দিদিমার পুজোর মন্ত্র, মায়ের ফোড়নের সাত-সতেরো, বাবার অঙ্ক শেখানোর ফর্মুলা, কাছাকাছি রেস্তোরাঁ-বার থেকে নিজের ওজন, হৃদয়ের অবস্থা- সবকিছুই হাল্কা ‘টাচ’-এ জেনে ফেলার এক মজার যন্ত্রই তো এই স্মার্টফোন! যার সাহায্যে কোনও কিছু জানার জন্যেই আপনাকে আর খেটে উঠে সময় নষ্ট করতে হয় না। দরকার শুধু ছোট্ট কয়েকটা পালকের ছোঁওয়া, ‘ফেদার টাচ’ আর হাতের সামনে হাজির দুনিয়ার যা কিছুর খবর! এত স্মার্ট ব্যাপার-স্যাপার ফোনটি ধরে রাখলেও দিন-রাত আপনি যদি হাতের মুঠোয় ধরে রাখেন স্মার্টফোন, তবে ভয়ের কারণ আছে বইকি; অনেক কিছুই তখন হারিয়ে যাবে জীবন থেকে। এমনটাই দাবি করছে সাম্প্রতিক বিশ্ব-সমীক্ষা।
সমীক্ষা বলছে, এই প্রজন্মের অতিরিক্ত স্মার্টফোনের প্রতি নির্ভরতা কখনও-সখনও হয়ে উঠতে পারে নিজেরই ক্ষতির কারণ। আচ্ছা, আগে বলুন তো, সুস্থ থাকতে চান আপনি? চোখের আড়াল করে ফেলুন আপনার স্মার্টফোনটি তবে এখনই।
হ্যাঁ, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী আসলে স্মার্টফোনের ব্যবহারের সঙ্গে শারীরিকভাবে ‘ফিট’ থাকার এক গহন সম্পর্ক খুঁজে বের করেছেন। ওঁদের মতে, টেলিভিশনের মতো না হয়ে স্মার্টফোনটি চলমান বা এককথায় ‘পোর্টেবল’ বলেই এটিকে শারীরিক কার্যকলাপ বা এক্সারসাইজ করার সময়ও নিয়ে যাওয়া যায় সর্বত্র। পরিণামে, মনঃসংযোগেই শুধু নয়, বরং সময় ব্যয় ও ‘ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি’-তে বাধা দিচ্ছে যন্ত্রটি।
গবেষনাটি কতটা সঠিক, সেটা নিয়েও ইতিমধ্যেই কয়েক কদম এগিয়ে গিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
মিডওয়েস্ট এলাকার ৩০০ জন ছাত্রের মধ্যে করা হয় টেস্টটি যাদের থেকে বাছাই ৪৯ জনের ফিটনেস পরীক্ষা করে দেখা হয়। এতে দেখা যায় দিনে ৯০ মিনিট স্মার্টফোন ব্যবহার করার থেকে যে ছাত্রেরা দিনে ১৪ ঘন্টার মতো ব্যবহার করে তাদের স্মার্টফোনটি, তারা শারীরিকভাবে কম ফিট। সে কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি জেকব বার্কলি ও অ্যান্ড্রু লেপ জানিয়েছেন অতিরিক্ত স্মার্টফোনের ব্যবহার শারীরিক ‘ইনঅ্যাক্টিভিটি’ ও তার থেকে নানা রকমের শরীরের সমস্যার কারণ হতে পারে।
তবে আর থেমে থাকবেন না, চারপাশের সকল স্মার্টফোনাসক্ত মানুষদের জানিয়ে দিন এই সতর্কীকরণ। বলে দিন, কোনও কিছুর জন্য না হলেও অন্তত স্মার্টফোনটি বেশি দিন ব্যবহার করতে গেলেও প্রতিদিনের ‘ফোনের ইউসেজ’ একটু করে কমাতে।
এতে ভাল হবে সবারই!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।