পেপার আর টিভি খুললেই কেবল ভেজাল আর ভেজাল। এর থেকে রক্ষার উপায় কি?
যারা যারা ব্যবসা করেন, আমি মনে করতে চাই যে, তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ভালো মানুষ এবং ঈমানদার ব্যবসায়ী, কিন্তু যারা ব্যবসা করার নুন্যতম নীতি ও মানেন না তারা দয়া করে এর পরিণতি একবার এর জন্য হলেও ভেবে দেখবেন। অন্য ধর্মের ব্যাপারে আমি জানি না, কিন্তু যদি আপনি ইসলাম ধর্মের অনুসারী হন, তাহলে ভয়াবহ পরিনামের জন্য অপেক্ষা করবেন।
হাজার হাজার ধরণের ব্যবসা আছে, কিন্তু যারা খাদ্যদ্রব্যের ব্যবসা করেন, তাদেরকে বলছি, আপনাদের অতিমাত্রায় লাভের কারণে বা অসৎ উপায় অবলম্বণ করার কারণে (বিষাক্ত ক্যামিকেল ব্যবহারের জন্য) সাময়িক কিছু লাভ হয়ত হবে তবে পরিণাম হবে ভয়াবহ। মনে রাখা দরকার ব্যবসায়ে লাভের চাইতে বরকত থাকাটা জরূরী।
কিছু লাভ হয়ত হবে, কিন্তু কোন দিক দিয়ে যে বের হয়ে যাবে তা টের ও পাওয়া যাবে না।
বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমার মনে হয়, ব্যবসায়ের মাধ্যমে [ভেজালমুক্ত খাবার বিশেষভাবে] যেভাবে মানবসেবা, দেশের সেবা করা যায় আর কোন ভাবে এতোটা করা যায় না। একজন মহিলা কুকুরকে পানি দিয়ে জীবন বাচিয়েছিল বলে আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তায়ালা যদি তাকে মাফ করে দিতে পারেন, ভেজালমুক্ত খাবার সৃষ্টির সেরা জীবের কাছে পৌছানোর জন্য আল্লাহ তায়ালা কতো প্রতিদান দিবেন, ভাবা যায়?
আমাদের সরকার আমাদের সবকিছু করে দিবে না, আমাদের নিজেদের সচেতনতা বাড়াতে হবে, নিজেদের কিছু করতে হবে। এই সামু ব্লগের যারা যারা খাদ্যদ্রব্য ব্যবসায়ী আছেন, তাদের মাধ্যমে অন্য ব্যবসায়ীদের কাছে হাতজোড় করে মিনতি করছি, দয়া করে আমাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম, কোমলমতি শিশুদেরকে ধংস করে দিবেন না।
আমাদের আশেপাশে আত্মীয় স্বজনের মধ্যে অনেক ব্যবসায়ী আছেন, আসুন, সবাই ২/১ জন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলি আর তাদেরকে ব্যাপারগুলো জানাই। লাভের চাইতে বরকত জরূরী...লাভের চাইতে বরকত জরূরী...লাভের চাইতে বরকত জরূরী...
মানবজমিন পত্রিকায় একটি খবর পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল বিধায় এতো কিছু লিখলাম। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।