:) :D
গত পোস্টের পর.........
মধু দ্বারা কোনো উৎপাদিত দ্রব্যকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রথমবারের মতো ছাড়পত্র দেয়া হলো। নিউজার্সিতে অবস্থিত ডার্মা সায়েন্স নামের একটা ওষুধ কোম্পানিকে মানুকা ড্রেসিং উৎপাদন ও বাজারজাতকরনের অনুমতি দেয়া হয়।
এখন আমরা জানবো এই মানুকা হানির উৎসস্থল সম্পর্কে। লেপটোস্পারমাস স্কোপেরিয়াম এক ধরনের ছোট গাছ যা সাধারনত নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিন-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া যায়। এই গাছটিকে মানুকা গাছ বা চা গাছ হিসেবেও অভিহিত করা হয়।
নিউজিল্যান্ডে গাছটি মানুকা এবং অস্ট্রেলিয়ায় 'টি ট্রি' বা চা গাছ হিসেবে বেশি পরিচিত। মৌমাছি মানুকা হানি গাছের ফুল থেকে রস সংগ্রহ করে মানুকা মধু উৎপাদন করে। মানুকা হানি অন্যান্য মধুর চেহে স্বাদ ও গন্ধে ভিন্নতর। মানুকা মধুর জীবানু সংক্রমন প্রতিরোধ ক্ষমতাও অন্যান্য মধুর চেয়ে অনেক বেশি। মধু অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কিভাবে কাজ করে তার মেকানিজম নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক।
মধুতে পানির পরিমান থাকে অতি সামান্য। পানিশুন্যতার কারনে মধু শরিরের ক্ষতস্থান থেকে পানি চুষে নিতে পারে। চিনির মাত্রাতিরিক্ততার কারনে মধুতে জীবানু বাঁচতে পারেনা। মধু সংগ্রহকারী কর্মী মৌমাছি ফুল ও ফল থেকে সংগৃহীত রসে গ্লুকোজ অক্সিজেন নামক একটি এনজাইম নিঃসৃত করে। মধু সিক্ত ক্ষথথানের সংস্পর্শে আসার আসার পর গ্লুকোজ অক্সিজেন হাইড্রোজেন পার অক্সাইড নামের একটি রাসায়নিক উপাদান উৎপন্ন করে যা সংক্রামক রোগে জীবানুনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
সংক্রামক রোগের জীবানু বা ব্যাক্টেরিয়ার কোষের তরল পদার্থের চেয়ে মধুর ঘনত্ব বেশি বলে মধু জীবানুর সংস্পর্শে এলে জীবানুর কোষ থেকে পানি বেরিয়ে মধুতে চলে আসে। ফলে পানিশুন্যতার কারনে জীবানুর কোষ ধ্বংস হয়ে যা। নিউজিল্যান্ডের অ্যাক্টিভ মানুকা হানি এসোসিয়েশনের মতে, বর্তমানে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ১০ মিলিয়ন দলারের ১২০ টন মানুকা হানি বিক্রি হয়(২০০৭ এর হিসেব অনুযায়ী)। ইদানিং মানুকা হানিকে "বিশ্বের অলৌকিক প্রাকৃতিক সম্পদ" বা সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাকৃতিক গোপন রহস্য" হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। এই মধু দ্বারা ছোট-বড় বহু ধরনের রোগের আরোগ্য লাভ সম্ভব বলে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মনে করেন।
পাকস্থলির আলসার, বেডসোর এবং সাইনাস সংক্রমন রোধে মানুকা হানি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম। .........চলবে (৪ পর্বে সমাপ্ত)
রেফারেন্সঃ
প্রিয় শিক্ষক ড...মুনির উদ্দিন আহমদ
অধ্যাপক, ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি ও ফার্মাকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।