জনৈক দ্রোহীর ব্লগ
এইমাত্র পড়লাম আলাউল হোসেন ভাইয়ের মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারকে খোলা চিঠি লেখাটি। আপনার লেখাটি সমর্থন করেই এই লেখা।
সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করার একটি বিশেষ উদ্দেশ্য ছিল। অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে সেই উদ্দেশ্যটি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। প্রথম যখন সৃজনশীল পদ্ধতির প্রশ্নের ধরণ (প্রস্তাবিত) দেখলাম, তখন মনে হয়েছিল এখানে একটি প্রশ্নের উত্তর "যত ক্রিটিক্যাল তত নম্বর"।
কিন্তু পরবর্তীতে ছাত্র-শিক্ষকদের প্রতিক্রিয়া শুনে বুঝতে পারলাম প্রশ্নের উত্তর "যত বড় তত নম্বর"। তাহলে আগের পদ্ধতির সাথে বর্তমান পদ্ধতির পার্থক্য কী রইল? সেখানেও তো কুড়ি নম্বরের জন্য কুড়ি পৃষ্ঠার রচনা লিখে আসতাম, এখানেও তাই করছি।
আলাউল ভাই গাইডের কথা বলেছেন। হ্যাঁ, সৃজনশীল পদ্ধতিতে গাইড বই অনুসরণ করার কথাই না। তবুও বিভিন্ন কারণে শিক্ষার্থীরা গাইড বই অনুসরণ করছে, কিংবা বলা যায় অনুসরণ করতে বাধ্য হচ্ছে।
কারণ হিসেবে আলাউল ভাই মফস্বলের চালচিত্র তুলে ধরেছেন। তাই আমি ঐ ব্যাপারটি আর টানছি না, শুধু এর সাথে আমার ব্যক্তিগত একটি অভিজ্ঞতা যোগ করতে চাই। আমি ঢাকার এক স্কুলের শিক্ষার্থীকে গণিত পড়াই। তার কাছে জানতে পারলাম, সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর কীভাবে করতে হবে তা জানার জন্য নাকি তাকে প্রাইভেট পড়তে হবে, কারণ স্কুলে এ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা সে পাচ্ছে না। ঢাকার স্কুলে পড়েই যদি সৃজনশীল পদ্ধতি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না পাওয়া যায়, তবে বাইরের স্কুলের কথা তো বাদই দেয়া যায়।
শুনেছি, অনেক স্কুলে নাকি মাত্রাতিরিক্ত কঠিন (অর্থাৎ আরও উঁচুমানের) প্রশ্ন তৈরি করা হয়েছিল সৃজনশীল প্রশ্ন হিসেবে। হ্যাঁ, সৃজনশীল প্রশ্নে উঁচুদরের প্রশ্ন থাকাই স্বাভাবিক, না থাকাই অস্বাভাবিক। তাই বলে কি এমন প্রশ্ন দিতে হবে, নবম-দশম শ্রেণীর জ্ঞান দিয়ে তা সমাধানই করা যাবে না?
ছাত্রদের মেধা যাচাইয়ের জন্য সৃজনশীল পদ্ধতি একটি খুবই চমৎকার পদ্ধতি হতে পারে, যদি এর ওপর সঠিক ধারণা সবার থাকে। ছাত্র-শিক্ষক সবার। সুতরাং এই পদ্ধতিটিকে অঙ্কুরেই নষ্ট হয়ে যেতে দেবেন না - এই আহ্বান রইল শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের কাছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।