ওলি
গত বছর অনেক ঘটা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন পাশ করা হয় । কিন্তু, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন এখন পর্যন্ত ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে । যে কারণে মওসুম শুরূ হতেই কেমিক্যাল মেশানো আমে বাজার সংলাব হয়ে যায় ।
CRPA requires amendment
অজকে আমি ডে ইলি স্টারে ভোক্তা অধি কার সংরক্ষণ বি ষয়ে লিখেছি । ভোক্তা অধিকার আইন যে শুধু ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে তা' ই নয়, এই আইন ভোক্তার আইনের আশ্রয় লাভের সাংবিধানিক অধিকারকে সংকুচিত করেছে ।
ভোক্তাদের অধিকার লংঘিত হলে তারা ম্যাজিস্টেটের আদালতে যাওয়ার পূর্বে ভোক্তা অধিকার কাউন্সিল থেকে অনুমতি নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে বিদ্যমান আইনে ।
এছাড়াও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কোন বিধান রাখা হয়নি বিদ্যমান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে । বাংলাদেশের আদালতে মামলার দীর্ঘজটের মধ্যে ভোক্তারা মামলা করে তাড়াতাড়ি সুফল পাবেনা । তাই ভোক্তা অধিকার রক্ষায় আইনে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান রাখা জরূরী । বিলাতের আইনে কনজ্যুমার বিরোধ নিরসনে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান বেশ কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে ।
বিলাতে অবশ্য ব্যাংক, ইনসুরেন্স প্রভুতি সার্ভিস সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে কনজ্যুমার অবশ্য বাণিজ্য সংক্রান্ত ন্যায়পালের (Financial Ombudsman Service) দ্বারস্থ হতে পারে । বাংলাদেশেও এরকম ক্ষেত্রে ন্যাযপালের বিধান প্রবর্তন করা গেলে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে ।
বিদ্যমান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ঘটিত কাউন্সিল এবং কমিটিগুলোতে আমলাদের প্রাধান্য রয়েছে । যার ফলশ্রুতিতে আইনের বাস্তবায়নে ধীরগতি পরিলক্ষিত হয় । আমলারা অন্য অনেক কমিটিতে সদস্য হওয়ায় তারা ভোক্তা অধিকারের মত গুরূত্বপূর্ণ বিষয়ে পর্যাপ্ত সময় দিতে ব্যর্থ হন ।
আইনের সংশোধনী আনার ক্ষেত্রে উপরোক্ত বিষয় বিবেচনায় রাখা জরূরী ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।