আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহানবী( সা: ) মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের সংরক্ষনের জন্য কি যথেস্ট সিরিয়াস ছিলেন? প্রশ্নের জবাব

ভাবনারা মাথার ভিতর অবিরত তুলছে ঢেউ

মহানবী( সা: ) মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের সংরক্ষনের জন্য কি যথেস্ট সিরিয়াস ছিলেন ? এর জবাব নিম্নে দেয়া হলোঃ- আল্লাহ তা’আলা বলেন- আমি পবিত্র কুরআন নাযিল করেছি এবং আমিই তা সরংক্ষণ করব। আল-কুরাআন-সুরা হিজর আয়াত -০৯ উক্ত আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, পবিত্র কুরআনে কারিম দয়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ তা’আলা নিজেই নিয়েছেন। সেহেতু নবী কারীম (সাঃ)দায়িত্বই ছিলনা কুরআনে কারিম সংরক্ষণ করার। অধিকন্তু তিনি কোরআনে কারীম এর কোন আয়াত বা সুরা অবতীর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বস্ত লিপিকার ডেকে এনে তা লিপিবদ্ধ করাতেন, তিনি নিজে তা মুখস্ত করতেন এবং সাহাবায়েকেরামকে তা মুখস্ত করাতেন। আবার সঠিক ভাবে মুখস্ত আছে কিনা ইহা যাচাই করার জন্য প্রতি রমাযান মাসে নাযিলকৃতটুকু জিব্রাইল (আঃ) কে শুনাতেন এবং জিব্রাইল (আঃ) তেমনী নবী করীম (সাঃ) কে শোনাতেন।

তাহলে সংরক্ষণে অপ্রতুলতা কিভাবে প্রমাণিত হয়? যে মহাগ্রন্থ পৃথিবী থেকে বিদায় দেয়ার জন্য সারা বিশ্বের সকল অমুসলিম শতভাগ চেষ্টা করেও একভাগও সফলকাম হতে পারেনি। এমন কি কুরআন শরীফের কপি সমুহ জ্বালিয়ে দিয়েও তারা সফলকাম হতে পারেনি। কারন কোরআন শরীফ শুধুমাত্র লিপি আকারে সংরক্ষিত হয়নি। বরং লাখ লাখ হাফেজে কুরআনের ছিনায় সংরক্ষিত হয়েছে। এতো গুরুত্ব সহকারে অন্যকোন আসমানী কিতাবও সংরক্ষণ করা হয়নি।

তাহলে এখানে অপ্রতুলতার প্রশ্ন উত্থাপন করা অবান্তর ও অজ্ঞতাপ্রসূত। হাদিসের বিষয়টিও এমনি। কেননা হাদিসতো কুরআন শরীফের ভাব ও অর্থ। আল্লাহ তা’আলা কোরআন শরীফ এর শব্দ ও অর্থ উভয়টি সংরক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন । আর সাহাবায়ে (রাঃ) কে অসাধারণ স্মৃতিশক্তি দিয়ে আল্লাহ স্বীয় রাসুলের শিষ্য ও অনুসায়ী বানিয়েছেন।

যাতে তাঁরা রাসুলের বাণী সমূহ সংরক্ষণে সমর্থ হন। রাসুল (সাঃ) যুগে কুরআনে কারীম লিপিবদ্ধের ন্যায় ব্যাপকভাবে হাদিস লিপিবদ্ধ করা না হলেও স্বয়ং রাসুলের অনুমতিক্রমেই তাঁর যুগে হাদিস লিপিবদ্ধ করা আরম্ভ হয় এবং আব্দুল্লাহ্ বিন আমর (রাঃ) ‘সহিফায়ে ছাদেকা’ নামক হাদিসের গ্রন্থ রচনা করেন। পরবর্তীতে রাসুলে কারিম (সঃ) বাণীর অনুসরনেই ব্যাপকভাবে হাদিস সমূহ লিপিবদ্ধ করা হয়। এবং এতে যাতে কোন প্রকারের অন্যের কোন কথার সংমিশ্রণ না ঘটে সে জন্যই সনদবিহীন কোন হাদিস লিপির অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এর সূণিপুণ পদ্ধতিদের সংরক্ষনের নজির পৃথিবীতে অন্য মানুষের বানীতে প্রমাণ করতে পারবেন কী? অবশ্যই পারবেন না।

জিব্রাইল (আঃ) একটি কাপড়ে প্রশ্নে উল্লেখিত আয়াতগুলো লিপি আকারে রাসুলে কারীম (সাঃ) সম্মুখে পেশ করেই তিনি নবী করীম (সাঃ) পড়তে বলেছিলেন। রাসুল কারীম (সাঃ) পড়তে অপরাগতা প্রকাশ করায় তিন বার জিব্রাঈল (আঃ) কর্তৃক মেয়ানাকার (কোলাকোলী) পর তিনি জিব্রাঈল আঃ পাঠের সংগে সংগে পাঠ আরম্ভ করেন। এবং তা মুখস্ত ও সংরক্ষণ করতে সংক্ষম হন। আল্লাহ পাক যেহেতু সর্বজ্ঞাত কে কখন কী করবে তা পূর্ব থেকেই তিনি জানেন বিধায় তিনি লওহে মাহফুজে সংরক্ষণ করেছেন। সুতরাং তারা আল্লাহ্ কর্তৃক নির্ধারিত বিধায় পাপ পঙ্কিল কাজে লিপ্ত হয় না।

বরং তারা ঐসব কাজে লিপ্ত হবে জেনেই আল্লাহ তা’লা লওফে মাহফুজে তা সংরক্ষণ করেছেন। এতে তাঁদের পাপ পূণ্য হবে না কেন? আল্লাহ তো কাউকে ঐসব কাজ করতে বাধ্য করেননি। বরং তা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। এজন্যই তারা ঐ সব কাজে লিপ্ত হলে পাপিষ্ট বলে গণ্য হবে। ইহা ছাড়াও আল্লাহ তা’লা যেসব কাজ করেন সে সম্পর্কে তিনি জিজ্ঞাসিত হবেন না আর মানুষেরা যেসব কাজ করে যে সম্পর্কে তাঁরা জিজ্ঞাসিত হবে-সুরা আম্বিয়া-আয়াত নং ২৩


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.