রাজার বাড়িতে প্রজার বিয়ের আয়োজন, ভাবা যায়? কোন গল্পেও এরকম শুনেছি বা পড়েছি বলেও মনে পড়ছে না। বিশ্বের ইতিহাসে এমন ঘঠনা দ্বিতীয়টি আছে বলে আমার জানা নাই। সারা বিশ্বে মানবতার ইতিহাসে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিমতলীর অগ্নিকান্ডে সব হারিয়ে কনে রুনা, রত্না ও আসমা যখন দিশেহারা তখন বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের পাশে দাঁড়ালেন। তাঁর মাতৃ হৃদয় বিগলিত হলো।
তিনি তাদেরকে মাতৃস্নেহে তুলে নিলেন। তাদের পিতামাতা কর্তৃক নির্বাচিত বরদের কাছে নিজে মা হয়ে মহা ধুমধামে বিয়ে দিলেন তাদের। বাংলা সংষ্কৃতিতে বিবাহে যা যা করণীয় তিনি তার সবটুকু করেছেন অতি নিখঁত ভাবে। একজন বাঙ্গালী মেয়ের বিয়েতে যা যা করতে হয় তার কিছুই বাদ দেন নি তিনি। গণভবনের ইতিহাসে এটা দ্বিতীয় বিয়ে হিসেবে পত্রিকায় প্রকাশ।
এ গণভবনে বিয়ে হয়েছিল তাঁরই ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামালের। তারাও তখণ রাজারই ছেলে ছিলেন। কিন্তু আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনজন অসহায় সাধারণ প্রজার বিয়ের আয়োজন করে তাঁর মহানুভবতা ও মানবতাবোদরে যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তা বিশ্ব ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে। অভিবাদন হে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অভিভাদন তোমায়। বাংলার প্রতিটি অসহায় মানুষের কল্যাণে তোমার যে অঙ্গিার তা থেকে যেন কোন চাটুকার তোমাকে টলাতে না পারে এ কামনাই রইল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।