালায় হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর রাজাকাররা।
সাঈদীর বিরুদ্ধে ওই গ্রামের বিনাবালি নামের এক ব্যাক্তিকে নারিকেল গাছের সঙ্গে বেঁধে হত্যার অভিযোগও আনা হয়।
গত বছরের ১২ আগস্ট সদর উপজেলার চিথলীয়া গ্রামের মালিক পশারী মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যার অভিযোগে সাঈদীর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন।
এতে অভিযোগ করা হয়, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সাঈদীর নির্দেশে পাড়েরহাট বন্দরের নিরীহ অধিবাসী ইব্রাহিম হাওলাদারকে গুলি করে হত্যা করে রাজাকাররা। এই হত্যাকাণ্ড ও ওই এলাকায় লুটপাটের নেতৃত্ব দেন সাঈদী।
সাঈদীর বাড়ি জিয়ানগর উপজেলার সাউথখালী গ্রামে। তিনি পিরোজপুর-১ আসনের জামায়াতদলীয় সাংসদ ছিলেন।
সূত্র: বিডিনিউজ২৪.কম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।