আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যন্ত্র

নিঃস্বার্থ মন্তব্যকে ধন্যবাদ, সাময়িক ভাবে আমি মন্তব্যে নেই
১. বুয়েটে পড়ার সুবাদে নয় বরং যন্ত্রপাতি ঘাটতে ভাল লাগতো শৈশব থেকেই । নিচতলার ঘরটাতে নানান যন্ত্রপাতির সমারোহ থাকতো । অল্প পাওয়ারের কমলা বাতি তে খুট খাট করতাম আমি একাই । কখনো ও পাড়ার বাদল ভাই আসতো । - কীরে ঝন্টু কবে হবে তোর রোবট? - হুম্ম ।

আঁতে ঘা লাগে । কিন্তু বোঝাতে দেই না । সময় হলে ঠিকই বুঝবে । রোবট জাতীয় কিছু একটা বানাচ্ছি । মাঝ রাতে স্বপ্ন দেখি অবিকল মানুষ হয়ে সে বাড়ি ময় ঘুরে বেড়াচ্ছে ।

পিট পিট করে চোখ নাড়ছে । আর বলছে, কি লাগবে জনাব, আপনার সব কাজ আমায় দিন । আপপনি ঘুমান । মেট্রিক পাশ করেছি মাত্র । এসব করার পয়সা পাবো কই ।

স্টেশন রোডের "মায়ের দোয়া রেডিও" থেকে সস্তায় ইলেকট্রনিক্স পার্ট্স কিনে এটা ওটা বানাই । একটা খেলনা গাড়ি হয়েছিল রোবট বলতাম ওটাকেই । বাদল ভাই হাসতো চাপাজোড়া হা করে । কী, শেষ পর্যন্ত চাকা ওয়ালা রোবট । এমন হাসি দেখলে মনে হয় চাপায় ঘুষি দেই ।

কিন্তু উনি মানুষ ভাল । একমাত্র উনিই আগ্রহ দেখাতেন, নে যা, ভবিষ্যতের ইঞ্জিনিয়ার । আলুপুড়ি খেতে খেতে তোর পরের প্রজেক্টটা দেখা । খবরের কাগজের তেলচিপচিপে ঠোংগা থেকে বের করতে করতে বলতেন, একদিন নোবেল প্রাইজ পেলে আমার নাম টা বলিস । বাদল ভাই চলে গেছেন এই পাড়া থেকে ।

কলেজে আব্বা সরকারী ডাক্তার হিসেবে রাজশাহী থেকে বদলী হয়ে এসেছেন ঢাকার ইস্কাটনে । আমার একটু সুবিধেই হলো । অসুবিধে যে বাসাটা ছোট্ট । আমি ছিলাম একমাত্র সন্তান । একমাত্র সন্তানের সুবিধা অনেক ।

সামান্য ঘ্যান ঘ্যান করলেই আব্দার মিটে যায় । ভাইবোন যত বেশী আহ্লাদে ফায়দা তত কম । রবীন্দ্রনাথ তো আহ্লাদ বলার জন্য বাপ মাকেই পেত না, পেত বুড়ো ভৃত্যকে । মা' কে সেদিন বললাম । নিচের তলার বান্দর মেয়েটাকে আমার ঘরে আসতে দিবা না ।

এর স্বভাব ভাল না । আমার যন্ত্রপাতি ঘাটে । বুঝে না । আর আওলায় । ঘটনা সত্যি ।

কাল দেখি কানে হলুদ নীল বেগুন রং করা একটা রেজিস্টর পরে ঘুরছে । আর একটা আইসি নিয়ে বলছে এইটা কাঁকড়া , তাই না ঝন্টু ভাইয়া । তুমি এইসব যন্ত্র দিয়ে কী মজা পাও? আমি চমকে উঠে হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যেতে বললাম । দ্যাখ, এটার দাম তিনশ টাকা । এটা নষ্ট হলে সব শেষ ।

তুই অন্য ঘরে যা । আমার ঘরে ঢুকবি না । ফাজিলটা পড়ে ক্লাস এইটে । এই বয়সে মেয়ে গুলা কি ছেলেদের মত বেয়াদব হয়? আমি বললাম । এগুলা শিখতে চাস তো বল ।

কিন্তু হাত দিবি না । উল্টো মুখ ব্যাদান কর উত্তর দেয়, তোমার মেজাজে তুমি শিখাতে পারবা না । অযথা এত্ত বকো কেন? পরীক্ষার পর আবার পুরোদমে কাজ শুরু করি । উর্মি এত কিছু থাকতে আমার ঘরেই ঘুর ঘুর করে । এটা ওটা নাড়ে ।

