আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণবাদ



বর্ণবাদের রকমফের সাদা-কালোর দ্বন্দে ইতিহাস রক্তেরঞ্জিত হয়েছে বহু কাল ধরে বহুবার । বর্ণবাদ হারিয়ে যায়নি , প্রকাশ পেয়েছে নতুনভাবে , নতুন রুপে , নতুন সঙ্গার দাবি রেখে মানবতার কাছে । রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়া বর্ণবাদের স্বরুপ খুজে পাওয়া দুষ্কর সাধারণ মানুষের পক্ষে । আর যারা অসাধারণ মনে করে নিজেদেরকে , সভ্য-ভব্য বলে গলা ফাটিয়ে চিতকার করে নিজের পরিচয় জানান দিতে যারপরনাই ব্যস্ত তারাও হরহামেশা বর্ণবাদের চিপাগলিতে পড়ে , কিংবা নিজেই ভুলবশত কিংবা অজ্ঞতাহেতু বর্ণবাদী আচরণ করে বসে নিজের অজান্তেই । আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় নামক সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এ রোগের হাত থেকে মুক্ত নয় ।

এ রোগের সঠিক বিধান না করলে সাধারণে ছড়িয়ে পড়ে মহামারি দেখা দিবে ব্যাপকভাবে । তখন মানব সমাজের দৈন্যতার স্বরুপ বের হয়ে পড়বে আরেকবার । একটা উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে । বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার এক পরিচিত বিদগ্ধজন আছেন যিনি বর্ণবাদের শিকার হচ্ছেন সকরুণভাবে অনেকদিন ধরে । তার অপরাধ একটাই , তিনি একজন দার্শনিক কিন্তু সমসাময়িক ব্যতিক্রমতায় তার মাথায় টুপি আর বদনে দাড়ি আছে ।

অন্য আর সব ঠিক আছে এ সভ্য সমাজে চলার জন্য । এই সভ্য সমাজে যারা ধর্মনিরপেক্ষ দাবি করে নিজেদেরকে , ব্যক্তিস্বাধীনতার পক্ষে চিতকার চেচামেচি করে বেড়ায় তারাই হামলা করতে চায় ঐ নিরীহ ভদ্রলোকটির উপর । একটা মানুষের দাড়ি-টুপি থাকলে তার প্রতি ব্যবহার যদি পরিবর্তিত হয়ে যায় , অন্যেরা যেভাবে চলতে পারে তার জন্য যদি সেটা অপরাধ হয় , তাহলে সেটা বর্ণবাদই তো । আমার কাছে বর্ণবাদই মনে হয়েছে । আপনার কি মনে হয় ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.