বাস্তবতার ভার্শন ২.৭.১২ এ আছি। নিয়মিত আপডেট হচ্ছি। ওয়াল্টনের Primo H2 এর প্রি-অর্ডার করে আসলাম আজকে। N1টা মনে হয় ল্যঞ্চ হয়েছে প্রায় মাস খানেক হলো। এরই মাঝ N1 এর পাশাপাশি H1, X1, মার্কেটে এসে পড়েছে।
আবার সামনের মাসে H2 ল্যঞ্চ হবে বলে জানালো। অথচ D1, G1 ই মার্কেটে তেমন অ্যাভেইলবল না। নিঃসন্দেহে ওয়াল্টন বেশ ভালো মানের স্মার্টফোন বাজারে এনেছে। কিন্তু একেক সেটের বিশেষত্ব একেক রকম। কোনটার ডিসপ্লে বড় তো, কোনটার ক্যামেরা, কোনটার ক্যামেরা ভালো তো কোনটার প্রসেসর ভালো, ইত্যাদি ইত্যাদি।
অথচ মাত্র দুইটা সেটই যদি তারা সব রকমের সুবিধা দিয়ে মার্কেটে আনতো এবং ল্যঞ্চ হওয়ার পর সেটগুলো অ্যাভেইলবল থাকতো, তাহলে সবাই দুনিয়ার সব সেট বাদ দিয়ে ওয়াল্টনের জন্যই হুমড়ি খেয়ে পড়তো। ক্রেতাদের ফাদে ফেলতে গিয়ে তারা এমনই পলিসি করে ফেলেছে যে ক্রেতারা আস্তে আস্তে দ্বিধায় ভুগছে কে কোনটা কিনবে?
খুব সম্ভবত ১৫৫০০ টাকা হবে। প্রি-অর্ডার করলে ২% থেকে ৬০% পর্যন্ত ডিস্কাউন্ট পাবেন। আর প্রোডাক্ট বাজারে আসতে পারে মে'র শেষের দিকে বা জুনের শুরুর দিকে। আমি আজকে এটার অর্ডার দিয়ে আসলাম।
N1 এ সমস্যাটা আমার কাছে ঠেকেছে, সেটা হল, সাইজটা একটু বড়। কানে দিয়ে কথা বলতে গেলে এই ফোনের ক্ষেত্রে কিছুটা অস্বাভাবিক লাগবে। H2 সাইজে কিছুটা ছোট হওয়ায় স্বাভাবিক লাগে। আর তাছাড়া যে কেউ N1 দেখে গ্যালাক্সী এস থ্রী মনে করবে। তাই ছিনতাইকারীর নজরটাও একটা বিরাট সমস্যা হতে পারে।
আর যাই হোক, যষ্মীন দেশে যদাচার। N1 এ গরিলা গ্লাস নেই, তাই হাত থেকে পড়ে গেলে ডিস্প্লে ভেঙে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকেই। H2 তে গরিলা গ্লাস থাকায় সেই সম্ভাবনা খুব কম। কেউ স্বচ্ছায় আছাড় না মারলে সামান্য হাত থেকে পড়ে গেলে কিছু হবে না। H2 তে ফ্রণ্ট ক্যামেরা ৩.০ মেগাপিক্সেল N1 এ ২.০।
আর বাকী সব কনফিগারেশন প্রায় একই। আর চাইনীজের কথা বললে বাংলাদেশে আমদানিকৃত প্রায় সব ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসই চাইনীজ। চাইনীজে ইলেক্ট্রিক প্রোডাক্ট আমাদের দেশে তাঁত, নকশী কাথা, রেশমী কাপড়ের কুটির শিল্পের মতো। চাইনীজ পণ্য সস্তার তিন অবস্থাও যেমন আছে, তেমনি যুদ্ধের জন্য ট্যাঙ্কও আছে। কে কীভাবে ইনভেস্ট করছে সেটাই দেখার বিষয়।
ওয়াল্টনের সেটগুলোতে N1 এর পর যে কয়টি সেট বেরিয়েছে, সেগুলোর প্রায় সবগুলোরই কনফিগারেশন বেশ উন্নত মানের। অন্যান্য ব্রাণ্ডের সেটগুলোর ক্ষেত্রে যা দেখেছি, তার সঙ্গে মিলিয়ে নিলে তেমন কোন পার্থক্য নেই। আর ওয়াল্টনের সেটগুলোর দাম কম হওয়ার কারণ, বাইরের দেশের ফোন এদেশে আমদানী করলেই একটা ট্যাক্স দিতে হয়, তারমাঝে বাইরের দেশের ইঞ্জিনিয়ার, মেকানিকদের বেতন বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ার, মেকানিকদের চেয়ে বহুগুণ বেশি। যেহেতু কম দামে শ্রম পাওয়া যাচ্ছে এবং কেবল কাঁচামাল দিয়েই ফোনগুলোক ম্যানুফেক্ট করা যাচ্ছে, সেহেতু অতিরিক্ত চার্জের প্রয়োজনই নেই। ছোট্ট এই একটা কথাই কেউ বুঝতে চায় না।
প্রি-অর্ডার করলে সেট প্রতি ১০০০টাকা জমা দিয়ে একটা রিসিপ্ট নিতে হবে। তারপর রিসিপ্টে আপনার দেওয়া নাম্বারে ফোন দিবে, যখন সেটটা মার্কেটে আসবে। প্রি-অর্ডারের সুবিধা একটাই, সেট বাজারে আসার পর শেষ হয়ে গেলেও আপনার জন্য স্টকে ঠিকই থাকবে। তবে ফোন করার ১৫ দিনের মধ্যে আপনাকে সেটটির বাকী টাকা দিয়ে কালেকশন করে নিতে হবে। আর ইন্ট্যাক্ট বক্সের ভেতরে একটি স্ক্রাচ কার্ড থাকবে, ওটাতে যা ডিস্কাউন্ট পাবেন, সেই টাকাই আপনাকে শোধ করতে হবে।