আমি দেখি সার্ভো মটর একটা নিয়ে লাফাচ্ছে । ঝন্টু ভাই এটা কি তেলের ড্রামের বাচ্চা? একটা নেই । আমি একদিন ভাবলাম একে শিক্ষা দেই । বলি তোর পড়া শোনা নাই? খালাম্মাকে বিচার দিব । এভাবে প্রায় দু' বছর কেটে যায় ।

আমি তখন বুয়েটে ঢুকে এসাইনমেন্টে ব্যস্ত । উর্মিটা আসে । মেয়েটা ভদ্র হয়েছে একটু । কিন্তু একটা মেয়ে এরকম হবে কেন? কই মেয়েরা না সুন্দর হয়ে পুতু পুতু পোষাক পরে হাসতে থাকে । এটা থাকে বাড়িতে জাতে গেছো ।

পরে থাকে ছেলেদের মত জিন্সের প্যান্ট । ধু:! বললাম, তুই এরকম ক্যান, তোর কি সাজগোজ করে ভদ্র সভ্য মেয়ে হতে ইচ্ছে করে না? হা হা হা, হাসে গলা খুলে । উর্মি মায়ের খুব পছন্দের । আমি বাসায় না থাকলে মায়ের এটা ওটা দরকারে সে নিজেই দোকানে যায় । কিনে এনে দেয় ।

মা একদিন বললো, উর্মির মেট্রিক পরীক্ষা, তুই একটু একে হেল্প করিস । ওর বাবার পেনশনের টাকায় সংসার চলে । ওর মা বলছিল উর্মির মাথাটা ভাল । পড়ে না । যদি ঝন্টু বাবা একটু দেখায় দেয় ও পাশ করে যাবে ।

ইন্টার পর্যন্ত গেলে কোন একটা ছেলের ঘাড়ে গছায়ে দেয়া যাবে । আমি উর্মিকে পড়াতে গিয়ে টের পাই এর পাশ করতে জিন্দেগী যাবে । ট্র্যানসলেশন দিলাম - তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং কোষাধ্ধক্ষ্য । মাথা নাড়লো । পারে না ।

মা শিশুকে খাওয়াচ্ছে, সে কনফিডেন্টের সাথে বললো, এটা তো ইজি, মাদার ইজ ইটিঙ বেবি। পড়া দাগায়ে দিয়ে ক্ষ্যামা দিলাম । আমার মাথা সহজে চটে যায় । আম্মা সেটা জানে । বেশী ক্ষেপে গেলে খাওয়া বন্ধ করে শিক্ষা দেই ।

উর্মি আসে যখন আমি ব্যস্ত । ঝাড়ি খায় । কিন্তু বেচারীর কোন বদল হয় নি । সে ঘুরে ঘুরে আসে । ফ্যাচ করে হেসে দেয় ।

অনেক ঘন ঘন এন্টিবায়োটিক দিলে যেমন আর ধরে না, তেমনি আমার গালগালান্তি ওর আর লাগে না । ২. পরীক্ষা আর এসাইনমেন্ট ছাত্রজীবনের কষ্টকর দিক । সবাই দলে দলে ফটোকপি করতে থাকে । আমার মনে হলো চাকরি বাকরি না পেলে ফটোকপির দোকান খুলবো চানখার পুলে । ক্যারিন আমার ক্লাসে পড়ে ।

চানখার পুলো ফটোকপি করতে যাচ্ছি শুনে বললো , আমার ও ফটোকপি লাগবে । চলো একসঙ্গেই যাই । অনেক আধুনিক মেয়েই একধরণের সংস্কারের কারণে এক রিক্সায় উঠতে চায় না । ক্যারিন এদিক দিয়ে বেশ উদার , বড় ঘরের মেয়ে । বাবা ফিলসফির শিক্ষক বলেই হয়তো ওর মধ্যে যুক্তি বোধ প্রখর ।

হাত ধরে কথা বললেও মাইন্ড করবে না এমন, চোখে মুখে লাবন্যময় দীপ্তি খেলে যায় , পোষাক পরে বেছে বেছে । পথ চলছি হঠাত আমার নামে একটা ডাক শুনলাম । ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি । বাদল ভাই । আরে বিজ্ঞানী! আমি ক্যারিনকে রেখে প্রায় ঝাপ দেই রিক্সা থেকে প্রায়, বাদল ভাই , আপনি ঢাকায়? আমি তো আপনার এড্রেস খুঁজলাম কত খানে ।

রিটন আংকেল বলতে পারলো না । খালু আপনার আব্বার সঙ্গে কাজ করতো । তারাও জানেনা । হ্যা রে । তুই তো বড় হয়ে গেছিস ।

