সুচনাঃ
পুরো নাম প্রিন্স বন্দর বিন সুলতান বিন আব্দুল আজিজ আল সাউদ নামেই বোঝা গেলো তাঁর পিতার নাম সদ্যপরোলোকগত সাবেক ক্রাউন প্রিন্স সুলতান আর মায়ের নাম খিজারান দাদার নাম আব্দুল আজিজ আর আল সাউদ মানে বর্তমান মর্তমান কলার মতো বিরাজমান সাউদি রাজবংশ এবং সাউদি আরাবিয়ার তায়েফে জন্ম ১৯৪৯ সালের ২ রা মার্চ। প্রিন্স বন্দর ১৯৮৩ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত সাউদী আরাবিয়ার এম্বেসেডর হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে দায়িত্ব পালন করেন এবং মার্কিনীদের সাথে বিশেষ করে জর্জ ডাব্লিও বুশের সাথে বিশেষ হৃদ্যতার কারনে তাঁকে বন্দর বুশও বলা হয়। এ ছাড়াও তিনি আলোচিত হন ১০০ যুদ্ধবিমান নিয়ে আল-ইয়ামামা আর্মস ডিলকে কেন্দ্র করে।
শৈশবঃ
খিজারান-তাঁর মা একজন অশিক্ষিত ষোড়শী লিবিয়ান দাসীর একমাত্র পুত্র প্রিন্স বন্দর বিন সুলতান। এবং তাঁর মা ছিলেন ছিলেন প্রিন্স সুলতানের "concubine". এই ইংরেজী কথাটার অর্থ কিংবা বিস্তারিত নীচে দেওয়া হলোঃ
01. A woman who cohabits with a man to whom she is not legally married, especially one regarded as socially or sexually subservient; mistress.
02. (Among polygamous peoples) a secondary wife, usually of inferior rank.
03. (Especially formerly in Muslim societies) a woman residing in a harem and kept, as by a sultan, for sexual purposes.
প্রিন্স বন্দর বিন সুলতান শৈশবে তাঁর মা আর খালার সাথে বড় হতে থাকেন এবং তিনি রাজকীয় স্বীকৃতি লাভ করেন কারন কিং আবদুল আজিজ তাঁর নাম রাখেন বন্দর এবং সেই সময়ে ২০ বছর বয়স্ক প্রিন্স সুলতানও স্বীকার করে নেন যে, বন্দর তাঁর ঔরসজাত সন্তান।
তবে শৈশবে তিনি রাজকীয় পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন জীবন যাপন করেছেন এবং প্রিন্স বন্দর প্রথম তাঁর পিতার শয়ন গৃহে প্রবেশ করেন যখন তাঁর বয়স আট বছর। ধারনা করা যায় প্রিন্স বন্দর আট বছর বয়সে তাঁর দাদীর প্রাসাদে স্থান পান অর্থাৎ রাজকুমার কিংবা প্রিন্স হিসেবে স্বীকৃতি পান।
লেখা পড়া এবং পেশাগত জীবনঃ
১৯৬৮ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি রাজকীয় সৌদি বিমানবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত হন এবং তিনি রয়েল এয়ারফোর্স কলেজ ক্রানওয়েল থেকে প্রশিক্ষন গ্রহন করেন,ম্যাক্সওয়েল এয়ার ফোর্স বেজ এবং ইন্ডাষ্ট্রিয়াল কলেজ অব দ্য আর্মড ফোর্সেস থেকে অতিরিক্ত প্রশিক্ষন গ্রহন করেন। অতঃপর তিনি রাজকীয় সাউদি বিমানবাহিনীতে লেফটেনেন্ট হিসেবে যোগদান করেন। তিনি একজন প্রশিক্ষিত ফাইটার পাইলট।
১৯৭৭ সালে বিমান ক্রাশ করার পর অবতরন করার সময় মারাত্বকভাবে আহত হন এবং তাঁর সামরিক জীবন শেষ হয়ে যায়। পরবর্তীতে তিনি জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিস বিভাগ থেকে ইন্টারন্যাশনাল পাব্লিক পলিসিতে মাষ্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন।
কুটনৈতিক জীবনঃ
