প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।
দেখতে দেখতে চেনা ছড়া - ১, চেনা ছড়া - ২....শেষ হয়ে চেনা ছড়া - ৫০
নাম্বার পোস্টে এসে পৌছে অর্ধশতক করেছে। সে উপলক্ষে ১৫০টি ছড়া এক সাথে। আশা করি, পাঠকদের ভালো লাগবে।
--------------------------------------------------------------------------
(১)
আমাদের ছোট গাড়ি
চলে বাঁকে বাঁকে,
শহরেতে সারাদিন
জ্যাম লেগে থাকে।
(২)
ছিপখান তিনদাঁড়
তিন কাঠমোল্লা
ঘুষখোর, ভোটচোর,
সরকারী আমলা।
(৩)
পুলিশ পুলিশ ডাক পাড়ি,
পুলিশ ঘুমায় তার বাড়ি।
আয়রে পুলিশ পথে আয়,
সন্ত্রাসী সব লুটে খায়।
(৪)
সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি
সারা দিন আমি যেন ঘুষ খেয়ে চলি,
অফিসের দরকারী ফাইল যত বাকি
ড্রয়ারেতে সব ফাইল তালা মেরে রাখি।
(৫)
ফুটপাথ ছিল যাহা (ব্যাকরণ মানি না),
হয়ে গেল বাজার সে কেমনে তা জানি না।
তরকারীওয়ালা কহে, "বাহবা কি ফূর্তি!
অতি খাসা এ বাজার থাকে ক্রেতা ভরতি। "
(৬)
হাসপাতালে রোগীর মাথায়
হাত উঠেছে ঐ,
ফার্মেসীতে ভেজাল ওষুধ
ওষুধ পাবে কই?
(৭)
আর্মী পুলিশ নাই কারো হুশ
সবাই দেখি খায় শুধু ঘুষ
বলবো কী আর র্যাবের কথা
নাইকো তারও হাত পা মাথা৷
(৮)
আয়রে আয় টিয়ে
স্লোগান মিছিল নিয়ে,
ঢিল মেরেছে গাড়ির কাঁচে
তাই না দেখে টোকাই নাচে৷
(৯)
যায় যায় কত মামা
ঘুষ দিয়ে যায়,
আটকানো ফাইলের
হুঁশ দিয়ে যায়৷
(১০)
আয় চোরেরা, ঘুষখোরেরা
নির্বাচনে যাই,
এম পি হয়ে চুরির সুযোগ
ছাড়তে কভূ নাই।
(১১)
আইকম বাইকম,
সন্ত্রাস চাই কম৷
প্রয়োজনে পুলিশের
সার্ভিস পাই কম৷
(১২)
শিবঠাকুরের বাংলাদেশে
চিকিৎসকরা সর্বনেশে,
মাথার ব্যাথা হলে পরে
পায়ের ব্যাথার পথ্য করে৷
(১৩)
রাজনীতিবিদ দল
তারা নীতিতে দুর্বল,
তাদের মুখে বড় বোল
তারা খায় যে শুধুই ঘোল।
(১৪)
ঐ দেখা যায় সংসদ
ঐ নেতাদের গাঁ,
ঐ খানেতে ঝগড়া করে
রাজনীতিবিদরা৷
(১৫)
খেলায় জেতার সাহসখানি
যে রাখে না মাঠে,
প্যাভিলিয়ন মুখেই সদা
সে ব্যাটসম্যান হাঁটে।
(১৬)
আমপাতা জোড়া জোড়া
চোর ডাকাতে দেশটা ভরা,
যাচ্ছে না তো কাউকে ধরা
র্যাবের মাথায় গোবর ভরা৷
(১৭)
'ধরাধরি' জিনিসটা
অতি চেনা আমাদের,
চাকুরীটা পেতে হলে
ধরা চাই মামাদের৷
(১৮)
হরতাল হরদম
মিছিলেতে মারে বোম,
রাজনীতি করে যারা
তারা বড় বেশরম৷
(১৯)
যখন যেদিক যেইখানে যাই
নিরাপত্তা কোথাও যে নাই,
গলি সড়ক সবখানে ভাই
সকাল বিকাল হয় ছিনতাই৷
(২০)
বাবুই পাখিরে ডাকি কহিছে চড়াই,
শুনে রাখো এত বেশী কোর না বড়াই৷
কলকাঠি আছে যত আমি যে নড়াই,
যারে খুশী যেথা খুশী সেখানে সরাই৷
(২১)
আমি দেব সকল কাজে ফাঁকি
সরকারি ঐ অফিসগুলোয় কাজ করে কেউ নাকি?
