ব্লগার পাঠক হিসেবেই বেশী আনন্দে আছি।
হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহ পাক উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে কোন এক রাত্রি যাপন করছিলাম। এক সময় উনাকে বিছানা মুবারকে না পেয়ে আমি মনে করলাম যে, উনি হয়তো অন্য কোন হুজরা শরীফ-এ তাশরীফ নিয়েছেন। অতঃপর আমি তালাশ করে উনাকে জান্নাতুল বাক্বীতে পেলাম।
সেখানে তিনি উম্মতের জন্য আল্লাহ পাক উনার নিকট প্রার্থনা করছেন। এ অবস্থা দেখে আমি স্বীয় হুজরা শরীফ-এ ফিরে আসলাম। উনিও ফিরে এসে আমাকে বললেন, আপনি কি মনে করেছেন, আল্লাহ পাক ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা আপনার সাথে আমানতের খিয়ানত করেছেন। আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি ধারণা করেছিলাম যে, আপনি হয়তো অপর কোন হুজরা শরীফ তাশরীফ নিয়েছেন। অতঃপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক শা’বানের পনের তারিখ রাত্রিতে পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন।
অর্থাৎ খাছ রহমত নাযিল করেন। অতঃপর তিনি বনী ক্বলবের মেষের গায়ে যত পশম রয়েছে তার চেয়ে অধিক সংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করে থাকেন। ” (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, রযীন) অতএব, সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ ‘শবে বরাত’-এর কথা উল্লেখ আছে। তবে কুরআন শরীফ-এ শবে বরাত-এর রাত্রকে ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’ আর হাদীছ শরীফ-এ ‘লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান’ বলা হয়েছে। যারা বলে কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ শবে বরাত-এর উল্লেখ নেই তাদের এরূপ বক্তব্য জিহালতপূর্ণ, মূর্খতাসূচক।
আর এ সমস্ত বক্তব্য যারা দিয়ে থাকে তারা নিশ্চয়ই বদ মাযহাব বদ আক্বীদা ও দাজ্জালের কাযযাবের অন্তর্ভুক্ত হবে। কাজেই এ সমস্ত বদ মাযহাব, বদ আক্বীদাভুক্ত ওহাবী, খারিজী, লা-মাযহাবী ইত্যাদি গুমরাহ লোকদের থেকে ঈমানকে হিফাজত করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরয-ওয়াজিব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।