১৯৭৮ সালে ততকালীন রাজার ব্যক্তিগত সফরসঙ্গী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে গমন করেন এবং মার্কিন কংগ্রেসে লবিং করে এফ-১৫ জঙ্গীবিমান ক্রয় করার জন্য সৌদি সরকারের দেয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন। ঠিক সে সময় প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। কিং ফাহাদ প্রিন্স বন্দরকে প্রেসিডেন্ট কার্টারের সাথে সৌদি রাজ পরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার অনুমতি প্রদান করেন এবং সাউদি-মার্কিন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করারও অনুমতি দেন এবং ১৯৮২ সালে কিং ফাহাদ, প্রিন্স বন্দরকে মিলিটারী এটাশে হিসেবে সাউদি দুতাবাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োগ দান করেন।
১৯৮৩ সালে আমেরিকাতে সাউদি এম্ব্যাসেডার হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।
তিনি ছিলেন এক ধরনের আজব কুটনৈতিকঃ
১৯৮৩ সালে নিয়োগ লাভের পর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচজন প্রেসিডেন্ট,দশজন সেক্রেটারী অব ষ্টেট এগারো জন ন্যাশ্নাল সিকিউরিটি এডভাইজার, কংগ্রেসের ষোলটি সেশন এবং মিডিয়ার সাথে ব্যাপক ভাবে যুক্ত ছিলেন। পর্বতের চুড়ার মত তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। এবং তাঁর ক্যারিয়েরের সর্বোচ্চ চুড়ায় থাকার সময় তিনি ছিলেন সৌদি রাজার অতি বিশ্বস্থ বার্তাবাহক এবং হোয়াইট হাউসের চাকুরীজীবির ন্যায়।
রিগানের অন্দর মহলেঃ
প্রেসিডেন্ট রিগানের সময়ে তিনি সাউদি আরাবিয়ার জন্য এওয়াক সার্ভেইলেন্স এয়ারক্রাফট কেনার বিষয় নিশ্চিত করেন।
যুক্তরাষ্ট্র একবার অস্বীকৃতি জানালে তিনি চীন থেকে ইন্টারমেডিয়েট রেঞ্জ-নিউক্লিয়ার-ওয়ারহেড-ক্যাপেবল মিসাইল আমদানী করেন। এতে সি আই এ অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়। এর পরে তিনি আবার আলোচিত ইরান-কন্ট্রা কেলেঙ্কারীতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কন্ট্রাদের জন্য সাউদি ফাইনান্স কোম্পানী থেকে ব্যবস্থা করেন। ফার্ষ্টলেডী ন্যান্সী রিগান প্রিন্স বন্দরকে ক্যাবিনেটে তাঁর বার্তার পৌছানোর কাজে ব্যবহার করতেন।
জর্জ বুশের সাথেঃ
প্রিন্স বন্দর পাঁচ জন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে খুবই ভালো সম্পর্ক রক্ষা করে চলতেন বিশেষ করে জর্জ ডব্লিউ বুশ সিনিয়ার এবং জর্জ ডব্লিউ বুশ জুনিয়ারের সাথে এবং তাঁর নিক নেম হয়ে যায়-বন্দর বুশ। তিনি বুশ পরিবারের কতো ঘনিষ্ট ছিলেন তা দেখিয়েছেন মাইকেল মুর তাঁর ফারেনহাইট ৯/১১ বইতে। তিনি জর্জ বুশ সিনিয়রের এতো কাছের মানুষ ছিলেন যে তাঁকে তাঁরা পরিবারের সদস্য মনে করতেন। প্রিন্স বন্দর প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন উতখাতের মাষ্টারমাইন্ডদের একজন এবং ইরাকে মার্কিন সামরিক আগ্রাসনের উতসাহদাতা এবং ডিক চেনীর ‘দ্য নিউ মিডল ইষ্ট’ এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য সিরিয়া এবং ইরানে কথিত গনতন্ত্র অভিমুখী আন্দোলনের নেপথ্যে কাজ করেন। উল্লেখ্য যে প্রিন্স বন্দরের ছেলে-মেয়েরা এবং ডিক চেনীর নাতি-নাতনিরা একি স্কুলের ছাত্র ছিলো।
বিল ক্লিন্টনের সময়কালঃ
