যে কোন লড়াই শেষ পর্যন্ত লড়তে পছন্দ করি।
জানা গেছে জোটের আমলে নিয়োগ পাওয়া শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ৫/৬ বছর চাকরী করার পর অবৈধ নিয়োগের অজুহাত তুলে চাকুরীচ্যুত করার প্রক্রিয়া শেষের দিকে নিয়ে এসেছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামী ২৭/৬/২০১০ তারিখ অনুষ্ঠিতব্য সিন্ডিকেট সভায় এ ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।
ঘটনাটি খুবই দু:খজনক কারণ ঐ ৮০ জনের মধ্যে জোটের নেতাদের ঘনিষ্ট আত্মীয়-স্বজন ৬/৭ জন থাকলেও বাকিরা সবাই সাধারণ মানুষ। এদের কেউ কেউ চাকুরীর জন্য দেশে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী ঐ সময় যারা সাংসদ বা মন্ত্রী ছিলেন তাদের দিয়ে সুপারিশ করিয়েছিলেন। আর এখন সেই কারণে তারা জোটের লোক পরিচয়ে ফেঁসে গিয়ে চাকুরীচ্যুত হতে যাচ্ছেন।
কার্যতঃ কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষুদ্র স্বার্থ ভিত্তিক ক্ষমতা প্রদর্শনের প্রতিযোগিতায় এরা বলি হতে চলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন কয়েক জন। দেশে নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর পরই সরকার দলীয় লোক হিসেবে পরিচয় দানকারী কিছু কর্মচারী এদেরকে জোটের লোক দাবী করে চাকুরীচ্যুতির জন্য শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী উত্থাপন করে।
তবে জোটের লোক হিসেবে কাউকে তো চাকুরীচ্যুত করা যায় না, তাই নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ ছিল এমন কথা বলে ঐ দাবীর কাছে নতি স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ এদের চাকুরীচ্যুতির উদ্দ্যোগ নিয়েছে।
এখন বছরের মাধামাঝি যদি চাকুরীচ্যুত হয়েই যায় তাহলে ছা-পোষা এই লোক গুলো কোথায় যাবে? কি করবে? দেশে কি তাহলে যতবার নতুন সরকার গঠিত হবে ততবার টিট-ফর-ট্যাট প্রক্রিয়া এভাবেই চলতে থাকবে? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান কি এসব জানেন?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।