আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অনির্দিষ্টকালের জন্য সভা সমাবেশ নিষিদ্ধঃ মখা

আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম বাঙ্গালী। গতকাল বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকায় রাজনৈতিক দলের মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করবে এমন নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত রাজধানীতে কোন দলকেই সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, যুক্তিটা হলো এই- আমাদের সংবিধানে আছে যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে সকলকে সমাবেশের এবং সংগঠনের অধিকার দেয়া আছে। এখন এই যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ আরোপ করা অর্থ হলো যারা সমাবেশ করবেন তারা জনগণের সম্পত্তি নষ্ট করবেন না।

পরিবহনে আগুন দেবেন না। বাস পোড়াবেন না। রেলে আগুন দেবেন না। কোরআন শরীফ পোড়াবেন না। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা নিশ্চিন্ত হচ্ছি যে, এ ধরনের দুর্বৃত্তরা সমাবেশের নাম করে এ ধরনের কাজগুলো করবে না ততক্ষণ পর্যন্ত ওই যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধের আওতায় আমরা এগুলো করতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আমরা বলেছি, অনির্দিষ্টকালের জন্য। বিবিসি তার কাছে জানতে চায়, বাংলাদেশে এ ধরনের পলিটিক্যাল ডেমোনেস্ট্রেশন নতুন কিছু না। এ ধরনের বহু ঘটনা আমরা দেখেছি আগে। জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এ ধরনের রাজনৈতিক (কর্মকাণ্ড) হয়েছে। কিন্তু কেউ রাজপথে এরকম জনসম্পত্তি নষ্ট করে নাই।

কেউ বিষ্ঠা ত্যাগ করে রাজপথ অব্যবহার্য করে নাই। কেউ ছোটখাটো দোকানপাট পুড়িয়ে দেয় নাই। বাসে আগুন দেয় নাই। রেলপথে আগুন দেয় নাই। কেউ কোরআন শরীফ পুড়িয়ে দেয় নাই।

বইপুস্তক পুড়িয়ে দেয় নাই। কাজেই এটা নতুন। বিবিসি তার কাছে ফের জানতে চায়, কিন্তু তাহলে শুধু ঢাকা শহর কেন, মানে ঢাকার বাইরে তারা (সমাবেশ) করতে পারবে? জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনাটা ঢাকায় ঘটেছে বলে ঢাকায় আমরা বলেছি। অন্য জায়গায়ও ঘটেছে। তবে ঢাকায় যে স্কেলে ঘটেছে সে স্কেলে ঘটেনি।

বিবিসি তার কাছে জানতে চায়, মানে ঢাকাকে নিরাপদ রাখতে চাচ্ছেন আপনারা? জবাবে তিনি বলেন, আমরা সব জায়গাকে নিরাপদ রাখতে চাচ্ছি। আমি বলেছি, ঢাকায় যে স্কেলে ঘটেছে সেটা অন্য জায়গায় ঘটেনি বলে ঢাকায় আমরা আপাতত করছি। এটা সবার জন্য প্রযোজ্য। বিবিসি ফের প্রশ্ন করে, নিশ্চিতভাবেই বিরোধী দল এ জিনিসটাকে ভালভাবে নেবে না এবং তারা হরতাল হয়তো ডাকতে পারে। সরকারের সিদ্ধান্ত না মানতে পারে।

তাহলে তো আরও বেশি বিশৃঙ্খলা হবে। মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, শোনেন, বিরোধী পক্ষ নেবে, না নেবে সেই বিবেচনায় কিন্তু আমরা জনগণের সম্পত্তি বিনষ্ট হতে দিতে পারি না। জননিরাপত্তা ব্যাহত হতে দিতে চাই না। বিরোধী দল জননিরাপত্তা ব্যাহত করেছে। কোরআন শরীফ পর্যন্ত পুড়িয়েছে।

ঢাকায় ৪৮ ঘণ্টায় নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক আবেদন পর্যন্ত জানিয়েছে। কাজেই যতক্ষণ না পর্যন্ত তারা গণতান্ত্রিক বিশ্বাসে ফিরে না আসে, যতক্ষণ না পর্যন্ত দেশের আইন মান্য করতে শেখে বা তার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয় ততক্ষণ পর্যন্ত তাদেরকে তো সে পর্যায়ে রাখতে হবে। বিবিসি’র পাল্টা প্রশ্ন- ঢাকার বাইরের মানুষ তো মনে করতে পারে ঢাকা কেন বিশেষ একটা জায়গা হলো? অন্য জায়গায় করতে পারবে, ঢাকায় পারবে না কেন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি ইতিমধ্যে এর ব্যাখ্যা দিয়েছি যে, ঢাকায় এরা সব থেকে বড় স্কেলে কাজটা করেছিল। অন্য জায়গায় করেনি। কাজেই ঢাকার ওপর আমরা (নিষেধাজ্ঞা) দিয়েছি।

অন্য স্থানেও যদি এ স্কেলে করতে চায় বা করার আস্পর্ধা দেখায় তবে নিশ্চয়ই তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে। বিস্তারিতঃ দিনে এক মাস রাতে অনির্দিষ্ট জয় বাংলা জনগণ, বাকশাল সামলা ! ক্ষেপছে পাগলা ! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.