আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ প্রকৌশলীর প্রাণ নিয়েছে বাসচালক

একটু স্বাধীন ভাবে উড়তে চাই
******************************************************************** নিরাপদ সড়ক চাই ******************************************************************** রাজধানীর রাস্তায় আবার মানুষ হত্যা করেছে এক বাসচালক। বাসের চাকায় এবার প্রাণ গেছে কর্মজীবী দম্পতির। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে স্বামী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী এস এম সাইফুল হুদা (৩৬) যাচ্ছিলেন মোটরসাইকেলে। স্ত্রী সোহেলী আক্তার শম্পা (২৮) দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা। গতকাল শনিবার রাজধানীর মগবাজারে এ ঘটনা ঘটে।

চালক ও চালকের সহকারী ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পালিয়েছে। বিক্ষুব্ধ লোকজন বাসটি ভাঙচুর করে এবং মগবাজার রেলক্রসিং সড়ক অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে রমনা থানার পুলিশ এসে লোকজনকে বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো গতকাল সকালে সোহেলী আক্তার স্বামী সাইফুল হুদার সঙ্গে কর্মস্থলে যেতে মোটরসাইকেলে ওঠেন।

মগবাজার রেলক্রসিংয়ের কাছে বলাকা পরিবহনের বেপরোয়া গতির একটি বাস পেছন থেকে সাইফুলের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে সাইফুল হুদা ওই বাসের নিচেই চাপা পড়েন এবং ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান। ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা সোহেলী আক্তার রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। পুলিশ আহত সোহেলীকে নগরের হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়।

সেখানে বেলা দুইটার দিকে তিনি মারা যান। পুলিশ বলাকা পরিবহনের বাসটি আটক করে থানায় নেয় এবং সাইফুল হুদার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। খবর পেয়ে স্বজনেরা হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ছুটে যায়। স্বজনদের কান্না-আহাজারিতে বেদনাসিক্ত হয়ে ওঠে হাসপাতালের পরিবেশ। শোকার্ত স্বজনেরা ঘাতক চালকের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করে।

রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিবলী নোমান প্রথম আলোকে জানান, নিহত সোহেলী আক্তারের মামা এ এফ এম সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা করেছেন। চালক ও তাঁর সহকারীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিহত প্রকৌশলীর ছোট ভাই নাজমুল হুদা প্রথম আলোকে জানান, তাঁর ভাই-ভাবি রামপুরা-সংলগ্ন মহানগর প্রকল্পে একটি বাসায় থাকতেন। প্রতিদিনের মতো গতকাল সকালে তাঁরা কর্মস্থলে রওনা হয়েছিলেন। ভাবিকে জনকণ্ঠ কার্যালয়ে নামিয়ে দিয়ে ভাই পান্থপথে তাঁর প্রতিষ্ঠান এসইএলে যাওয়ার কথা।

সাইফুল হুদার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের গোয়ালচামট এলাকার মোল্লাবাড়িতে। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তাঁর স্ত্রীর গ্রামের বাড়ি খুলনায়। সাইফুল হুদার লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। আর সোহেলী আক্তারের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পুলিশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে।

১৪ দফা দাবি: ১. ড্রাইভারকে নিচের পক্ষে H.S.C পাশ হতে হবে। ২. ড্রাইভারকে দক্ষ হয়ে গাড়ি চালাতে হবে। ৩. যানবাহন ও দূর্ঘটনা আইন শক্তিশালি ও কার্যকরি করতে হবে। ৪. পুরানো যানবাহন ঢাকা থেকে সরাতে হবে। ৫. ঢাকা থেকে কারখানা, টানারী, গার্মেন্টস এবং কিছু সরকারি ও বেসরকারি অফিস সরাতে হবে।

৬. নিহত/আহতদের দ্রুত আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করতে হবে। ৭. যেখানে সেখানে পার্কিং বন্ধ করতে হবে। ৮. প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফ্লাইওভার নির্মান করতে হবে। ৯. প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্পিড ব্রেকার নির্মান করতে হবে। ১০. ফুটপাত মুক্ত করতে হবে।

১১. সেখানে সেখানে বাস থামানো যাবে না। ১২. কিছু রাস্তাকি বড় যানবাহন মুক্ত রাখা যায়। (যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) ১৩. আলাদা লেন কে কার্যকারি করতে হবে। ১৪. যেখানে সেখানে ব্যাক ট্রান, ইউ ট্রান করতে দেয়া যাবে না। যারা আমার সাথে একমত।

তাহলে আসুন প্রতিবাদ গড়ে তুলি। আমাদের নতুন গ্রুপে জয়েন করতে পারেন। http://www.somewhereinblog.net/group/accident
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।