অন্যায় আর দুর্নীতিতে থাকব আমি লেগে,
সরকারী লোক বড়ই পাজি বলবে সবাই রেগে৷
(২২)
সাফ গেমসে পদক পাওয়া
নয়তো ভীষণ হার্ড,
তিনজনেরই কম্পিটিশনে
একজন হয় থার্ড।
(২৩)
আমরা ছাত্র আমরা বল
আমরা ছাত্রলীগ।
আমরা সন্ত্রাস আর হানাহানি
ছড়াই চারিদিক।
(২৪)
কিছু কিছু বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের
মানুষ সকল,
সরকারি সব জমিগুলো নিয়ম ছাড়াই
করছে দখল।
(২৫)
বাবুরাম সাপুড়ে
চুপিসারে দুপুরে,
জাল দিয়ে মাছ ধরে
হারুদের পুকুরে।
(২৬)
বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ
কেউ তো কারো ধার না ধারে।
অন্য লোকে যে যাই বলুক,
নিজেই নিজের তারিফ করে।
(২৭)
কিশোর, তরুণ, যুবক, বৃদ্ধ
এই ভয়টি সবার -
ভুলেও যেন খেতে না হয়
ভেজাল দেয়া খাবার।
(২৮)
ছোট মামা রেগেমেগে
বলে বাবা-মাকে,
"চাকুরিটা পেতে হলে,
ঘুষ দেয়া লাগে। "
(২৯)
পান্তা খাচ্ছে মানুষ এখন
পোলাও খাওয়া ছেড়ে,
বাজারেতে দ্রব্যমূল্য যাচ্ছে
যে রোজ বেড়ে।
(৩০)
একটি উপায় হলো
শিশুটিকে রক্ষার,
শিশুটিকে টিকা দেয়া
হাম আর যক্ষ্মার।
(৩১)
ঘুষ খেও না, ঘুষ দিও না,
দূর্নীতিটা ঠেকাও।
আমরা তো নই দূর্নীতিবাজ
বিশ্বটাকে দেখাও।
(৩২)
যাত্রীরা ভাবছে কাঁদবে
না হাসবে,
ছয়টার ট্রেন নাকি
বারোটায় আসবে।
(৩৩)
ভুত বলে কিছু নেই
দিনে সেতো মনে হয়,
রাত হলে আঁধারেতে
কেন জানি লাগে ভয়।
(৩৪)
কিছু দলের কিছু নেতার
নেইতো কোনো বোধ,
যখন তখন করে তারা
সড়ক অবরোধ।
(৩৫)
টেলিফোনে প্রতিদিন
কত কথা হয়।
ভৌতিক বিল দেখে
মনে লাগে ভয়।
(৩৬)
কাঁচা কলা দিয়ে কেউ
তরকারী খায়রে।
'কাঁচকলা' কেউ কভূ খেতে
নাহি চায়রে।
(৩৭)
সরকারী সব কাজে কিছু তো
ঝামেলা রয়।
এগারো মাসের কাজ, বাইশ
মাসে শেষ হয়।
(৩৮)
"'হস্তীমূর্খ তুই'" রেগে গিয়ে
বলে কাকা,
ভাতিজা হাসিয়া কয়, "মরা
হাতি লাখ টাকা। "
(৩৯)
রাজনীতিতে সম্প্রীতি নেই
সবাই জানে ভাই।
সকল দলের মাঝে কেবল
ঝগড়া সর্বদাই।
(৪০)
খবর পাঠক অশুভ সব
খবর দেয়ার আগে,
'শুভ সন্ধ্যা' বলে যদি
রাগটা কেমন লাগে?
