বের শিমুল গাছ
শেরপুর জেলায় অবস্থিত আনুমানিক ১২০০ থেকে ১৪০০ বছরের পুরোনো এই বের শিমুল গাছ। এই শিমুল গাছটি বর্তমানে বুড়ি মার আস্তানা নামে বেশ পরিচিত। পাঁচ পুরুষ ধরে লোকমুখে চলে আসছে গাছটির বিভিন্ন অজানা কাহিনী। এলাকার প্রবীন লোকেদের মুখে শোনা যায় ঔপনিবেশিক আমলে এই গাছটির উত্তর দিকে বৃটিশদের ঘাটি ছিল। গাছটির উত্তর দিকে আরেকটি গাছ ছিল যা ১৯৭৪ সালের দিকে বিক্রয় করা হয়।
জানা যায় গাছটি বিক্রয় করার পর গাছের মালিক অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ঐ বছর গাছের মালিক অসুস্থ হয়ে যায় তার ৩ টি পাটের নৌকা ডুবে যায় বাড়িতে আগুন লাগে ধান চাল নষ্ট হয়ে যায় এমনকি এও জানা যায় যে গাছ ক্রয়কারী গাছটি নিয়ে ঢাকায় ফিরে যেতে পারেনি। পথিমধ্যে বিদ্যাগড় নামক স্থনে তার পালের নৌকা ডুবে যায়। গাছটি হিন্দু মুসলিম উভয়ের জন্য তীর্থস্থান। এখনে বছেরে ৫ টির ও অধিক অনুষ্ঠন হয়ে থাকে।
ঈদ-উল- ফেতর, ঈদ-উল- আজহা, পহেলা বৈশাখ, মহরম মাসের ১০ তারিখ এবং রজব মাসের ২৭ তারিখে এই গাছটির নিচে অনুষ্ঠান হয়ে থাকে । প্রত্যেক অনুষ্ঠানের সময় আনুমানিক ২০,০০০ থেকে ৫০,০০০ দর্শনার্থী এই স্থানটি পরিদর্শন করে থাকে। এই গাছটিকে ঘিরে অনেক মানুষ দান খয়রাত এবং মান্নত করে। এই বের শিমুল গাছটি অনেক অলৈকিক ঘটনার স্বাক্ষী । এলাকার জনসাধারনের কাছ থেকে জানা যায় এই গাছটিতে নাকি এখনো অনেক সময় বুড়ি মাকে দেখা যায়।
এখানকার মানুষের ধারনা বুড়ি মা নাকি অনেককে স্বপ্নে দেখা দেয়। গাছটির অলৌকিক ক্ষমতা সমনেন্ধে গাছটির বর্তমান ত্বত্তাবধায়ক আশিকে খাজা মো আব্দুল হাকিম আইন পাগল বলেন গত চৈত্র মাসে তিন জন যুবক জুতা পায়ে গাছটিতে আরোহন করে তিনি বাধা দিলেও তার বাধা তারা উপেক্ষা করে পরে তারা গাছে থাকা অবস্থায় বুড়ি মা বলে আওয়াজ করে মানসিক বিকারগ্রস্থ হয়ে য়ায়। গাছটিতে কিছু অলৈকিক নিদর্শন আছে যা গাছটির দিকে লক্ষ করলে দেখা যায় গাছটিতে অনেক প্রাণীর স্পষ্ট প্রতিচ্ছবি বয়েছে। মোট কথা গাছটি একটি অলৈকিক নিদর্শন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।