পতাকায় ফালগুন মানচিত্রে বসন্ত
তিনি একবার অশ্বথ ছায়ায় বসে বোধি পেয়েছিলেন
মানুষের জন্য অহিংস পরম-ধর্মচোখে তাকিয়েছিলেন-
পৃথিবীর প্রতিটি ঘাস ও পাতায়, নদী ও নগরীর চোখে
তিনি শান্ত-শান্ত ধীর পায়ে প্রবেশ করেছিলেন মানুষের ভেতরে:
আমিও বসেছি বহুবার জাম-জারুল, আম-কাঁঠালের ছায়ায়
নারিকেল মায়ায়, সজনে তলায়-পুরাতন শিকড়ের বিশ্বস্থ বাহুতে
তবু বিকারে সিগারেটের ফিল্টারে ঠোঁট, সুন্দরীর পায়ে-পায়ে চোখ
তারপর, বাতাসে উড়ন্ত চুলের আঁচল গুছিয়ে স্টাইল ঠিকঠাক
তারপর, অবসন্ন পায়ে অপ্রাপ্তির হাতধরে পরিচিত ঘরে ফেরা।
তিনিও মানব ছিলেন; ছিলেন একদিন আমাদের মতো জাগতিক
ছিলেন ক্ষুধা ও ক্ষুন্নবৃত্তিতে- দৃষ্টিবান চোখের সামান্তারালে
ছিলেন অনুভব ও প্রতিভাবের সমান আত্মায়, সমান অংশিদারিত্বে
ছিলেন একদিন- যে দিন- কাল হয়ে ধাতস্থ আজও মহাকালে।
আমারও ক্ষুধা আছে, ভীষণ ক্ষুধা-জলন্ত আগুনে যেমন পোড়ে পতঙ্গ
আমারও কাল আছে- কেবলই পেছনে-মহাকালে নয়- পরমানু প্রতীক্ষায়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।