(৪১)
চাচা বলেন, "দোয়া পড়ে
বুকের মাঝে ফুঁ দাও।
এনজিও'র এক সংস্থা সবার
টাকা নিয়ে উধাও। "
(৪২)
নতুন ব্রীজ আর নতুন সড়ক
যতই বানাক সরকার,
দারিদ্রতার নিরসনই
সবার আগে দরকার।
(৪৩)
ঝড় বাদলের পরে যারা
থাকেন ত্রাণের আশায়,
ত্রাণতো তারা পান না, সেসব
যায় নেতাদের বাসায়।
(৪৪)
পথের ধারে একটি পাগল
বকছিলো যে প্রলাপ,
ঘুমের আগে সবার নাকি
খাওয়া উচিত জোলাপ।
(৪৫)
ধরার পরে মাছকে যেমন
দেয় না জেলে খাওয়া,
ভোটের পরেও যায় না তেমন
নেতার দেখা পাওয়া।
(৪৬)
মাঠের ধারে যেসব বাদুড়
গাছের ডালে ঝুলতো,
তারা নাকি ভাবতো সবাই
মানুষ থাকে উল্টো।
(৪৭)
বদলি হয়ে আসতে ঢাকায়
সবাই ধরে বায়না,
শহর থেকে গ্রামে যে কেউ
বদলি হতে চায় না।
(৪৮)
বাড়ছে মানুষ দিনে দিনে,
কমছে গাছের সারি।
কেউ বা আবার পাহাড় কেটে
বানাচ্ছে ঘর বাড়ি।
(৪৯)
ভীষণ রেগে বললো মামা,
"আমার কপাল ফাটা।
বাজার থেকে বাসায় ফিরে
দেখি পকেট কাটা। "
(৫০)
"জিয়া বড় ভালো। " বলে
সরকারী আমলা,
হাসিনা গদিতে গেলে
বলে, "জয়বাংলা। "
(৫১)
পয়সা কত হয় যে খরচ
খেলাধূলার নামে।
মানুষ মরে চিকিৎসাহীন
ডাক্তার নেই গ্রামে।
(৫২)
এক নেতা ভাষণেতে
বললেন তুলে হাত,
"অনশন করি আমি
প্রতিদিন সারা রাত। "
(৫৩)
বাংলা ভাষার শব্দগুলোর
আছে নানান ধরণ,
একটা লম্বা শব্দ হলো -
'সংক্ষিপ্তকরণ। '
(৫৪)
নিজের দোষ চাপিয়ে দেয়া
অন্য কারো ঘাড়ে -
এই কাজটি কম্পিউটার
করতে নাহি পারে।
(৫৫)
ইংরেজী আর বাংলা খুশী
অংক শুধু মনমরা,
"কঠিন কঠিন সমস্যাতে আমার
পুরো বই ভরা। "
(৫৬)
রাজধানী ঢাকাতে
সমস্যা অল্প না,
সমাধানে দরকার
ভালো পরিকল্পনা।
(৫৭)
নির্বাচনের কমিশনে ঢুকতে
যে কেউ চায় ঝটপট,
কমিশনে ঢুকতে পারলে ফ্রী
পাওয়া যায় ল্যাপটপ।
(৫৮)
সব লোকে একসাথে দিতে
রাজি সাজা কার?
