মানুষের জীবনে রোগ-শোক-জরা-ব্যাধি-মৃত্যু-হারানো থাকবেই... কিন্তু সবকিছু থেকে বড় হলো 'বেচেঁ থাকা' ... এই বেচেঁ থাকা দিয়ে সব কিছু জয় করতে হবে ।
রংপুরে এখন ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও সমান তালে মাদক গ্রহণ শুরু করেছে। শুধু তাই নয় অবস্থা অনেকটাই ভয়াবহ। যেসকল স্থানে মাদক এর কেনা-বেচা হয় সেখানে এখন মেয়েদের আনাগোণাও লক্ষ্য করার মতো। মেয়েরাও এখন ছেলেদের মতো অবাধে মাদক গ্রহণ করছে এবং তাদের শুরু টা ঘুমের বড়ি দিয়ে হলেও এখন তা মারাত্নক ক্ষতিকর স মাদকে পৌছে গেছে।
রংপুরের মাদকাসক্ত নিরাময়, গবেষণা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র ‘লাইট হাউস’-এর ব্যবস্থাপক গুলশান আরা ইয়াসমীন বলেন, রংপুরে মাদক নিচ্ছে এমন ছাত্রীর সংখ্যা একন অনেক। তাঁদের জরিপে দেখা গেছে, রংপুরে মাদকাসক্তদের ২০ শতাংশ নারী, যাদের ৭০ শতাংশ ছাত্রী। এদের বয়স ১৩ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে।
রংপুরে মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে অনেক গল্প শোনা যায়। অন্যান্য এলাকার চেয়ে রংপুরের গল্প আলাদা।
এখানে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরা আসক্ত হচ্ছে। এ নিয়ে ভীষণ কষ্টে আছে অনেক পরিবার। শহরের অনেকেই বলছেন, মেয়েরাও নেশায় জড়িয়ে পড়লে সমাজ, পরিবার কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?
পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও মাদক নিরাময় সংস্থাগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রংপুর শহরে আট থেকে ১০ হাজার তরুণ-তরুণী মাদকাসক্ত। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর মধ্যে রংপুর সবচেয়ে বেশি মাদকপ্রবণ এলাকা।
রংপুরে মাদক হিসেবে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় হেরোইন ও ফেনসিডিল।
এরপর আছে নেশার ট্যাবলেট বা ইনজেকশন ও গাঁজা। মাদকসেবীদের ৬৫ শতাংশের বয়স ১৮-৩৫ বছরের মধ্যে।
রংপুরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে
১) রংপুর মেডিকেল কলেজ,
২)কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও
৩)বেগম রোকেয়া মহিলা কলেজে মাদকসেবীদের সংখ্যা বেশি।
এ তালিকায় ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও রংপুর জিলা স্কুলও আছে। এসব প্রতিষ্ঠানে আসক্তদের মধ্যে ২০ শতাংশ ছাত্রী।
ছাত্রীরা বোরকা পরে মাদক কেনে।
শহরের ১১৭টি জায়গায় হরদম মাদক কেনাবেচা হয়। সবচেয়ে বেশি মাদক বিক্রি হয় স্টেশন রোডে। কলেজ রোড, টার্মিনাল, হনুমানতলা, ডিসি অফিস এলাকা, রেলওয়ে বস্তি, বাবুপাড়া, খামারপাড়া, আলমনগর, লালবাগ, চুরিপট্টি, আশরতপুর, এরশাদনগর, তাজহাট, মাহীগঞ্জ, শাপলা চত্বর, শালবন বেবিস্ট্যান্ড, বৈরাগীপাড়া, মডার্ন মোড়, পার্কের মোড়, ইসলামপুর, মেডিকেল পূর্ব গেট, মুলাটোল পাকার মাথা, কবরস্থান, কেল্লাবন্দ, শহীদ মিনার, সুরভি উদ্যান ও চিড়িয়াখানা এলাকা মাদক বিক্রির জন্য পরিচিত। শহরে খুচরা বিক্রেতার পাশাপাশি আছে ‘হোম সার্ভিস’।
ফোন করলেই বাড়িতে মাদক পৌঁছে দেয়।
মাদক নিরাময় কেন্দ্র ‘ফেরা’-এর পরিচালক আলমগীর হোসেন বলেন, রংপুরের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। দিনে দিনে এই পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।
আমাদের উচিত এখন থেকেই সতর্ক অবস্থান নেয়া, কারন রংপুরের ঘটনা আপনার জেলা বা শহরেও হতে পারে... এগিয়ে আসুন ।
মূল খবর
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।