আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছন্নছাড়া

বাংলায় লেখি,বাংলায় বুঝি,বাংলায় হাসি, বংলায় কাদিঁ।

ছন্নছাড়া আমার জীবনের অতীত মনে করতে চাইলে ১৯৯৮ এর আগের কিছুই মনে পরে না। ১৯৯৮ ছিল আমার জন্যে যুগান্তকারী। কেন? ঐ বছরেই আমি প্রথম বাসা ছেড়ে একটা ওয়ান্ডার ল্যান্ডে গিয়েছিলাম, আর সেই ওয়ান্ডারলেন্ড এর নাম DRMC হোস্টেল লাইফ তখন, ক্লাস থ্রি তে পরি কত ফ্যেন্টাসি কাজ করত। যাই হোক, তবে কি কারনে যে আমি ১৯৯৮ এর আগের কোনো অতীত মনে করতে পারি না তা একেবারেই জানা নেই।

আজকের আমির পেছনে সবকিছুতেই মিশে আছে DRMC. এখন আমি আছি ইষ্ট ওয়েষ্ট ইউনিভার্সিটিতে। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির পড়াশোনার ভিষন চাপেও আমি অনেকটা নির্ভার। জীবন চলছে ছন্নছাড়া ভাবে। খাচ্ছি তো ঘুমাচ্ছি না , ঘুমাচ্ছি তো খাচ্ছি না, যখন তখন আড্ডায় যোগ দিচ্ছি। আর পড়ালেখা??? সেটা আবার কি? প্রায় ছয় মাস ঝাড়ি খাওয়ার পর গত মাসে একটা গল্প লিখলাম, উদ্দেশ্য শর্ট ফিল্ম বানানোর।

অবশেষে ইউনিভার্সিটির সবচেয়ে আড্ডাবাজ গ্রুপটা আড্ডা বাদ দিয়ে শেষ পর্যন্ত কিছু একটা করতে মাঠে নামল এটা চিন্তা করেও অনেক ভাল লাগে। তবে কথা আছে না ঢেকি স্বর্গে যেয়েও ধান ই ভাঙ্গবে? আমাদের ব্যপারটিও এমন গত এক মাসে কাজ কিছুই আগায় নি, কিন্তু তার মানে এই না আমরা সিরিয়াস না, তার মানে এই না যে আমরা কাজটা করতে অলসতা করছি। ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দেয়ার পর দেখা যাচ্ছে একটু কাজ করছি। কিন্তু আমরা জানি আমরা পারব। কারন আমারা যা করি বুকের গভীর থেকে করি।

শুধু করতে হবে তাই করি এমন না। গত পরশু দিন আমাদের শুটিং এর প্রথম দিন ছিল। দিনের শুরু টা অনেক ইন্টারেষ্টিং ভাবে, যাই হোক সেদিকে না গেলাম। (সবাইরে বল্লে মাইর খাওয়ার পসিবলিটি আছে :-D) আর দিনটা আমার জন্যেও পারসনালি অনেক মজার... দিনের স্টার্টিং টা স্পেশালি। যাই হোক সাড়ে আট্টায় একটা ক্লাস ছিল ক্লাস টা করে নিচে নামলাম।

ডি ডি সি বিল্ডিং এর নিচে বসে পড়লাম সবাই আসল একে একে। সবই ঠিক কিন্তু উপর ওয়ালা বাধ সাধল। আকাশ মুখ কাল করে ঝুম বৃষ্টি নামল... আনএক্সপেক্টেড ডিলে .... জিনিস টা অসঝ্য লাগে... এক সময় আকাশ একটু পরিষ্কার ও হলো অনেক ঝামেলা শেষ করতে হল তার পর... বাংলাদেশের রাস্তা ঘাট যে কাদা কর্দমাক্ত এটা সবার ই জানা... বৃষ্টির জন্যে স্টাডি রুমে আশ্রয় নিতে হয়ে ছিল । নেমে দেখি যেটা শুটিং এর স্পট সেটা কাদায় মাখা মাখি... নায়িকারে বসাব কই??? শেষ পর্যন্ত টিশু আর মিনারেল ওয়াটার কিনে আনা হল যায়গাটা ক্লিন করে কাজ শুরু.... জীবনে আমরা কখনো শুটিং এর কাজ করি নাই । তাই এই ব্রেন্ড নিউ অভিজ্ঞতাটা খারাপ লাগল না।

কাজ ভালই হল । অল্প হল বাট যা হল তা সলিড এবং পারফেক্ট। যতটুকু সম্ভব ন্যাচারাল রাখার চেষ্টা করলাম। শুটিং এর শেষে একটা কথাই মনে হল ... টাফ অনেকট টাফ একটা কাজ হাতে নিয়েছি... মে বি আমাদের মত ছন্নছাড়া তাল ছাড়া মানুষের এই রকম একটা কাজে হাত দেয়া ঠিক হয় নাই। বাট আমি এটাও জানি কেউ যোদি করতে পারে আমরাই পারব।

আমাদের ফ্রেন্ড সারকেল এর এক একটা চরিত্র যে অদ্ভুত আজগুবি সব কান্ড করে বেড়ায়, যে জিনিয়াস এক একটা হয়ত আমাদের কারো মোটেও ভাল রেজাল্ট নাই কারো কিন্তু আমি জানি এক একটা এরা জিনিয়াস... রেজাল্ট কি সব কথা বলে??? আমাদের এই ছন্নছাড়া মনোভাবই আমাদের একদিন পথ দেখাবে... ছন্নছাড়া থেকেই আমাদের জীবনের ছোটো ছোটো গল্পগুলো নিয়ে আমরা কাজ করে যাব জীবনের মানে আমাদের কাছে অনেক ভাল সিজিপিয়ে না জীবন টা শুধু বাধা ধরা নিয়মে ভরা এটা আমরা বিশ্বাস করি না। ইউনির আড্ডাবাজ এই বাউন্ডুলে ছেলে গুলোই একদিন আঙ্গুল তুলে দেখাবে জীবন সে অনেক ভিন্ন জিনিস... খালি যান্ত্রিকতায়, নিয়মে, আর সিরিয়াসনেস এ জীবন এর অর্থ খুজে পাওয়া যায় না মাঝে মধ্যে উশৃঙ্খল হতে হয় মাঝে মধ্যে নিয়ম ভাঙ্গতে হয় । সমাজের নিয়ম ভাঙ্গা আমাদের এই বন্ধুগুলাই একদিন প্রত্যেকে নিজের আলোয় বিকশিত হোক... আমরা ছন্নছাড়া

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।