মুক্তিযুদ্ধে যেই ছিলো
বদ রাজাকার।
(৫৯)
কিছু স্টুডেন্ট পড়ে থাকে
বুদ্ধিমানের মুখোশ তো -
চুপিসারে করে তারা বাংলা,
অংক মুখস্থ।
(৬০)
আয় ছেলেরা বিদেশেতে
বল খেলিতে যাই।
ডজন গোলে হেরে গিয়ে
দেশের নাম ডোবাই।
(৬১)
'হাই', 'হ্যালো', 'থ্যাংকস' - এসব বুলি
সবার মুখে সদাই ছোটে,
ফেব্রুয়ারী এলেই কেবল সবার
মুখে বাংলা ফোটে।
(৬২)
'শিক্ষার আলো' সে তো যাচ্ছে না
প্রতি নীড়ে।
'স্বাক্ষরতার হার' বাড়ছে যে
খুব ধীরে।
(৬৩)
পরের কাছে ধার করে ভাই যায়
তো করা বই যোগাড়,
বইয়ের মত বুকশেলফটাও করা
তো আর যায় না ধার।
(৬৪)
কিছু কিছু কর্মীর মগজে
তো নেই সেন্স,
ঘুষ পেলে দিয়ে দেয়
ড্রাইভিং লাইসেন্স।
(৬৫)
কত মাছ পচে যায় নেই
কোনো সীমা তার,
কিছু কিছু জেলাতে যে
নেই কোনো হিমাগার।
(৬৬)
রাজনীতিতে আসল কাজটি
করে না তো কয়েক দল,
দিন বদলের পরিবর্তে করে
শুধু নাম বদল।
(৬৭)
"প্রেমে সাড়া পাবে আজ" -
লেখা আছে রাশিতে,
তাই দেখে এক বুড়ো
ফেটে পড়ে হাসিতে।
(৬৮)
গাছের সাথে সংঘর্ষে
খুললে গাড়ির চাক্কা,
বললো চালক, "গাছেরই দোষ,
সেই দিয়েছে ধাক্কা। "
(৬৯)
কিছু দলের সব ব্যাটসম্যান ২০০
রানেই আউট হয়ে যান,
অন্য দিকে শচীন সে তো একাই
করে ২০০টি রান।
(৭০)
কিছু বাসে উঠার আগে হয় না
মোটেও যা বিশ্বাস,
ধূলা-বালি, ঝাঁকুনিতে
সব যাত্রীর নাভিশ্বাস।
(৭১)
এক বই থেকে করলে নকল "লেখক
যে চোর" যাবে শোনা।
দশ বই দেখে লিখলে তখন তা
নাকি হয় গবেষণা।
(৭২)
বলেছেন এক নেতা বেশ
ধনী লোক যিনি,
ব্যাংকের কাছে নাকি
থাকবেন চির ঋণী।
(৭৩)
ইটের ভাটা হচ্ছে কত অনুমতি ছাড়া,
ভাটার মালিক মানছে না তো কোনো নিয়মধারা।
এসব ভাটার কালো ধোঁয়ার নেইতো কোনো শেষ,
ভাটার কালো ধোঁয়া দূষণ করছে পরিবেশ।
(৭৪)
ট্রাফিকের সিগনাল ঠিক
মতো জ্বলে না,
রাজপথে গাড়িগুলো ঠিক
লেনে চলে না।
(৭৫)
মেডিকেল কলেজটি দেখে
মরি লজ্জায়,
চার শত রোগী সেথা
পন্চাশ শয্যায়।
(৭৬)
নতুন নতুন কতই রকম
সুযোগেরই হাতছানি,
বিজ্ঞাপনে দেয় প্রতিদিন
নানান মোবাইল কোম্পানী।
(৭৭)
দোকান মালিক বই বিক্রির নতুন
পদক্ষেপ নিচ্ছে,
'মিষ্টি প্রেমের পদ্য' কিনলে মিষ্টি
সাথে ফ্রী দিচ্ছে।
(৭৮)
নেতার কথায় যদিও সব
শ্রোতারা দেয় হাততালি,
কিছু শ্রোতা মনে মনে
নেতাদেরকে দেয় গালি।
(৭৯)
হতাশ মুখে ছাগী বলে
"বড়ই হতভাগী আমি,
তাই যদি বা না হয় তবে ছাগল
কেন আমার স্বামী?"
(৮০)
খেলায় যে দল বেশি ভালো, সেই
দলটি পায় যে কাপ।
নির্বাচনে ঠিক করা হয় কোন
দলটি কম খারাপ।
(৮১)
অনেক নেতা পেতেন আগে
ভালো কাজের পুরষ্কার।
অকাজ করার জন্যে এখন
নেতারা হন বহিষ্কার।
(৮২)
দুদকের কর্মীরা মাঠে
যেই নেমেছে,
কিছু কিছু অফিসেতে ঘুষ
খাওয়া থেমেছে।
(৮৩)
পুলিশ যে রোজ শুনছে কত
দূর্ঘটনার কেস,
শহর জুড়ে বহুত গাড়ির
নেই কোনো ফিটনেস।
(৮৪)
কতই পরিকল্পনা যে হয়
তারপরে সব বন্ধ,
সেসব বাস্তবায়ন করার
নেই কোনো নামগন্ধ।
(৮৫)
প্রতিদিনই যায় যে দেখা
নিউজ হেডিং -
"যখন তখন হতে পারে
লোডশেডিং। "
(৮৬)
সংসদে করে যারা খারাপ
ভাষায় চিৎকার,
জনগণ সে সব লোককে
দেয় যে শুধু ধিক্কার।
(৮৭)
কত রকম হুঁশিয়ারি হচ্ছে
দেয়া বারবার,
তা সত্ত্বেও সবখানেতে
চলছে ঘুষের কারবার।
(৮৮)
ওজনেতে দেয় যে ফাঁকি কিছু
দোকান হাট পাড়ায়,
আটশত গ্রাম ওজন থাকে এক
কেজির ঐ বাটখারায়।
(৮৯)
বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের
পিচের সাথে নেই সখ্য,
পীচের সকল সুবিধাটা নেয় যে
শুধুই প্রতিপক্ষ।
(৯০)
পথে-ঘাটে যেসব লোকে
বিক্রি করে মলম,
সেসব লোকে ডাক্তারিতে
আসলে বকলম।
(৯১)
এক কাঠুরের হাত দেখে এক
জ্যোতিষ বললো, "ছাই!
