সরকারি দল
অতিথিপরায়ণ জাতি হিসেবে বিশ্বে আমাদের সুনাম সর্বজনবিদিত। তাই মহাসেনের আগমন উপলক্ষে যাবতীয় ব্যবস্থা হাতে নিয়েছিলাম আমরা। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে, বিরোধী দলের ষড়যন্ত্রে সব ভেস্তে গেল! আমরা মর্মাহত। মহাসেন যখন দেখেছে বিরোধী দল দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে, তখন মানে মানে কেটে পড়েছে। অতিথি মহাসেনের দুর্বল হওয়ার পেছনে বিরোধী দলের এই চক্রান্তের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা।
বিরোধী দল
এই সরকারের আমলে মানুষ তো বটেই, মহাসেনও নিরাপদ নয়! মহাসেনের দুর্বল হয়ে যাওয়ার ঘটনাই এর বড় প্রমাণ। আমরা চেয়েছিলাম, একটি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ এবং আন্তর্জাতিক মানের মহাসেনের আগমন দেখব। কিন্তু না, এই বাকশালি সরকার তা হতে দিল না! আমরা যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েই মহাসেন আসছিলেন। কিন্তু এই সরকার তাঁর পেছনে পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে তা আর হতে দিল না!
জীবনানন্দ গবেষক
সম্প্রতি জীবনানন্দ দাশের একটি চিঠি খুঁজে পেয়েছি! চিঠিটি ছিল তাঁর ব্যবহূত অতি প্রাচীন এক ট্রাংকের ভেতরে। কবিকে চিঠিটি লিখেছিলেন নাটোরের বনলতা সেন।
চিঠিতে বনলতা জানিয়েছেন, তাঁর পিসতুতো বোনের ছোট দেবরের শ্বশুরের মামাতো ভাইয়ের নাম মহাসেন। এবং এই মহাসেন তাঁর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে! তো এর মাধ্যমেই আমরা অনুমান করছি, মহাসেন এ কারণেই দুর্বল হয়েছেন। তিনি যখন দেখেছেন এ দেশেরই কবি জীবননান্দ দাশের সঙ্গে বনলতার একটা বিশেষ সম্পর্ক ছিল, তখন তিনি বেদনায় ভেঙে পড়েন; দুর্বল হয়ে যান।
বাংলা সিনেমার জনৈক পরিচালক
আমার পরবর্তী সিনেমা কাছে এসে দূরে যেয়ো না: কামিং নিয়ার ফর লাভ নেভার গো ফার-এর জন্য নায়িকা খুঁজছিলাম। এবং তার জন্য পত্রিকায় একটা বিজ্ঞাপনও দিয়েছিলাম।
সেই বিজ্ঞাপন দেখে বাংলাদেশে ছুটে আসছিল মহাসেন। সে ভেবেছিল সুচিত্রা সেনের মতো নামের শেষে ‘সেন’ বসালেই আমি ‘ওকে’ বলব। আস্ত বোকা! একে তো এই ‘সেন’ লাগিয়ে ভুল করেছে, তার ওপর নায়িকা হওয়ার প্রাথমিক যোগ্যতাও ছিল না আহাম্মকটার! কারণ, সে পুরুষ! কত্ত বড় বেকুব, চিন্তা করেন! তাই আমার সহকারী ওকে জানিয়ে দিয়েছিল, ‘ভাই, রাস্তা মাপেন। ’ এই না-পাওয়ার বেদনায় সে দুর্বল হয়ে পড়ে।
সাংবাদিক
মহাসেন আসছে—এটা শোনার পরই ফেসবুকে মহাসেনকে খুঁজে বের করি।
মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দিই, দেশে এলে প্লিজ আপনার অনুভূতিটা জানাবেন আমাকে। ব্যস, তারপর থেকে আর কোনো খোঁজ নেই তার! শুনলাম আমার মেসেজ পেয়েই দুর্বল হয়ে পড়েছে সে!
গৌরী সেন
সুদমুক্ত ঋণদাতা হিসেবে আমার সুনাম এখনো অটুট। এ দেশের মানুষ অর্থসংকটে পড়লে কথায় কথায় আমার কথা স্মরণ করে। বুর্জোয়া মহাসেন ভেবেছিল আমার জায়গাটি দখল করবে! কিন্তু সে জানত না, এই দেশে এই টাইপের বিজনেসের জন্য কত কাঠ খড় পোড়াতে (ঘুষ) হয়। তাই আসল ঘটনা যখন জেনেছে তখন দুর্বল হয়ে পড়েছে!।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।