জীবন মানুষের খুব ছোট একটা সময়। সমীকরনগুলো খুব সরল কিন্তু প্রতিনিয়তই আমরা একে জটিল করে ফেলছি। তাই একে সরলভাবে দেখতে চাই। মানবিয়গুন সৃস্টিকর্তার অশেষ রহমত আমাদের প্রতি। জীবনের স্বাদ এর মাঝেই।
তাই এতেই আমার আগ্রহ । আমার এসি নষ্ট হবার পর দীর্ঘদিন যাবত কোন সমাধান পেলাম না। সার্ভিস কম্পানির (বাটার ফ্লাই) নানা রকম ধানাই পানাইয়ে দিশেহারা। কখনও বলে আগামি সপ্তাহে পার্টস লাগিয়ে দিবে আবার কখনও বলে পার্টস এলসি করে বিদেশ থেকে আনা হচ্ছে। দেড় মাস অতিক্রান্ত হয়ে যায়।
এমন অবস্থায় তাদেরকে খুব কড়া কথাও বলতে পারছিনা। কারণ তারা ঠিক না করেদিলে আমি বেকায়দায় পরব। এমন অবস্থায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের ওয়েব সাইটে দেয়া ফোন নাম্বারে ফোন দিলাম। সাধারণত যা হয়, ফোন নাম্বার বন্ধ নয়ত কেউ নাই, এমন কথা শোনার জন্যই প্রস্তুত। যা ভেবেছিলাম তার চেয়ে অবাক করে দিয়ে এক লোক ফোন ধরলেন।
সালাম পরিচয়ের বালাই নাই। ধরেই নিলাম অফিসের পিয়ন গোছের কেউ হবে, অন্তত রিসিপসনিস্ট তো হবেই না। সুতরাং বেশি পাত্তা দিলাম না। আমি প্রশ্ন করলাম কে বলছেন? সে আমাকে উলটা জিজ্ঞাস করে, আমি কে? আমি পিছলাইন্না জবাব দিলাম, আমি কে বললে তো চিনবেন না। আমি ভোক্তা অধিকার আইনে একটা কম্লেইনের প্রসিডিউর জানতে চাই।
সে আমারে যা বলল আমি তো পুরা ঠাডা খাওয়ার মত শকড। সে বলল, আমি এখানকার ডাইরেক্টর/কমিশনার (এখন ঠিক খেয়াল নাই)।
আমি গদগদ হয়ে বললাম, স্যার আসলে আমি কল্পনাও করতে পারি নাই ডাইরেক্ট এত উচু পদের নাম্বার দেয়া থাকবে।
... এরপর আমার সমস্যা জানাইতে খুব সুন্দর পথ দেখাইদিলেন। আরও বললেন ওরা ঠিক না করলে ওদের ঠিক করার ব্যাবস্থা কইরা দিবেন।
উনি আমার মামা চাচা কেউ না। পরিচয় না থাকা সত্তেও যে বাংলাদেশের কোন সরকারি সংস্থা থেকে এত সুন্দর সার্ভিস পাব কল্পনাও করি নাই।
পরিশেষঃ উনার আস্থায় সার্ভিস কম্পানিরে কইসা ঝারি। ফলাফল ১ সাপ্তাহর মাথায় আমার ঘরে নতুন এসি।
ফেসবুক পেইজঃ https://www.facebook.com/consumerbd ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।