ব্যাটা ব্যাটা পুরা । তা তোর সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে যে এটা কে? দেখতে ভাল লাগছে তোর সঙ্গে । রোবট প্রজেক্ট বাদে কী হৃদয় প্রজেক্টে নামলি না কি? যা যা চালায়ে যা । বাদল ভাই তার কার্ড গুজে দিয়ে চলে গেল । ক্যারিন বললো লোকটা কে? আমার পুরানো বন্ধু, রাজশাহীতে থাকতো।

মফিজ পাগলা মোড়ে । আমাদের তিন চার বছর বড় হলেও মানুষ ভাল । কবিতা লেখে, গান করে বহুত গুণ । একবার বাউলদের সাথে ছিল কুষ্টিয়ায় তিন মাস । ক্যারিন, মাথা নাড়ে ।

বাদল ভাই জোরে কথা বলে । কথাগুলো ক্যারিনের ভাল লাগে নাই , লজ্জাই পেলাম একটু । আবার একটু অন্য রকমও অনুভুতি হতে লাগলো । ক্লাসের অন্যতম সেরা মেয়েটির সঙ্গে রিকশায় যাওয়াটা বাইরের অন্যদের এমন চোখে পড়তে পারে ভাবি না । মনে মনে অট্টহাসি দেই - হয়তো এই কারণেই পাবলিক সুন্দরী বউ খোঁজে ।

কথায় কথায় বউয়ের গল্প করে । ধার করে রূপবতী বউকে সাজায় যেমন টা ড্রয়িঙ রুমে লোনের পয়সা দিয়ে হাতিলের সোফা কেনে । আচ্ছা ক্যারিনের সঙ্গে প্রেম হলে কেমন হয়? ধুর বলে মাথা নাড়ি । ক্লাসমেট ক্লাসমেট ,এদের সঙ্গে প্রেম করা ছোটলোকি কাজ । দুনিয়ায় কি আর মেয়ে নাই নাকি? মায়ের বান্ধবীর মেয়ে লুবনা ।

সাবাই বলে হিন্দি নায়িকার মত দেখতে । নাক টিকটিকে, লম্বা কালো চুল । স্টাইল করে ডান নাকে নোলক পড়ে । একবার লুবনা বোনের বিয়ের আসরে একটা লটারী খেলা হচ্ছিলো । একেক জন কাগজ দেখে একেক বিষয় বলবে ।

ওর ভাগ্যে পড়লো সুদর্শন পুরুষ । হঠাত্ হাত ধরে লুবনা আমাকে টেনে স্টেজে তুলেছিল। সবাই তো হো হো, লুবনা শেষমেষ যন্ত্রকে স্টেজে তুলছে । বেশি সুন্দরী যারা তাদের উটকো আচরণের একটা স্বভাব থাকে । ছোট খাটো শো বিজনেস ওরা শিখে যায় ।

হয়তো আমাকে তার আসলে ভাল লাগতো । অথবা না । এদের হৃদয় থাকে শরীরের বাইরের কোন গ্রহে । দেখা দায় । হাত রি রি করেছিল সেই দিন।

মৃত্তিকা নামে একটা মেয়েকে আমার ভাল লাগতো । সিম্পল বলে । মৃত্তিকাদের বাসায় যাওয়া হয়না অনেকদিন । কিন্তু ক্যারিন তাদের কারো চাইতে কম না । ক্লাসমেট তো কী? ও তো সারা জীবন একই ছাদের নিচে ক্লাস করবে না ।

ইদানিং ক্লাস করতে এটা মাথায় ঘুরতে থাকে । কেন ঘুরতে থাকে? সব ছেলেই কি এমন? ক্যারিনের জন্য উপরের ব্যাচের জহির ভাই পাগল । শুনেছি প্রস্তাবও দিয়েছিল । কাজ হয় নি । আহসান ওরফে মন্টু লম্বা অনেক ।

ছ ফুটের কাছা কাছি । সাধারণত দেশী মেয়েরা লম্বায় মাঝারী, পাঁচ কিংবা পাঁচ দুই। লম্বা ছেলে দেখলে প্রেমে পড়া অস্বাভাবিক না । কিন্তু মন্টু ক্যারিনের পিছনে ঘুর ঘুর করেছে । ক্যারিন পাত্তা দেয় নি কখনো।

এই পার্সোনালিটি ভাল লাগার মতো । তবে কি ক্যারিন আসলে আট দশটা মেয়ের মতই তার বাইরের দিকটার জন্য গর্ববোধ করে ? না মনে হয়। সেরকম ন্যাকা হলে রিকশায় চড়ে কখনোই পাশা পাশি বসতো না । বাদল ভাইয়ের কথাটাই ঠিক । বুঝতে পারলাম আমি যন্ত্রের প্রজেক্টের পাশা পাশি ক্যারিনের জন্য সময় দিয়ে যাচ্ছি নিজের অজান্তে ।

পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠানে সবাই কম বেশী সাজগোজ করে । ডিপার্টমেন্টের সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে । ক্যারিন উপস্থাপনা করবে । লাল পাড়ের শাড়ীতে আর দেশী টিপে তাকে এতটাই ভাল লাগছে যেন অনুষ্ঠানের চেয়ে অপেক্ষা করছি কখন সে ফিরে ফিরে আসবে । আমি কি তাহলে বদলে যাচ্ছি? ক্যারিন একটু ক্লান্ত হয়ে প্রোগ্রাম শেষে নেমে এল মঞ্চ থেকে ।

ঝকঝকে গ্রীস্মের দিন । রোদ উঠছে কড়া । বললাম আজকে তোমায় আমাদের বাসায় নিয়ে যাব । আম্মা বছরের শুরুর দিনটাতে স্পেশাল রান্না করে । ক্যারিন মিষ্টি হাসে ।

কপালে টিপের পাশে একটা ছোট্ট ঘামের বিন্দু মুক্তোর মতো ঝিক ঝিক করে । ঠিক আছে, ছোট্ট জবাব । সবাই কে সাজলে ক্যারিনের মত ভাল লাগে না । আজ কি ক্যারিন কে বলা যায় কথাটা? এলজেব্রিক পদ্ধতিতে বলা যেতে পারে - ধরো ক একটা ছেলে, একটা মেয়ে খকে ভালবাসে । ক এবং খ ক্লাসমেট তবে কি ক য়ের কি ভালবাসার কথা বলা উচিত্ ।

কিন্তু এগুলো ও বুঝবে । যদি সে ক্ষেপে বলে, আমি তোমাকে ক্লাসমেটেরবাইরে চিন্তা করি নি। সবার মতো সুযোগ পেলেই প্রেম নিবেদন করতে গেলে? এ হলে, পরদিন থেকে ক্লাসে যাওয়া টাফ হবে । এসব ভাবতে ভাবতে বাড়ির গেটে এসে পৌছেছি । মা চিংড়ি মাছ লাউ দিয়ে একটা রান্না করেন ।

আমি বলে দিয়েছি সেটা যাতে করেন । বাড়িতে এসে গল্প করতে গিয়ে মা একটা খবর দিল । উর্মির বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে । ছেলে হবিগঞ্জে কেয়া লাক্স সাবানের ডীলার । নিজের দোকান আছে শ্রীমঙ্গলে ।

বয়স চল্লিশের কাছাকাছি কিন্তু নিজের জমি আছে অনেক। উর্মি খুব কেঁদেছে । ও নাকি বিয়েটা চায় নি । বাড়ি থেকে বের হওয়া বারণ । কারণ আজকে আংটি পরাতে আসবে ।

সকালে অনেকক্ষণ বসে ছিল । বলছিল ঝন্টু ভাইয়া কি আজকে আসতে দেরী হবে? ক্যারিন এক সঙ্গে খেয়ে উঠলো । আব্বা কথা প্রসঙ্গে জেনে গেল ক্যারিনের চাচা আব্বার কলিগের বন্ধু । মা বললেন মেয়েটা আসলেই লক্ষী । বড় ঘরের মেয়ে বোঝা যায় ।

পছন্দ টছন্দ আছে ওর? হঠাত করে আমি যেন ক্যারিনে নেই । ক্যারিন কে রিকসায় তুলে দিতে গিয়ে উর্মির বাড়ির জানালায় চোখ পড়লো একটা কপাট খোলা । উর্মি সাদা শাড়ি পড়েছে । কাল ব্লাউজ । চেনা যাচ্ছে না, ও যে এত বড় হয়েছে কখনোই খেয়ালই করিনি ।

অনেক ক্ষণ মাছের দৃষ্টির মত আমার দিকে চেয়ে রইলো । মুখ নড়লো না। কখনো ও এমন থাকে না । দুর থেকে বুঝতে কষ্ট হয় নি উর্মি অনেক কেঁদেছে আজ। - পুনশ্চ: বলা হয় নি ।

আমি আমার রোবটের প্রজেক্ট টা নিয়ে একটা পেপার বের করছি । জার্মানীতে রোবোটিক্সের একটা কনফারেন্সে যাব । ক্যারিন ফ্যামিলির পছন্দে ক্যালিফোর্নিয়ার এক প্রফেসর কে বিয়ে করে স্টেটসে। উর্মি অনেকদিন পর আমাদের বাসায় এসেছিল । আমি বাসা ফিরে শুনেছি আমাকে দেখতে চেয়েছিল ।

একটা মেয়ে হয়েছে ওর । অনেক টাকা আয় করে স্বামী । ---------------------------- ঘটনার চরিত্র, স্থান, বিষয় বস্তু, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমন কি পুনশ্চ: টুকুও কাল্পণিক ।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।