আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শুধু সদস্যপদ রক্ষা নয়, আলোচনা করুন: প্রধানমন্ত্রী (ভিডিও)

বিরোধী দলের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কেবল সদস্যপদ রক্ষা নয়, সংসদে এসে আলোচনা করুন। ’
আজ শনিবার সকালে গণভবনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ পত্রিকায় দেখলাম, আর মাত্র সাত দিন সংসদে অনুপস্থিত থাকলে, অর্থাত্ ৯০ দিন হয়ে গেলে তাঁদের সদস্যপদ থাকবে না। আমি অনুরোধ করব, তাঁরা যেন সংসদে এসে আলোচনা করেন। শুধু সদস্যপদ রক্ষার জন্য একবার এসে উঁকি দিয়ে যেন চলে না যান।

উনি সংসদে এসে এক ঘণ্টা, দেড় ঘণ্টা, প্রায় দুই ঘণ্টার লম্বা একখানা বক্তৃতা দিয়ে চলে যান। ব্যস, হয়ে গেল! ওই স্টাইলটার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। আমরা চাই, ওনারা সংসদে থেকে যা বলার বলুন। অন্তত গণতান্ত্রিক একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আসুন। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রে যেভাবে নির্বাচন হয়, আমাদের নির্বাচনও সেভাবে হবে।

ওনার যদি কিছু বলার থাকে, বলুন। সেটাও আমরা বিবেচনা করে দেখব। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। যে গণতন্ত্র আমরা ফিরিয়ে এনেছি, সেই ধারা যেন অব্যাহত থাকে। আজ দেশের মানুষের পেটে যে দুটো ভাত যাচ্ছে, সেটাও ওনার পছন্দ হচ্ছে না।

যেন উনি একাই খাবেন, আর কেউ খাবে না। কাজেই মানুষ হত্যা, গাড়ি পোড়ানো, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, বিদ্যুেকন্দ্র জ্বালিয়ে দেওয়া—এসব বন্ধ করতে হবে। আর যদি এসব বন্ধ না করেন, তবে কীভাবে কঠোরভাবে দমন করতে হয়, সেটা আমরা জানি। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বললাম, আপনাদের যা কিছু বলার তা নিয়ে আলোচনা করেন। সংসদে এসে আলোচনা করেন।

আমি ওনাকে আলোচনায় ডাকলাম। উনি আমাকে দিলেন থ্রেট। ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলেন। মাদ্রাসার বাচ্চা বাচ্চা ছেলেদের ডেকে এনে বসালেন। তার আগের দিন মিটিং করে ডাক দিলেন ঢাকাবাসী নেমে আসো, বেরিয়ে আসো।

আমি জানতে চাই, কটা লোক ওনার ডাকে সাড়া দিয়ে বেরিয়ে এসেছিল। বললেন, পালাবার নাকি পথ পাব না। পথ আমরা পাব না, নাকি উনি পাচ্ছেন না? ওনার উদ্দেশ্যটা কী ছিল? আমরা গাছ লাগাই। উনি কেটে সব সাফ করে দিলেন। হাজার হাজার গাছ কেটে ফেললেন।

গাড়ি পোড়ালেন, মানুষ হত্যা করলেন। অর্থাত্, সাধারণ মানুষ যেসব জিনিস থেকে উপকার পায়, সেসব জিনিসের ওপর ওনার আক্রোশ বেশি। ’
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, ‘টেলিভিশনের টক শো, সংলাপে অনেকেই বলেন, দেশে পাসের হার বাড়লেও শিক্ষার মান কমে গেছে। আমার প্রশ্ন হলো, ওনারা মানটা কীভাবে নির্ধারণ করলেন? বসে বসে বড় বড় তত্ত্ব বলতেই পারেন। তবে আমরা শিক্ষার হার ও মান বাড়ানোর কাজই করে যাচ্ছি।


সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সতীশচন্দ্র রায়, আবদুল লতিফ বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা আলাউদ্দিন আহমেদ, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রমুখ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.