১৫ দিনের মধ্যে সেট না সংগ্রহ করলে এই ১০০০ টাকা ফেরত দেওয়া হবে না। প্রি-অর্ডারে ডিস্কাউন্টের সিস্টেমটা যতটা না ক্রেতাদের কাছে টানছে ততটাই দূরে ঠেলে দিচ্ছে প্রোডাক্টের স্বল্পতার কারণে। ওয়াল্টনের বেশ সুন্দর একটা সুযোগ ছিল মোবাইলের মার্কেটটা দখল করার। এখনো আছে, তবে দরকার শুধু একটা গ্রহনযোগ্য পলিসি। অল্পটাকায় বিশ্বমানের একটা মোবাইল ফোন যদি কেউ পেয়ে যায়, তখন যে কেউই কিনবে।
যাদের কেনার, তারা ঠিকই ওয়াল্টন কিনবে, আর যাদের কেনার না, তারা ৪৫ হাজার টাকার সেট ১৮ হাজার টাকায় পেলেও কিনবে না, উলটা চাইনীজ বলে খোঁড়া যুক্তি দিবে।
ওয়াল্টনের এই সমস্যার সমাধান কেবল তাদের নীতি-নির্ধারকদেরই। আমার কাছে সত্যিই খুব খারাপ লাগছে যে, ওয়াল্টন এত ভালো ভালো প্রোডাক্ট আনার পরেও নিজেদের ভুল পলিসির কারণে বাংলাদেশের মার্কেটটা দখল করতে পারবে না। এবং পরবর্তীতেও কোন বাংলাদেশী পণ্য কেনার দিক থেকে ক্রেতাদের বিমুখী করে ফেলবে আজকের এই ভুলগুলোর কারণে।
যারা এক্সট্রীম ইউজার, তারা একটা 5000maH এর পাওয়ার ব্যাঙ্ক কিনে নিতে পারেন।
এক্ষেত্রে এলিফেন্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার থেকে কিনলেই বেশি ভালো হবে এবং কেনার সময় অবশ্যই ওয়ারেন্টি দেখে কিনবে। খরচ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০০০ টাকা। কিছুটা বেশিও লাগতে পারে। এটা দিয়ে যেকোন ধরণের ফোন চার্জ করতে পারবেন। এমনকি ল্যাপটপও।
আর এটা দিয়ে H2 আড়াইবার চার্জ করা যাবে।
যারা সেটটির কনফিগারেশন জানতে চান, তাদেরকে ওয়াল্টনের ওয়েবসাইটের সৌজন্যে তথ্যগুলো দিয়ে দিলাম।
সবাইকে ধন্যবাদ। কেউ যদি কষ্ট করে পোস্টটি পড়ে থাকেন, এবং বাংলাদেশী পণ্য কেনার জন্য মনঃস্থির করেন, তবেই আমার পরিশ্রমটা সার্থক হবে। সবাইকে বিদায় জানিয়ে পোস্টটি শেষ করছি।
ধন্যবাদ।
Network standard
Band: GSM 850/900/1800/1900 MHz, UMTS 2100 MHz
Network speed: GPRS / EDGE/ 3G / HSDPA / HSPA+
Network type: dual card dual standby, UMTS, GSM
HSDPA: Category 24, 42.2Mbps
HSUPA: Category 7, 11.5Mbps
Smart phone
Operating system: Android OS 4.2 (Jelly Bean)
Number of cores: Quad-core
CPU: 1.2 GHz Cortex A7
GPU: PowerVR SGX 544
Memory
RAM: 1 GB
Internal memory: 4 GB
External Memory: Up to 32 GB expandable (SD card)
Display
Screen Size: 4.5”
Screen type: Full Angle View IPS (Support 16.7M colors)
Resolution: qHD (960 X 540) pixels
Gorilla Glass: 1st generation
Touch type: capacitive touch (Five fingers multi-touch)
Camera
Front: 3.0 mega pixels
Rear: 8.0 mega pixels with auto focus and face detector
Full high definition (1080P) video recording
Sensor
Compass, Accelerometer (3D), Light Sensor, Orientation Sensor, Proximity,
GPS module: GPS with A-GPS network-assisted GPS navigation function
FM Radio
Yes (with recording)
Connectivity
Bluetooth: BT4.0, Low Energy (LE)
Wi-Fi: 802.11b/g/n, support WIFI router, WAPI
USB: Micro USB V2
Battery capacity: 2050mAh
Phone Size: 132 × 68 × 10.5 mm
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।