আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
এতদিন বরফ দেখতে দেখতে বুইঝা লইছিলাম এইখানকার লোকজন এতো ফর্সা আর মাইয়া গুলান এতো পর্দানশীল কেন। আসনের ২-৩ মাস রুম মেট সোফিরে বাদ দিলে ধইরাই নিছিলাম এইখানকার মাইয়াগুলান ব্যাপক পর্দানশীল। মনের মধ্যে একখান আফসোস উকিঝুকি দিতো, কারন বাংলাদেশেও অন্তত এতো পর্দা দেখন যায় না। হায়রে কই মুসলিম দেশ, কই নাস্তিকগো দেশ।
মনের দুঃখে নামাজ পড়াও ধরলাম, ভাবলাম এত সুন্দর সুনসান বন জঙ্গলে আল্লারে ডাকি, মাইয়া মানুষ ডাইকা লাভ নাই, কারন এগো ভাষা তো মাশাল্লাহ এমুন প্যাচ মারা, যেই প্যাচ খুলতে আমার অনাগত সন্তানের দিকে চাইয়া থাকতে হইবো!
আল্লাহর অবশ্য একখান বিচার আছে, এমুন কইরা দেশখান বানাইছে যে প্রত্যেকখান শহরে একখান কইরা নদি থাকে। আমি অবশ্য যেইখানেই যাইতাম সেইডারেই নদী বানাইতাম। পুস্কুনিরেও নদী কইয়া এক সুদানীরে বুঝাইছিলাম এই নদীতে নৌকা চলবো না কেন!পরে একখান লোকাল পোলা কইলো এগুলান সব সাগরের পানি, যেইখান ফাক পাইছে সেইখান দিয়া ঢুকছে, ঢুইকা অখন খাল বানাই দিছে! কই যাই, অখন দেখি এই দেশে আইসা নদী খাল পুস্কুনির ডেফিনেশন শিখতে হইবো!
ইদানিং কাম কাইজে ফাকি দেই। যেই রেস্টুরেন্টে কাম করি সেইখানে কাস্টমার তো দূরের কথা মাছিও আহে না, বিক্রি বাট্টা নাই। মাগার মাস শেষে মালিক মিচকা হাসি দিয়া কয় তার নাকি লাভের টাকা রাখনের জায়গা নাই।
ভাবছিলাম মালিকের মাইয়া থাকলে টান্কি মারুম, এইটা আমার লগে কাম করে অপর দুই বাঙ্গালীও ভাবছিলো। মাগার মালিকের বয়স হিসাব কইরা আমার চেয়ে ৫-৬ বছরের ডিফারেন্স দেইখা সেই আশায় কে জানি পুরা ছাই ঢাইলা দিছে। আমার লগের তৌফিক ভাই একদিন খোচা দিয়া কইলো,"মালিকের বৌ নাকি হেভী সুন্দর। " একদিন কি মনে কইরা রাইতে বেলা ডিস্কোতে কাম করতাছিলাম। সেইদিন মালিক লাভের টাকা বাড়ানির লিগা বারের চিপায় মাইয়া নাচাইছিলো, যদিও আমারে ঐদিকে কাম করতে দেয় নাই আর ব্যাটা ম্যানেজারও আমারে গ্লাস নিয়া দাবড়াইছে।
হঠাৎ দেখি অচেনা ফোন
: হ্যালো, আপনি রেস্টুরেন্টে কাজ করেন না?
: জি হ্যা। কে বলছেন?
: শাহেদ আছে আশেপাশে? (শাহেদ হইলো আমাগো ঐ অনেকগুলান মালিকের মধ্যে একজন)
: উনি আছে, তয় কাম করতাছে। আপনে কেডা? কামের সময় বিলা করতাছেন কেন?
: আপনি রনি না? শুনেছি আপনে স্টুডেন্ট, ঠিক না?
: মর জ্বালা, আমি ছাত্র ভার্সিটি গেলে, আর রেস্টুরেন্টে ঢুকলে কামলা। আপনে কেডা? রেস্টুরেন্টে খালি কোনো পদ নাই, তয় অনেক শার্ট আছে।
: আমি আপনার ভাবী, শাহেদ কে ফোনটা দেন! এখন যে কারা এদেশে পড়তে আসে বুঝি না!