এই কাঠুরে ব্যাটার হাতে
কোনো রেখাই নাই।
"
(৯২)
সরকারী দূর্নীতিতে যদি মামলা
করে বিরোধী জোট,
সে সব মামলা সবসময়ই বাতিল
করে দেয় হাইকোর্ট।
(৯৩)
হকার উচ্ছেদ করার আগে
কেউ কি কভূ ভাবে -
এখান থেকে উঠিয়ে দিলে
কোথায় তারা যাবে?
(৯৪)
দেশপ্রেম আছে যার
তারে ভালবাসি -
এই কথা বলে নেতা
হয়েছে প্রবাসি।
(৯৫)
ছোট শিশু দুধ খেয়ে
ভরপুর করে পেট,
মাথামোটা লোকে খায় পান
আর সিগারেট।
(৯৬)
একই নেতার মুখে শুনি
নানান রকম গীতি,
বাংলাদেশে এটাই নাকি
ঘরোয়া রাজনীতি।
(৯৭)
কলেজে এক ফাজিল ছেলে
ভাব জমাতে খুঁজছে নারী,
তার পাশে এক ভদ্র ছেলে
পড়ছে বসে ডিকশনারী।
(৯৮)
বাজারেতে লোক ধরেছে
একটা ভুয়া পুলিশ,
পয়সা ছাড়াই কিনতে নাকি
চাইছিলো সে ইলিশ।
(৯৯)
যার কোনো মায়া নেই
গরীবেরই দুখে,
সবে মিলে পচা ডিম
মারো তারই মুখে।
(১০০)
যে দেশেতে ট্র্যাফিক জ্যাম আর
লোডশেডিংয়ের নেই তো শেষ,
সেই দেশেরই নাম দিয়েছে -
"ডিজিটাল বাংলাদেশ। "
(১০১)
সরকারী অফিসেতে করে যারা কাজ,
সকলেই জানে তারা মহা ফাঁকিবাজ।
অফিসের ফাইল যত থাকে দরকারী,
সব ফাইল সাথে করে নিয়ে যায় বাড়ি।
(১০২)
খুকুমণি বলে মাকে, "বলো
দেখি কী হতো?
সব কাক এক সাথে হতো
যদি নিহত?"
(১০৩)
মন্ত্রীদেরকে বলছে লোকে,
"ঐ উজবুক কাঁহাকার,
দেশে কেন পানি নিয়ে চলছে
এতো হাহাকার?"
(১০৪)
যে সব যুবক উশৃংখল, ফাজিল
এবং বখাটে -
তাদের উপর কিল, ঘুষি, চড় চালাও
সবাই সপাটে।
(১০৫)
ভালো ছাত্র গড়ার জন্যে
গড়তে হবে স্কুলটাকে,
পরীক্ষার প্রশ্নে যেন একটুও
না ভুল থাকে।
(১০৬)
টাকডুম টাকডুম ঢোলক বাজে,
ছেলেবুড়ো সবাই সাজে।
নানান রকম মেলা বসে,
পয়লা বৈশাখ যখন আসে।
(১০৭)
সন্ধ্যেবেলা লোডশেডিংয়ে ভাবছে
দাদা কী করিবেন?
