ক্লিন'স অল্টারনেটিভ ওয়ার্ল্ড
টানা বারান্দা, ছোট কক্ষ, বড় রুম
সর্বত্র অপেক্ষমাণ মানুষ।
মৃত্যর জন্য প্রতীক্ষা করছে
সবাই মারা যাবে তারা
আজ কাল কিংবা পরশু।
মৃত্যু ভয়ংকর নয় হয়তো
কিন্’ মৃত্যু জন্য অপেক্ষা করা ভয়ংকর, খুবই ভয়ংকর
অসংখ্য মানুষ-
অসীম সাহসীকতায় সে ভয়ংকর কাজটিই করছে।
নিশ্চিত মৃত্যু তাদের নিয়তি
তারপরও লড়ছে তারা।
কারো হয়তো হাত অকেজো, কারো পা
কারো মুখের, কারো বা বুকের
সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অংশটাই নষ্ট হতে চলেছে।
কারো বা চিন্তার উৎসটাই হয়তো ভয়ংকর যন্ত্রণাময়।
কেউ তারা পূর্ণাঙ্গ সুস্থ’ মানুষ নয়
কিন্তু তারপরও, মৃত্যুর বিরুদ্ধেই মরণপণ লড়াই তাদের।
মাঝে মাঝে অকথ্য যন্ত্রাণায় কাতড়ে ওঠে কেউ।
এত দুর্বল আর ক্ষীণ তাদের শরীর
চিৎকার করলে তা কেবল মর্মান্তিক আর্তনাদ হয় মাত্র।
তারপরও চলে নিরন্তর অপেক্ষা।
হঠাৎ ডাক আসে কারো কারো
তথাকথিত মেশিনরুম থেকে।
যন্ত্রণা লাঘবের আশ্বাস নয়, নিয়ম রক্ষার তাগিদ থাকে সে আহবানে।
কি জানি এ ডাকের চেয়ে মৃত্যু দূতের হাতছানিও বোধহয় প্রত্যাশিত তাদের কাছে।
তারপরও ডাকশুনে ভেতরে যায় একেকজন।
সেখানে ঝিরঝিরে বাতাসের অবস অনুভবে
যন্ত্রনা লাঘবের ব্যর্থ চেষ্টাও চলে।
বের হয় আবার
এরমাঝেই কেউ কেউ দেখা পায় পরিচিত জনের।
যন্ত্রনার ছাপ লুকায় যথাসম্ভব
তারপরও হাসিমুখে তাকায় একে অপরের দিকে।
‘কেমন আছেন’? চোখের তারায় প্রশ্ন তোলে একজন
মুখের ম্লান অভিব্যাক্তিতে জবাব দেয় অপরজন-
‘যুদ্ধ করছি তো! যোদ্ধার আবার মন্দ-ভালো!’
এভাবেই দিন যায়
সংশপ্তক মানুষেরা যুদ্ধ করে প্রতিনিয়ত
যদিও জানে মৃতুর কাছে পরাজয় তাদের অবধারিত।
ক্লিন,
-ডিএমসি'র ক্যান্সার ইউনিটে বসে লেখা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।