রাতের আকাশের নগ্নতা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখি কিন্তু পারি না মনের আকাশ দেখতে।
যে কোন বড় গাছকে বিশেষভাবে থালার মধ্যে ছোট করে রাখার নামই বনসাই। আর বাঁশসাই হল বাঁশের চোঙায় গাছকে ছোট করে রাখার পদ্ধতি।
নীচের পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াজাতকরণ করে একটি গাছকে বাঁশসাই করে ছোট ও দৃষ্টি নন্দন করে রাখা যাবে ৩০ বছর।
পদ্ধতি:
বাঁশসাই তৈরীর জন্য বাঁশের চোঙাটিকে কিছু সময় পচা খৈল পানিতে, তারপর পুকুরের পানিতে, আর কিছু সময় আইজিএল পাউডারের পানিতে ২৫-৩০ দিন ডুবিয়ে রাখতে হবে।
বাঁশসাইয়ের মাটিতে টিএসপি, হাড়গুড়া, এমপি, সাদা কাঠের ছাই, দস্তা সার, সোহাগা, পঁচা গোবর, পঁচা আবর্জনার সার প্রভৃতি উপাদান মিশিয়ে গাছটির জন্য উপযোগী করতে হয়। চোঙাটিতে মাটি ভরতে হয় চারাটির উচ্চতানুযায়ী ৩-৩.৫ ইঞ্চির মধ্যে। এভাবে লাগান চারায় টানা ৩০ বছর কোন খাবার দিতে হবে না। শুধু নিয়মিত পানি দিয়ে যাবেন এবং সেই সাথে মাঝে মাঝে সূর্যালোকের ব্যবস্থা করবেন।
**খাদ্য কিভাবে পাবে?
৩ বছরের মধ্যেই চোঙাটি পঁচতে শুরু করবে।
তারপর শিকড় বড় হয়ে বেড়িয়ে যাবে। একসময় পুরো চোঙাটি খেয়ে ফেলবে। চোঙা খাওয়া নি:শেষ হলে পুরাতন শেকড় পঁচতে শুরু করবে এবং নতুন শিকড় সে খাবার গ্রহন করে গাছ বেঁচে থাকবে। এভাবেই চলবে প্রায় ৩০ বছর। তবে গাছের সাধারণ আয়ুষ্কালের জন্যে এ সময় কম বেশি হতে পারে।
বনসাই আর বাঁশসাইয়ের পার্থক্য:
* বনসাইয়ে চারা গাছ হতে হয় ২-৩ বছর বয়সী। কিন্তু বাঁশসাইয়ে চারা হতে হয় ১ বছরের নীচে।
* বনসাইয়ে প্রধান মূল ছেটে দিতে হয় এবং বেরিয়ে আসা মূলও স্বযত্নে ছেটে দিতে হয়। বাঁশসাইয়ে তা করতে হয় না।
* বনসাইয়ে পূর্নতা পেতে প্রায় ১০ বছর সময় লাগে।
কিন্তু বাঁশসাইয়ে প্রজাতি ভেদে ২ মাস থেকে বছর খানিক সময় লাগে।
* বনসাইয়ে ৩ বছর পরপর সম্পূর্ন নতুন মাটি দিতে হয়। ফলে গাছ মারা যাবার সম্ভাবনা থাকে। বাঁশসাইয়ে খাবার একবারই দিতে হয়। (লেখাটি সংগৃহীত:প্রথম আলো ২০০৬)
বনসাই এর কিছু লিঙক
**১
***২
****৩
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।