সোমবার রুপসী বাংলা হোটেলে তামাক বিরোধী এক সেমিনারে নিজের গবেষণালব্ধ এই তথ্য ও সরকারের প্রতি সুপারিশ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারাকাত।
তিনি বলেন, তামাক সেবনের কারণে প্রতিবছর দেশের প্রায় ১২ লাখ মানুষ ফুসফুসের ক্যান্সার, মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ, হৃদরোগ, মুখ, স্বরযন্ত্র ও শ্বাসনালীর ক্যান্সার, যক্ষা এবং পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়।
তিনি বলেন, তামাক সেবনের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর ৫৭ হাজার ব্যক্তির মারা যায়। ৩০ বছর ও এর বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে প্রতি ছয়টি মৃত্যুর একটির কারণ তামাকজনিত রোগ ।
গবেষণায় বলা হয়, তামাক ব্যবহারে বছরে জিডিপির ক্ষতির পরিমান ৩ শতাংশের বেশি।
৫১ কোটি টাকা ব্যয় হয় তামাকজনিত রোগের চিকিৎসায়। আর এ রোগের কারণে জাতীয় উৎপাদনশীলতায় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৫৯ কোটি টাকা।
বাংলাদেশের ২০০৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার 'ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনসন অন টোবাকো কন্ট্রোল’ এ স্বাক্ষর করার কথা উল্লেখ করে জনতা ব্যাংকের এই চেয়ারম্যান বলেন, “কনভেনশনে স্বাক্ষর করলেও পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশে তামাকজাত পন্যের উপর আরোপিত কর সবচেয়ে কম । ”
গবেষনার সুপারিশে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সরকার যদি বিড়ি-সিগারেটের উপর উৎপাদন শুল্ক গড়পড়তা খুচরা মৃল্যের ৭০ ভাগ বৃদ্ধি করে তাহলে সরকার অতিরিক্ত প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করবে। ”
যা দিয়ে আটবছরে একটি পদ্মা সেতু করা সম্ভব বলে আবুল বারাকাত মন্তব্য করেন।
"কর বাড়ানো হলে পাশাপাশি প্রায় দুই কোটি মানুষ ধূমপান থেকে বিরত থাকবে। "
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পল্লী কর্মসংস্থান সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান বলেন, “ধূমপান নিয়ন্ত্রণ করতে হলে উৎপাদন কর বাড়ানোর পাশাপাশি শিক্ষার হার বৃদ্ধি করতে হবে। ”
তবে জনগন সচেতন হয়ে ধূমপান বিরোধী আইন বাস্তবায়নে সহযোগিতা করলে প্রকাশ্য ধূমপান কমবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিচার্স সেন্টার ও ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস 'দ্য ইকোনমিক্স অব টোবাকো এন্ড ট্যাক্সেশন ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।