বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমীর আলী আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষের বাসভবনের সামনের রাস্তায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তুহিনের হাত ও পায়ের রগ কেটে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।
ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তুহিনকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও সেখান থেকে রাত ১২ টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন।
তুহিনের বড় ভাই এস এম শাহিনুর রহমান শাহিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সকাল ৮ টার দিক পঙ্গু হাসপাতালে তুহিনের হাত ও পায়ে অস্ত্রোপচার শুরু হয়।
“ডান পায়ের কয়েক জায়গায় রগ কাটা পরায় তা জোড়া দিতে হিমসিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
বাম হাত, ডান পা, মাথা ও পিঠে জখম হওয়ায় তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। ”
রাজশাহীর মতিহার থানার উপ-পরিদর্শক শাহজাহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রাতের ওই ঘটনায় পুলিশ সকাল পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এ বিষয়ে একটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সৈয়দ আমির আলী হলে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা শেষে মাদার বখশ হলের দিকে ফিরছিলেন তুহিন ও কয়েকজন কর্মী। এ সময় মোটরসাইকেলে করে ৬-৭ জন শিবিরকর্মী সেখানে উপস্থিত হয়ে দুটি হাতবোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং এরপর তুহিনের ওপর হামলা চালায়।
তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তুহিনের মাথায় জখম করে বাম হাত ও ডান পায়ের রগ কেটে দেয় বলে অভিযোগ করেন রানা।
তিনি জানান, হাতবোমা বিস্ফোরণে শাওন নামে আরেক ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন।
তুহিনের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী নগরীর সোনাদীঘি এলাকায় বিক্ষোভ করে ছাত্রলীগ।
সেখানে ইসলামী ব্যাংকের একটি এটিএম বুথে আগুন দেয়া হলে পুলিশ ও দমকলকর্মীরা গিয়ে তা নেভায়।
আহত তুহিনের বিরুদ্ধেও সন্ত্রাসী তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
কিছুদিন আগে অস্ত্র হাতে তার গুলি ছোড়ার দৃশ্য সংবাদপত্রে প্রকাশিত হলে তা নিয়ে ছাত্রলীগ বেশ সমালোচনায় পড়ে।
তুহিনের ওপর হামলার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি পাহারা বাড়ানো হযেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান বলেন, “ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।