প্রেমিকার তরে
সরসিজ আলীম
ঝিঁঝিদের পিছে দৌড়াতে দৌড়াতে তুমি প্রায়শঃই
পৌঁছে যেতে গঙ্গাফড়িঙদের রাজ দরবারে।
গঙ্গাফড়িঙদের উপস্থিত সভাসদবৃন্দ উঠে দাঁড়িয়ে
অবনত মস্তকে তোমাকে অভিবাদন জানাতো।
রাজ দরবারের মধ্যমনি হতে তুমি, আর
তোমাকে ঘিরে থাকতো একঝাঁক পাখির মুখরতা;
পাখিদের সাথে তোমার আলাপ বিনিময় চলতো,
তা থেকেই তোমার কণ্ঠকে তারা ধারণ ক’রে থাকবে।
মধ্যগগনে উঠে পাখিরা যখন একসাথে করতালি দেয়
মুহুর্মুহু তুমি প্রতিধ্বনিত হও ‘বন্ধু বন্ধু’ ব’লে।
তুমি তো সেই ফেলে এসেছো ঝিঁঝিদের আস্তানা,
গঙ্গাফড়িঙদের রাজ দরবার, সেই দৌড়ে এসেছো
ছেড়ে এসেছো পাখিদের সাথে মুখরতা।
প্রেমিক-প্রেমিকা পাখিরা সদাই তোমার স্বরে কথা কয়,
এখন নিঃসঙ্গ দুপুরের পাখিদের কণ্ঠে ঝরে
তোমারই মৌন নিঃসঙ্গতাগুলো,
পাখিদের কলরব হতে খুব উচ্চকিত কণ্ঠ তোমার,
বিরহী পাখিদের কণ্ঠে ঝরো তুমি বিরহিনী।
পাখিদের কণ্ঠেও তবে মিশে থাকে বিপ্লবের ঝংকার?
তবে কি পাখিদের বিপ্লবী সখা তুমি কখনো?
১৭.০৬.২০১০, ঢাকা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।