আগামীর স্বপ্নে বিভোর...
আজ সারা বিশ্বেই এই দিনটি পালিত হয়ে থাকে চন্দ্র অবতরণ দিবস হিসেবে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রাত ১০ টা ৬৫ মিনিটে অ্যাপোলো ১১ মহাকাশযান থেকে চাঁদে প্রথম মানুষ হিসেবে পা রেখেছিলেন নিল আর্মস্ট্রং। চন্দ্রাভিযানে তার সঙ্গীরা ছিলেন মাইকেল কলিন্স এং এডউইন অলড্রিন।
পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ চাঁদ, এটি সৌরজগতের পঞ্চম বৃহৎ উপগ্রহ। পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে চাঁদের কেন্দ্রের গড় দূরত্ব হচ্ছে- ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০৩ কিলোমিটার।
চাঁদের ব্যাস হচ্ছে ৩ হাজার ৪৭৪ কিলোমিটার, আর এর আয়তন পৃথিবীর আয়তনের ৫০ ভাগের মাত্র ১ ভাগ। চাঁদ প্রতি ২৭.৩ দিনে পৃথিবীর চারদিকে আবর্তন করে থাকে।
১৯৬৯ সালের ১৬ জুলাই অ্যাপোলো-১১ নভোযানে চড়ে চন্দ্র জয়ের আশায় যাত্রা শুরু করেছিলেন তিন নভোচারী। নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে যখন অ্যাপোলো-১১ যাত্রা শুরু করেছিলো, তখন স্থানীয় সময় ছিলো সকাল ৯ টা বেজে ৩২ মিনিট। ১৯ জুলাই নভোযানটি পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে চাঁদের কক্ষপথে ঢুকে পড়ে।
অ্যাপোলো-১১ চন্দ্রযানের দুটি অংশ ছিলো। প্রথম অংশ হলো কমান্ড মডিউল আর বাকি অংশটি লুনার মডিউল। কমান্ড মডিউলের কাজ ছিলো চাঁদের কক্ষপথে পরিভ্রমণ করা আর লুনার মডিউলটি কমান্ড মডিউল ছেড়ে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছিলো।
লুনার মডিউলের নাম ছিলো ঈগল, আর কমান্ড মডিউলের নাম- কলাম্বিয়া। ২০ জুলাই ঈগল কলাম্বিয়া থেকে বিছিন্ন হয়ে চাঁদের বুকে নেমে আসে।
ঈগলে ছিলেন নিল আর্মস্ট্রং এবং এডউইন অলড্রিন। মাইকেল কলিন্সের দায়িত্ব ছিলো মূল যান কলম্বিয়াকে কক্ষপথে ধরে রাখার।
১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই রাত ১০ টা ৬৫ মিনিটে ঈগল থেকে চাঁদের মাটিতে নেমে আসেন স্পেসস্যুট পরিহিত নিল আর্মস্ট্রং। চাঁদের মাটিতে প্রথম পা রেখেই আর্মস্ট্রং ঘোষণা করেছিলেন-‘That’s one small step for(a) man, one giant leap for mankind.’ অর্থাৎ ‘ছোট এই পা ফেলাই মানব জাতির জন্য বিশাল পদক্ষেপ’।
চাঁদে এরপর তাকে অনুসরণ করেছিলেন এডউইন অলড্রিন।
তারপর সেখানে তারা সেখানে চাঁদের নুড়ি কুড়িয়েছিলেন, ছবি তুলেছিলেন। চাঁদের বুকে এঁকে এসেছিলেন মানুষের অহংবোধ। বীরের বেশে পৃথিবীতে ফিরে।
আজ সারা বিশ্বের মানুষ এই দিনটিকেই পালন করে চন্দ্র অবতরণ দিবস হিসেবে। প্রতি বছরের মতো এবছরও সারাবিশ্বে এই দিনটি পালিত করা হচ্ছে।
আমাদের দেশেও এই দিনটি মানবজাতির জন্য এক মর্যাদাপূর্ণ বিশেষ গৌরবের দিন হিসেবেই পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রসেজে আয়োজন করেছে অনুষ্ঠানমালা।
বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মশহুরুল আমিন জানিয়েছেন, চন্দ্র অবতরণ দিবস উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে ইশকুল অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াড ২০১০ প্রতিযোগিতার। এই প্রতিযোগিতা চলবে ৩ দিন। এছাড়াও ওয়েব সাইট উদ্বোধন, ফিল্ম শো, আলোচনা অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হয়েছে।
এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করছেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাঈদ। এ ছাড়াও‘আমাদের বিশ্ব’ এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন ডক্টর আলী আসগর।
খবরটা এখান থেকে প্রাপ্ত
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।