নুড়ি
-------------------------------------------------
সেই কবে এক সন্ধ্যাবেলায় সমুদ্রসৈকতে
কুরিয়ে পায়েছিলাম আমি ছোট্ট একটা নুড়ি।
তখন আমার বয়স কত? ত্রিশ-বত্রিশ হবে,
তোমার তখন বড়জোর উনিশ কিংবা কুড়ি।
অভিভূত চিত্ত আমার তাই নে' ছিল মেতে।
হারিয়ে- যওয়া সেই নুড়িটি এখোনো চাই পেতে।
নুড়ি কোথায়? কোথায় নুড়ি,কোথায় আমার নুড়ি?
নুড়ি এখন সাগরজলে করছে লুকোচুরি।
এক সাগরের নুড়ি আমি সাতসানরে খুজি,
আবার তাকে খুজে পাওয়া কঠিন হবে বুঝি।
তবু আমি ক্ষেপার মত খুজে বেড়াই তাকে,
চোখ দুটোকে সচল রাখি কাজের ফাকে ফাকে।
হটাৎ সেদিন ব্যাথা উঠল অন্ত্রনালীর কাছে
এক্সরে দেখি ওটা গলব্লাডারে আছে।
চিকিৎসকরা বলল কেটে বাইরে ফেলে দিতে,
কিন্তু আমার কেন জানি বাধল ঝুকি নিতে।
ওরা ভাবলেন রাজি হইনি কাটাছেরার ভয়ে,
আমি ভাবলাম- "থাক না ওটা নিভৃত সঞ্ঝয়ে।
"
স্মরণ
----------------------------------------------------
নাম ভুলে গেছি,দুর্বল মেধা
স্মরণে রাখাছি মুখ;
কাল রাজনীতে চিনিব তোমায়
আপাতত স্মৃতিভুক্।
ডাকিব না প্রিয়,কেবলি দেখিব
দু'চোখে পরাণ ভরে;
পূজারি যেমন প্রতিমার মুখে।
প্রদীপ তুলিয়া ধরে।
তুমি ফিরে যাবে উড়ন্ত রথে
মাটিতে পড়িবে ছায়া,
মন্দির খুড়ে দেখিব তোমায়
মন্দ্রিত মহমায়া।
ভুলে যাব সব সময়-নিপাতে
স্মরণে জাগিবে প্রেম,
আঁধারে তখন জলিবে তোমার
চন্দনে মাখা হেম।
যাত্রা- ভঙ্গ
------------------------------------
হাত বাড়িয়ে ছুই না তোকে
মন বাড়িয়ে ছুই,
দুইকে আমি এক করি না
এককে করি দুই।
হেমের মাঝে শুই না যবে
প্রেমের মাঝে শুই
তুই কেমনে করে যাবি?
পা বাড়ালেই পায়ের ছায়া,
আমাকে তুই পাবি।
তবুও তুই বলিস যদি পাই,
দেখবি তোর সম্মুখে পথ নাই।
তখন আমি একটু ছোঁব
হাত বাড়িয়ে জড়াব তোর
বিদায় দুটি পায়ে,
তুই উঠবি আমার নায়ে
আমার বৈতরণী নায়ে।
নায়ের মাঝে বসব বটে,
না- এর মাঝে শোব;
হাত বাড়িয়ে ছোব না মুখ
দঃখ দিয়ে ছোঁব।
তুই কেমন করে যাবি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।