আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাংবাদিক মাহবুব মতিন আর নেই

এ লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আমার যুদ্ধাপরাধ

চ্যানেল আই এর যুগ্ম বার্তা সম্পাদক মাহবুব মতিন আর নেই। ইন্না হিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। চিকিৎসক জানিয়েছেন, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন, তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া, চ্যানেল আই পরিবার, দেশের বিশিষ্টজন ও বিভিন্ন সংগঠন, রাত সাড়ে ৮টায় চ্যানেল আইয়ের সিদ্ধেশ্বরী কার্যালয়ে মাহবুব মতিনের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে বাদ জোহর নামাজে জানাযা শেষে তাঁর দাফন আজিমপুর কবরস্থানে। চ্যানেল আই নিউজ এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য মাহবুব মতিন।

পেশাদারী মনোভাবের মতোই অফিসিয়াল দায়িত্বের পাশাপাশি সহকর্মীদের আনন্দে মাতিয়ে রাখতে জুড়ি ছিল না তাঁর। অনুসন্ধানী রিপোর্টিয়ে দক্ষ মাহবুব একাধিকবার দায়িত্ব পালন করার সময় স্পটে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। নির্ভিক এই রিপোর্টার, সিনিয়র রিপোর্টার হয়ে পরে হয়েছেন যুগ্ম বার্তা সম্পাদক। শুক্রবার রাত পর্যন্ত অফিসে ডেইজ নিউজ এডিটরের দায়িত্ব পালন করছেন। রাতে স্ত্রী ও সন্তানকে শ্বশুর বাড়ী রেখে খাওয়াদাওয়া শেষ করে একা বাসায় ফেরেন মতিন।

দুপুরে স্ত্রী শাহিন শবনম বাসায় ফিরে ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকির পরেও সাড়া না পেয়ে খবর দেন অফিসে। সহকর্মীরা গিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে দেখতে পান মশারীর ভেতর ঘুমিয়ে আছেন মাহবুব। শরীর ঠান্ডা আর শক্ত। ডাক্তার এসে জানান এই পৃথিবিতে আর নেই মাহবুব।

একমাত্র সন্তান মৌনপ্রিয় মাহিয়ান উদয়ন স্কুলের প্রথম শ্রেনীর ছাত্র, মৃত্যু কি তা বোঝার বয়সও হয়নি। স্ত্রী নির্বাক। মৃত্যর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে আত্মীয় বন্ধু সহকর্মীরা ছুটে আসেন মাহবুব-এর সিদ্ধেশ্বরীর খন্দকারের গলির বাস ভবনে। অশ্রুশিক্ত নয়নে মাহবুবকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে, কামনা করেছে আত্মার মাগফেরাত। মাহবুব মতিনের গ্রামের বাড়ী কুমিল্লার লাকশাম উপজেলায়।

বাবা মরহুম মাওলানা আব্দুল মতিন। বাবার চাকরীর সূত্রে মাহবুব মতিনের জন্ম পাকিস্তানের করাচীতে ১৯৭০ সালে ২২ শে জুলাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এম এ করার সময় থেকেই শুরু লেখালেখির। একাধারে চিত্র সমালোচক, কবি এবং সংগঠক ছিলেন মাহবুব মতিন। তাঁর সাংবাদিকতার শুরু ১৯৯০ সালে, দৈনিক মিল্লাতে।

কাজ করেছেন আরো তিনটি দৈনিক ... রুপালী, ভোরের কাগজ এবং সংবাদে। ২০০১ সালে চ্যানেল আই সংবাদের সূচনা থেকেই ছিলেন মাহবুব। সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক কর্মকান্ডেও জড়িত ছিলেন তিনি। ছোটদের দিয়ে গড়ে তুলেছিলেন সংগঠন ছোটরাই। দেশের কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য প্রথম ওয়েবসাইট জার্নালিষ্টবিডিডট চালু করে তিনি।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রশিক্ষন ও গবেষনা সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিণ একরবার। রাত সাড়ে আটটায় চ্যানেল আই সিদ্ধেশ্বরী কার্যালয়ে মাহবুব মতিনের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। রোববার দুপুর ১২ টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে রাখা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে জানাজা শেষে মাহবুবের মরদেহ রাখা হবে। এরপর বাদ জোহর আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করা হবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.