Hello. My name is Nafiz."I'm scary...aren't I"
আমাদের চারপাশের জীবন্ত জগতকে দেখলে একটু ভড়কে যাওয়ার কথা। চারপাশে কত বিচিত্র জীবন! একেবারে ক্ষুদ্র ভাইরাস থেকে সুবিশাল হাতি, ছোট্ট ঘাস থেকে বিশাল বটগাছ, মাকড়সা থেকে জলহস্তি, ডায়েরিয়ার জীবাণু থেকে বুদ্ধিমান মানুষ—এই হিসেব কি কখনো বলে শেষ করা যাবে? তাদের ভেতর কি কোনো মিল খুঁজে পাওয়া সম্ভব? কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, পৃথিবীর সবচেয়ে সরলতম ভাইরাস থেকে সবচেয়ে জটিলতম মানব সন্তানের মাঝে একটা গভীর মিল আছে। তাদের সবার গঠনের একটা নীলনকশা আছে। সেই নীলনকশা অনুযায়ীই কেউ পিঁপড়া আর কেউ হাতি হয়ে গড়ে ওঠে। কেউ লজ্জাবতী গাছ আর কেউ বটগাছ হয়ে ওঠে।
কেউ সাপ আর কেউ জলহস্তি হয়ে গড়ে ওঠে।
এটুকু তথ্যই হজম করা কঠিন, কিন্তু এর পরের অংশটুকু আরও চমকপ্রদ। সৃষ্টিজগতের সব প্রাণীর গড়ে ওঠার যে নীলনকশা, সেই নীলনকশার ভাষা একটি! সেই ভাষাটি লেখা হয়েছে মাত্র চারটি অক্ষরে। বিজ্ঞানীর ভাষায় সেই চারটি অক্ষর হচ্ছে— A, T, C এবং G মৌলিক উপাদানগুলোর আদ্যক্ষর।
সাম্প্রতিক কালে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গেছে যে মানুষ ইচ্ছা করলেই চার অক্ষরে লেখা জীবনের সেই নীলনকশাটি পড়ে ফেলতে পারে।
চার অক্ষর দিয়ে লেখা মানুষের জীবনের সেই নীলনকশাকে আমরা বলি মানব-জিনোম। সব মিলিয়ে সেই জিনোম বা নীলনকশার আছে ৩০০ কোটি অক্ষর (বিজ্ঞানের ভাষায় বেস পেয়ার) পাটের বেলায় তার সংখ্যা হচ্ছে প্রায় অর্ধেক ১২০ কোটি, এবং আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা সেই নীলনকশাটির পুরোটা বের করেছেন (বিজ্ঞানের ভাষায় সেটাকে বলা হয় পাট-জিনোমের সিকোয়েন্স বের করেছে)।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।