মানুষ আসে মানুষ যায় কিন্তু সময় যায় চিরতরে
কথাটা একেবারেই নতুন,তাই সবার সাথে শেয়ার করার জন্য পোষ্ট করলাম!!!!!!!!!!!!!!
আর একটু হলেই ডিয়েগো ম্যারাডোনার ডাকনাম হয়ে যেত পেলে! ভাবতে পারেন, এই ২০১০ সালে যখন দুনিয়ার সেরা দুই ফুটবলারের মধ্যে অহিনকুল সম্পর্ক, তখন দুজনের ডাকনাম এক হয়ে গেলে কী-হতে পারত! আমার তো মনে হয়, ম্যারাডোনা দ্রুত আদালতে গিয়ে নিজের নাম এফিডেভিট করে পাল্টে ফেলতেন। এটা ঘটনা। গোটা দুনিয়া তাঁকে চেনে ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা হিসেবে। কিন্তু তাঁর ডাকনাম যে পেলু, তা আগে জানতাম না। অনেকেই এটা শুনে মন্তব্য করেছেন, পেলে এত বড় ফুটবলার ছিলেন যে ডিয়েগোর মা-বাবা নিজেদের পঞ্চম সন্তানের নামকরণ করেছিলেন পেলের নামে।
আমরা একমত নই। কারণ, ম্যারাডোনা জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর। পেলে তখন খেলেছেন শুধু '৫৮-র বিশ্বকাপ। বিশ্বজোড়া খ্যাতি তখন তো হয়নি। তা হলে পেলের নামে ম্যারাডোনার নামকরণ করতে যাবেন কোন দুঃখে?
সম্প্রতি ম্যারাডোনা নিজের লেখায় জানিয়েছেন, আসলে পেলুসা থেকে তাঁর ডাকনাম করা হয়েছিল পেলু।
পেলুসা শব্দের অর্থ হচ্ছে মাথাভর্তি ফোলা ফোলা চুল। জন্মের পর তাঁর মাথায় এত চুল ছিল যে তাঁকে তাঁর মা-বাবা আদর করে পেলুসা বলে ডাকতেন। এ ব্যাপারে ঠিকঠাক ম্যারাডোনার বিবৃতি তুলে ধরা যাক : আই ওয়াজ কভার্ড ইন ফ্লাফি বেবি হেয়ার-পেলুসা-সো দ্যাট 'পেলু বিকেম মাই নিক নেম'। ইংরেজিতে একটা 'ই' এবং একটা 'ইউ'-এর জন্য এ যাত্রায় বড়সড় বিতর্কের হাত থেকে বেঁচে গেল ফুটবলদুনিয়া। একজন পেলে, অন্যজন পেলু।
কে সেরা, এটা নিয়ে যখন দুনিয়াজুড়ে জোর বিতর্ক চলে, তখন দুজনের ডাকনাম তুলে ধরে বলাই যায়, তফাত খুব বেশি নয়। ডাকনামেও নয়, খেলার মানেও নয়। তবে ব্যাপারটা মজার এতে কোনো সন্দেহ নেই। ম্যারাডোনা-ভক্তরা বলতে পারেন, তিনি পেলের প্রতি এতটাই বীতশ্রদ্ধ যে, তাঁর ডাকনাম বেশি প্রচার পাক, এটা তিনি চান না। তাই তিনি খুশি হন তাঁকে কেউ ডিয়েগো বলে ডাকলে।
ম্যারা;ডোনা নামে ডাকলে তো মহা আনন্দে ভাসতে থাকেন তিনি। void(1)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।