নিঃস্বার্থ মন্তব্যকে ধন্যবাদ, সাময়িক ভাবে আমি মন্তব্যে নেই
১
আহ্লাদী ন্যাকা বরুণা; তার জন্যই সুনীলদের টান
তন্ন তন্ন করে ফেলে বিশ্বসংসার, লেখে কাব্য
শোনে শুক্লা তিথিতে বোষ্টমীর গান
বরুণা চেয়েছে তাই
অকারণে কাজ ফেলে ছুটে যায়, একশ'আট পদ্মের খোঁজে
আহা! বলে বারান্দায় বরুণা হেসে দিলে
তেত্রিশ বছর ধরে ঘোরে জলে কিংবা স্থলে,
আকাশে পাতালে
জানের মায়া তুচ্ছ করে,
বরুণাদের খেলনা হয়ে লজ্জাভুলে কবি যায় ষাড়ের লড়াইয়ে।
২
বরুণারা অবিশ্বাসী,
কবিও থাকেনি কুমার
চৌত্রিশেই পেতেছে সংসার, ঘুরেছে সাতপাক এনেছে ঘরনী
পতিব্রতা বঙ্গ নারী,
হয়তো প্রেমহীন, বড়জোর অর্ধপ্রেমে সন্তানের জননী
কে দেখেছে মুগ্ধ চোখে ঘাড়ে যার বাস্তবের ঘানি?
সুনীলেরা কাব্যবিদ, পানসুটে বাস্তব ছেড়ে শৈশবে পালায়
লাঠি লজেন্স চুষে খায় - কল্পণাতে,
চৌধুরীদের রাস উৎসবে আজীবন নিমন্ত্রণ চেয়ে, সোনার চুড়িগয়নার ফর্সা রমনীরা যেখানে চোখ টেপে, হাত নাড়ে ।
অথচ যে রমনীরা কথা রাখে, কবির দৃষ্টিতে তারা কই?
সুনীল লিটমাসে খোঁজে সুগন্ধী রূমাল! তার অর্ধাঙ্গিনী
ঘামের গন্ধে - এখনো সে যে-কোনো নারী ।
কামহীন,যত্নহীন, রূপহীন ত্বক,
আয়নায় নেই সজ্জা, পরিবার স্কন্ধের ওপর,
সেই সে সতী নারী বাসেনি কি ভাল তাকে আপাদমস্তক?
কবিতায় কৈশোরের নাদের আলি থাকে,
আকাশ ছোয়ার ইচ্ছে থাকে
তারও অনেক অনেক নিচে
সিলিং ফ্যান ঘোরে, শিশুরা মধ্যরাতে জেগে ওঠে
দশফুট বাই দশফুটে ভোর হলে ফেরিওয়ালা ডাকে ।
কবিপত্নী ভোরে জাগে
সেলাই করে জামার বোতাম
নতুন কাব্যের মসলার যোগান দিতে মাঝবয়সী কবি
হয়তো নাক ডাকছে অতৃপ্ত এক বরুণার সন্ধানে ।
৩
অর্থহীন ব্যর্থপ্রেম যা স্বাভাবিক শৈশবে, কৈশোরঅথবা উঠতি তারুন্যে
তেত্রিশ বছর পরেও সুনীলেরা
মামলা ঠোকে কবিতায়, সমস্ত নারীদের দোষী করে
কারণ তারা কেউ কথা রাখেনি ।
--
প্রিয় কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের নিকট স্পর্ধার জন্য ক্ষমাসহকারে ..
প্রতি কবিতা অনুসরণে : ফেরারী পাখি
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।