বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ ব্লগ।
এই সরকার যা শুরু করেছে আমার মনে হয় তাদের পতন ঘনিয়ে এসেছে। আশা করেছিলাম চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন থেকে সরকার শিক্ষা গ্রহণ করে গণতান্ত্রিক উপায়ে দেশ পরিচালনা করবে, কিন্তু এখন সরকার আরো বেসামাল হয়ে উঠেছে। গত ২৭ ই জুন বিএনপির ডাকে পালিত হরতালের সময়ই জাতি সরকারের বেসামাল হয়ে উঠার নজির দেখতে পেয়েছে। যেখানে বিএনপির হরতালে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার কথা ছিল, সেখানে দেখা গেল বিএনপি নেতা-কর্মীদের শান্তি পূর্ণ মিছিলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতা কর্মীদের ইচ্ছামত পিটিয়েছে, এবং পুলিশ ছাত্রলীগকে কিছুই না করে উল্টো আমার প্রিয় নেতা এ্যানি-সহ বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে নিয়ে যায়! আওয়ামীলীগ মহাসচিবকে ছাত্রলীগের অবৈধ হামলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন ছাত্রলীগ তাদের কোন অংগসংগঠন নয়।
যদিও ছাত্রলীগ তাদের ছত্রছায়ায় একের পর এক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। বুঝলাম ছাত্রলীগ তাদের অংগংগঠন নয়, তার পরও সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে তিনি এটার দায় এড়িয়ে যান কিভাবে? বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী সন্ত্রাসী হিসেবেও তো ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে তার সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। কোন সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে অংগ-সংগঠনের কথা আসবে কেন?মির্জা আব্বাসের বাড়িতে হামলা সভ্যতার কোন পর্যায়ে পড়ে তা আমার জানা নেই। হাসিনা বলেছেন বিরোধীদল নাকি লুট-পাট করতে পারছেনা তাই হরতাল দিয়েছে, তাহলে হাসিনার কাছে আমার প্রশ্ন হল আপনি বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় প্রায় ২৭০(সংখ্যাটি আমার ঠিক জানা নেই, কেউ জানলে মন্তব্যে দিয়ে দিলে খুশি হব) দিন হরতাল ডেকেছিলেন কেন? আপনার কথা থেকে কি আমরা এটা ধরে নিতে পারিনা যে আপনার দল আরও বেশি লুট-পাটকারী ছিল। বর্তমান সরকার নাম পরিবর্তন এবং বিরোধী দলগুলোকে দমনে যতটা পটু দেশের সমস্যাগুলি নিরসনে তার অর্ধেক পটুও যদি হত তাহলে আমি মনে করি দেশ আজ অনেক সমস্যামু্ক্ত থাকত।
সব কিছু থেকে মরহুম শহীদ প্রেসিডেন্ট মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের নাম পরিবর্তনের কারণে শেখ হাসিনার চীন সফরে বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক কিছু চু্ক্তিতে নাকি চীনা কর্তৃপক্ষ সই করতে আপত্তি জানায়। আপত্তির কারণ হল চীনের প্রায় ব্যক্তির নামের সাথেই জিয়া শব্দটি আছে, যেমন চীনেরপ্রেসিডেন্ট ওয়েন জিয়াবাও। তারা হাসিনাকে বলল আপনি সব জায়গা থেকে জিয়া শব্দটি বাদ দিচ্ছেন, আপনি আমাদের প্রেসিডেন্ট এর নাম থেকেও জিয়া বাদ দিয়ে দিবেন, তাই আমরা আপনার সাথে কোন চু্ক্তি করবনা। আমি জামায়াত-শিবির এর কোন সমর্থক নয়, আমি একজন মূলত জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রপন্থী। তার পরও নিজামী-মুজাহিদ-সাইদীর গ্রেফতার প্রসঙ্গে আমার কিছু কথা আছে।
তাদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ আনা হয়েছে, তারা বলেছিলেন নবী-রাসুল গণ যেভাবে বিরোধীদের দ্বারা ইসলাম প্রচারে বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন, তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে জামায়াত-সহ ইসলামী দলগুলি বাধার সম্মখীন হচ্ছে। এতে যদি মুসলমানদের ধর্মীয় অনু্ভূতিতে আঘাত লেগে থাকে তাহলে আমার কথা হল নির্বাচন কমিশন প্রধান শামসুল ইসলাম বলেছিলেন স্বয়ং আল্লাহ নেমে এলেও নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে পারবেনা। এবং মতিয়া চৌধুরী বলেছেন আল্লাহ যদি হাজার হাজার বছর পর আমাদের বিচার করতে পারেন , তাহলে ৪০ বছর পর আমরা কেন এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারব না (আমি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিপক্ষে নই), আমরাও তাদের বিচার করেই ছাড়ব। জামায়াত নেতাদের কথা দ্বারা যদি তারা নিজেদেরকে রাসুলের সাথে তুলনা করে থাকেন, তাহলে তো শামসুল ইসলাম এবং মতিয়া চৌধুরীরা তো মহান আল্লাহর সাথেই নিজেদের তুলনা করেছেন। তাদের তো এতদিনে ফাসিঁ হওয়া দরকার ছিল।
কিন্তু তাদের তো কিছুই হল না। একটা গান আছে না "কৃঞ্চ করলে লীলাখেলা আর আমি করলে দোষ"। আর যে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের কথা বলা হচ্ছে সেই আঘাত তো মুসলমান হয়ে খৃষ্টান মেয়ে বিয়ে করে হাসিনা পুত্র জয় আরো অনেক আগেই এদেশের কোটি মুসলমানের হৃদয়ে দিয়েছেন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার জন্য আমি এদেরও গ্রেফতার দাবী করছি । জামায়াত নেতাদের গ্রেফতারের এ ঘটনা থেকেই বোঝা যায় বর্তমান সরকার বিরোধী দল গুলোকে দমন করে দেশে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
কিন্তু আমরা সেই বাঙ্গালী যারা দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছি। আমরা এই দেশে আবার বাকশাল কায়েম হতে দেব না , ইনশাআল্লাহ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।