আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজপুত্রের দুর্নীতি নিয়ে লিখলে ..........



যমুনা টেলিভিশন, চ্যানেল ওয়ান, ফেইস বুক ও সবশেষ দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছে গণতন্ত্রের লেবাসধারী স্বৈরাচারী সরকার। আর এ সবই করা হয়েছে, ভীতি থেকে। দেশের জনগনের কাছে দেয়া ওয়াদা রক্ষা করতে না পেরে একের পর এক জনগনের গলা চেপে ধরতে চাইছে। অনেকেই বলতে পারেন ফেইস বুক কেন এক সাড়িতে দাড় করালাম। উত্তর খুব পরিস্কার।

ফেইস বুক ব্যাবহার করে সচেতন তরুন সমাজ। যারা কিনা এ সরকারের ক্ষমতায় বসার ক্ষেত্রে অন্যতম সহায়তা করেছিলো। স¤প্রতি এই তরুন সমাজই সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ওয়েবসাইটে সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতির বিশ্লেষণ শুরু করেছিলো। আর যাই কি না সরকারের মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাড়ালো। হয়ত একদিন শুনতে পারবো আমাদের সামুও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

কেননা এখানেও সরকারের বেশ কিছু দালাল রয়েছে। যা হোক ফেইসবুক বন্ধের কারন হিসেবে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় দুটি বিষয় এসেছে। যার একটি প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রীর ব্যাঙ্গাতœক কাটুন প্রকাশ। এখানে একটা বিষয়ে সবাই আমার সাথে সহমত হবেন, আর তা হলো- একজন বির্কিত মাওলানার দাবীর কারনে নিশ্চয় সরকার ফেইস বুক বন্ধ করে নাই। অপরটি হলো বিরোধী দলীয় নেত্রীর ছবি ব্যাঙ্গাতœক হয়েছে আর সে কারনে ফেইস বুক বন্ধ করা হয়েছে, এটা হাস্যকর।

কেননা যে সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রীরা যখন অশ্লিল মন্তব্য করে বিরোধী দলীয় প্রধানকে নিয়ে তখন এই কাটুনের জন্য আমার ওই ভাইটিকে হয়তো খুজে বের করে পুরস্কৃত করা হতো। কিন্তু তা হলো না কেননা সে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তার ক্ষেদোক্তি কাটুনের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। ডিজিটাল মন্ত্রীর রামছাগলদের এটাও জানা দরকার, কার্টুন একটি শিল্প। বিশ্বের অনেক বিখ্যাত ব্যাক্তিকে নিয়েই কার্টুন প্রকাশ হয়েছে। তবে তাদের কেউই এর জন্য এহেন কাজ করেননি।

তারা নিজে থেকে সংশোধন হওয়ার চেষ্টা করেছে। যতদূর জানি যমুনা টেলিভিশন অনুমোদন পাওয়ার পর বন্ধ করে দেওয়াটাও সরকারের ভীতি থেকেই হয়েছে। কেননা বিগত সরকারের সময় আব্দুল জলিলের ৩০ এপ্রিলের র্ট্যাম কার্ড-এর পেছনে ছিলেন যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল। যিনি এ ধরনের গেইম খেলতে মজা পান। বর্তমান সরকারকে নিয়ে বাবুল এ ধরনের কোন গেম খেলবে না, এ নিশ্চয়তাটা না পাওয়ার কারনেই যমুনা টেলিভিশনের স¤প্রচার ক্যাবল লাইন ভোতা বটি দিয়ে কেটে দিয়েছে।

ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে এশিয়ার সর্ববৃহৎ শর্পিং মলের ওপরের অংশ। এ ধরনের একটা স্থাপনা তৈরি যারা না করতে পারেন তাদের কাছ থেকে এটা কাম্য নয়। সবশেষ আর একটা কথা বলতে চাই আর তা হলো, যে দেশে রাজপুত্রের দুর্নীতি লেখার অপরাধে চারশ’ পরিবার বেকার হয়, সে দেশে আর যাই হোক গণতন্ত্র সম্ভবপর না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.