অন্ধকারে নাই তো আলো, নাইতো
ঘরে মোম-হারিকেন।
(১০৮)
অবাক লাগে খবর দেখে পত্রিকার
ঐ নিউজ হেডিংয়ের,
এই আধুনিক যুগেও নাকি খোঁজ
পাওয়া যায় ভন্ড পীরের।
(১০৯)
পত্রিকাতে খবর পড়ে
জনগণের মুখটা চুন,
কোথায় নাকি দিন-দুপুরে
পুলিশ নিজেই হচ্ছে খুন।
(১১০)
একটা ফকির চাল না চেয়ে
চাইছে পানি ভিক্ষা,
উঁকি দিয়ে দেখি ব্যাটা
তুলছে শুধু হিক্কা।
(১১১)
ভাবছে দাদা একা বসে, যোগ
দেবেন যে কোন দলে?
দুই নাতির দুই আলাদা দল
দু'টোই ভরা কোন্দলে।
(১১২)
যেসব ফাজিল ছাত্রনেতা
দেয় যে বাসে আগুন,
তাদের বিরোধিতায় সবাই
উঠে পরে লাগুন।
(১১৩)
মোটা লোকটি বলছে, "প্রভূ
আমায় করো শুকনো,
কিংবা মোটা করো তাদের
এখন যারা রুগ্ন। "
(১১৪)
নির্বাচনকে নিয়ে নেতার মত
থাকে যে দুই রূপী,
জিতলে তা হয় নিরপেক্ষ
হারলে তা হয় কারচুপি।
(১১৫)
আমার এক বন্ধুকে
যদি কিছু দেই ধার,
তখনই তার নাকি
হয় আলঝেইমার।
(১১৬)
সারাটা দিন খোকাবাবুর
বিশ্রাম নেই দু'দন্ড,
করছে সে যে যখন তখন
নানান ময়না তদন্ত।
(১১৭)
গার্মেন্ট, কারখানার মালিক
থাকেন যারা গদি বসে,
শ্রমিকদের জন্যে তারা ভাবেন
কেবল 'মে দিবসে'।
(১১৮)
ছেলে বলে, "তোমায় কাছে
চায় যে পেতে এ মন।
মেয়ে বলে, "প্রেমে তোমার
অভিজ্ঞতা কেমন?"
(১১৯)
যেসব লোকের মাথায় গোবর,
ঢিলা মাথার বল্টু নাট;
সেসব লোকেই বিদ্যালয়ের
মাঠে বসায় গরুর হাট।
(১২০)
কাস্টমসে পাওয়া গেলে
সোনার গয়না, চুড়ি,
কিছু কর্মী সাবধানেতে
করেন সেসব চুরি।
(১২১)
সোনা বাবুর মুখটি সরল
হাসছে যেন হিসাব করে,
কোলে নিতেই ফাজিল বাবু
দিলো হঠাৎ পেশাব করে।
(১২২)
"ফ্রেন্চ ফ্রাইয়ের প্যাকেটটি দাও"
দোকানীকে বলেন কর্তা,
গিন্নি বলেন, "আমাকে দাও
দুইটি প্যাকেট আলু ভর্তা।
"
(১২৩)
চেয়ারেতে একা বসে
ভাবে শুধু হাঁদা -
'মোর নাম শুনে যদি
লোকে দিতো চাঁদা। '
(১২৪)
কিছু পুলিশ সুযোগ পেলেই
মানুষ মারে ক্রসফায়ারে,
মানুষ মারার নিয়ম যেন
আছে তাদের এখতিয়ারে।
(১২৫)
ক্ষমতায় গেলে পরে
নেতা আর চামচায়,
মানুষের টাকা থেকে
শুধু খালি খামচায়।
(১২৬)
যুবতীকে দেখে যুবক
হাসি দিলো বিশেষ,
মুখের হাসি নিভলো যখন
শুনল সে যে মিসেস।
(১২৭)
দলের কিছু কর্মী ডেকে
বললো তাদের দলপতি,
"নতুন সভা ডেকে আমায়
বানাও প্রধান সভাপতি।
"
(১২৮)
"বেশি বই পড়" - বলেই
যেসব লোকে খুশী,
সেসব লোকেই বইয়ের মূল্য
রাখে অনেক বেশি।
(১২৯)
পড়াশোনার যুদ্ধে যেসব
ছাত্র পরে ঝাঁপিয়ে,