আমি গলায় ঢোক গিললাম।
সেই দিন রাইতে শিক্ষা হই্য়া গেছে। আমি এই শহরে কাম লওনের পর অনেক বাংলাদেশির টার্গেটে পড়ছিলাম অন্য শহর থিকা কাম পাইলো কেমনে? অনেকেই ফোন করতো, আমার লগে খাতির জমতো, আমি ভাবছিলাম এমনি কোনো পুলাপান হয়তো গেটে খাড়াই আছে, মাগনা ঢুকায় দেওনের লিগা ফোন করছে। অখন দেখি পুরাই মালিকের বৌ। সেইদিন রাইতের ঝাড়ির কথা কমু না, তয় এই পর্যন্ত আর তেনার লগে দেখা হয় নাই, এক্সপ্রেশন খারাপ হইয়া গেছে, টান্কি মারনের প্রশ্নই আসে না।
তাই অনাগত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা কইরা কামে ফাকি দিয়া মাঝে মাঝে নদীর পাড়ে যাই।
কাইলকা গিয়া দেখি ব্যাপক রোইদ। একটু হাইটাই টাস্কি, এতডু রোইদে আমি ঘাড় উচকাই রইছি মাগার মাইয়া গুলান দেখি সুতা পইড়া রইছে। ইসস, হাতে ক্যামেরা নাই, তাহকলে পে পার ভিউ দিয়া একখান সেমি এ্যাডাল্ট সাইট খুলন যাইতো। আরেকটু সামনে একটু জঙ্গলে গেলাম হিস্যু করতে। এইখানে আবার ওপেন ময়দানে হিস্যু করলে সোজা বাংলা টাকায় ১৫০০০ টাকা গায়েব যদি মামুরা (পুলিশ) দেখে।
জঙ্গলে ভিতরে ঢুকতেই দেখি একখান কাপড় বিছাইয়া পুরাই এ্যাডাল্ট ফিল্ম। কই যাই, তাড়াতাড়ি নদীর পাড়ে গেলাম, ভাবলাম কোমড় পানি ডুবাই, শান্তি পাওনের আশায়। মাগার পানিতে একখান আঙ্গুল দেওনের পর দেখি আঙ্গুল আমার জইমা গেলো। কুটিকালে ঠান্ডা বৃস্টি পড়লে আমার ছোট চাচা কইতো, "সাইবেরিয়া থিকা এই বৃস্টিটা আইছে!"
তার ভূগোল বুঝানি হিসাব কইরা এইখানে দেখলাম আমার আশেপাশে সাইবেরিয়ার কুনো সাই বাবা নাই। নদীতেও নামতে পারলাম না, মনের আফসোসে খালি দেখলাম।
মনে অবশ্য আরও কিছু আফসোস আছিলো যেগুলানের লিস্টি করলাম:
১) আগের সেই বডি নাই , সেই ফোর প্যাকও নাই। থাকলে একখান থ্রিকোয়ার্টার পইড়া আমিও পোজ দিতাম।
২) পকেটে মাল পানি নাই, থাকলে ডাইন বাম দুই বোগলে দুইখান বান্ধবী অল টাইম!
৩) বান্ধবী তো দূর কি বাত, অখনো এই ভাষার পাঠোদ্ধারও করবার পারলাম না, যদি ভাষা জানতাম তাইলে মাল পানিও লাগতো না!
৪) ভাষা তো দূর কি বাত, খালি লাল পানি খাই না, খাইলে বোতল দেখাইয়া ওগো বুঝাইতাম, তোর মফিজ আর আমরা হাফিজ!
৫) বোতল তো আরও পরের হিসাব, খালি যদি মুসলমান না হইতাম, তাইলে এতদিনে......
যাই হোউক, আমার নাম যেদিন দাদায় মাদ্রাসার হেডমাস্টারের কাছে অফিসিয়ালি ডিক্লেয়ার করলো সেইদিন মনে হইছিলো দাদার বয়সের কাছাকাছি থাকলে দাদার লগে একখান পলাশীর যুদ্ধ বাধাইতাম। পুরা খলিফা নবিজী সব মিক্সড কইরা আমার নাম দিছে। খালি আমার নিক নেম খান মনের মতো পাইছি।
কিন্তু তাও শান্তি নাই, টয়লেটে ঢুকতে গেলে কার্ড পান্ঞ্চ করতে হয়, কার্ডে লেখা পুরা আলি আহাম্মদ। সবাই এই নামেই ডাকে। অবশ্য আমারে প্রফ পরীক্ষার সময় দেখলেই কয়, "তুমি কি নতুন আইছো?"
ওরে কেমনে কই আমি তগো দেশের ইমপোর্টেড কামলা!
যাই হোউক, সামার শেষ হইয়া যাইতাছে, অখন আফসোস লাগতাছে ক্যামেরা কেন কিনলাম না। অখন ক্যামেরার টাকা জমাইতে জমাইতে দেখা যাইবো সামার শেষ আবার শীত আইসা পড়বো, আবার সবাই বোরখা পড়বো। সবকিছু খালি আমার লেটে লেটে হয়!
আইসো বলি সুম্মা আমিন!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।