জেতে শুধু তারাই যারা
পায় যে ভালো জিপিএ।
(১৩০)
ব্যাংক থেকে কেউ যদি
নিতে চায় টাকা ধার,
ব্যাংককে দেখাতে হয়
আছে বেশি টাকা তার।
(১৩১)
কিছু ফাজিল বাড়িওয়ালার
থাকে অনেক তাড়া,
প্রতি বছর কারণ ছাড়াই
বাড়ায় বাড়ি ভাড়া।
(১৩২)
কিছুই বোঝা যাচ্ছে নাতো
দু'পত্রিকার খবর পড়ে,
এ পত্রিকার খবর লেখা
ও পত্রিকায় উল্টো করে।
(১৩৩)
পাঁচ/দশটি টাকা চেয়ে
চাঁদাবাজির শুরু
এখন হাজার/লাখ টাকা চায়
চাঁদাবাজের গুরু।
(১৩৪)
চুল কালো, আঁধার কালো,
কালো গাছের কোকিল,
"টাকাও কালো," বললো কালো
পোশাক পরা উকিল।
(১৩৫)
সরকারী এক ক্যাডার ভাবে -
হোক না যতই মামলা,
আমার ডেরায় পুলিশ কভূ
করবে নাতো হামলা।
(১৩৬)
হরতাল দরকারী যদি
আমি হরতাল ডাকি,
হরতাল ক্ষতিকর যদি
আমি ক্ষমতায় থাকি।
(১৩৭)
বদ লোকে বেচে আম
কেমিকেলে পাকিয়ে,
বোঝা কিছু যায় না যে
খালি চোখে তাকিয়ে।
(১৩৮)
হাতি দেখার শখ হলে ভাই
হঠাৎ মনের ভুলে,
দেখতে হাতি যেও নাকো
ঢাকার হাতিরপুলে।
(১৩৯)
নেতা বলে "দূর্নীতি
নিয়ে কোনো ব্যাপারে,
আমি কিছু বলবো না
কোনো নিউজপেপারে। "
(১৪০)
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানকে
খেলতে দেখে ডাংগুলি
আম্পায়ার বিনা বাক্যে
তুললো যে তার অংগুলি।
(১৪১)
যে পাজীটা কলা খেয়ে
ফেললো পথে ছিলকে,
হাঁটার সময় আছাড় খেলো
দেখতে গিয়ে চিলকে।
(১৪২)
'ছাত্র' ভেবে চাইলো পুলিশ
হলের পরিচয়,
মুচকি হেসে ক্যাডার দিলো
দলের পরিচয়।
(১৪৩)
হাসপাতালে যেসব কর্মী
ফাঁকি দিতে ভালবাসেন
সবাইকে যায় দেখা যখন
মন্ত্রী সেটি দেখতে আসেন।
(১৪৪)
দেখতে লাগে দারণ যখন
সকল বিবাদ ভুলি,
বিপক্ষ দুই দলের নেতা
করেন কোলাকুলি।
(১৪৫)
"বাকি সকল খারাপ দলের
পুড়ি আমি খেতা,
আমার দলই ভালো শুধু,"
বললো যে এক নেতা।
(১৪৬)
বখাটে আর ফাজিল যেসব
যুবক আছে পাড়াতে,
তাদের ধোলাই দেয়ার জন্যে
শিখছে আপা কারাতে।
(১৪৭)
সরকার যে পরিমাণে
টাকা রাখে বাজেটে
'ভুতে' করে চুরি তাহা
লাগে নাতো কাজেতে।
(১৪৮)
যেসব নেতা বলেন মুখে
গাছ লাগানো ভাল কাজ,
বিশেষ দিবস ছাড়া তারা
নিজেরা কি লাগান গাছ?
(১৪৯)
টিচার যখন বললো, "তোরা
আলোর গতি শেখ। "
ফাজিল ছাত্র বললো, "কত
অন্ধকারের বেগ?"
(১৫০)
নানা বলে, "বড় হয়ে
কী হবি রে নাতি?"
নাতি বলে, "বড় হয়ে
হবো আমি হাতি। "
মনিরুল হাসান,
ফ্লোরিডা, যুক্তরাষ্ট্র।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।