ক্লিন্টন আরাকান্সাসের গভর্ণর থাকা কালে ইউনিভার্সিটি অব কানসাসের মিডল ইস্ট স্টাডিজ সেন্টারের জন্য অনুদান দেওয়ার অনুরোধ জানান। নব্বইএর দশকে তিনি লিবিয়ান প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফীকে পান আম ফ্লাইট ১০৩ এ বোমা হামলা চালিয়ে উড়িয়ে দেয়ার জন্য ক্ষমতাচ্যূত করার চেষ্টা চালান। প্রিন্স বন্দর ব্যক্তিগতভাবে গাদ্দাফীকে মনে করেন - "a Jerry Lewis trying to be a Churchill"
রাষ্ট্রদুতের পদ থেকে পদত্যাগঃ
কিং ফাহাদের মৃত্যুর পর প্রিন্স বন্দরের পিতা প্রিন্স সুলতান যুবরাজ নির্বাচিত হলে ২৬ জুন ২০০৫ সালে তিনি ব্যক্তিগত কারন দেখিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাউদি এরাবিয়ার রাষ্ট্রদুতের পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং তিনি সাউদি এরাবিয়াতে ফিরে যান। গুজব এবং সত্য যে তিনি নতুন সরকারে আরো ভালো কোনো পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্য তাঁর রাষ্ট্রদুতের চাকুরী এবং মার্কিনীদের থেকে ভৌগলিকভাবে দূরে সরে যান।
সেক্রেটারী জেনারেল অফ ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলঃ
নতুন রাজা কিং আব্দুল্লাহ ১৬ অক্টোবর ২০০৫ সালে প্রিন্স বন্দরকে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সেক্রেটারী জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেন এবং উল্লেখ্য যে রাষ্ট্রদুত পদ থেকে পদত্যাগের পর তিনি গোপনে মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন।
গায়েব এবং গুজবঃ
১০ ডিসেম্বর ২০০৮ সালে কিং আব্দুল্লাহ’র সাথে বৈঠকের পর তিনি আর বড় কোনো সাধারনের সমাবেশে উপস্থিত হননি; এবং উল্লেখ্য যে ওই বৈঠকেই জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সেক্রেটারী জেনারেল হিসেবে তার নিয়োগ আরো ৪ বছর বাড়ানো হয়। প্রিন্স বন্দর কখনো জনসমক্ষে কিং আব্দুল্লার পক্ষে কিংবা বিপক্ষে কোনো কথা বলেননি। এমনকি এই সময়ে তিনি তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু জেরী জোন্সের ডালাসে কাউবয় স্টেডিয়ামের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানেও অনুপস্থিত ছিলেন। এমনকি তাঁর পিতা যুবরাজ সুলতানের মরক্কো থেকে ফেরার সময়ও তিনি উপস্থিত ছিলেন না।
ইরানের প্রেস টিভি মতে তিনি গৃহে অন্তরীন ছিলেন এবং তিনি সামরিক অভ্যুত্থান করার চেষ্টা করেছিলেন, এবং বলা হয়েচ্ছিলো তিনি দাহরান কারাগারে আছেন।
গুজব ছিলো যে রাশিয়ান গুপ্তচর সংস্থা তার অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা ফাঁস করে দেয় কারন প্রিন্স বন্দর ইরানের বিপক্ষে রাশিয়াকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন যা, রাশিয়ান ইন্টিলিজেন্স সার্ভিস পছন্দ করেনি।
অন্য গুজব ছিলো যে তিনি বাল্টিমোর জন হপকিন্স হাস্পাতালে চিকিতসাধীন আছেন এবং তাঁর দুইটা মেজর অপারেশন হয়েছে কিন্তু তাঁর আইনজীবি তা অস্বীকার করে। উল্লেখ্য তাঁর কেনো ব্যক্তিগত স্পোক্সম্যান নেই।
প্রত্যাবর্তনঃ
মার্চ ২০১১ তে আবার সক্রিয় দেখা গেলো প্রিন্স বন্দর বিন সুলতানকে, এবার তিনি পাকিস্তান, ভারত,মালয়েশিয়া এবং চীন সফর করেন কারন সাউদি সরকার নীতিগতভাবে বাহরাইনে সামরিক হস্থক্ষেপ করতে চেয়েছিলো। এপ্রিল ২০১১ তে মার্কিন সেক্রেটারী অফ ডিফেন্স গেটস এবং মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা টম ডনিলন আলাদা ভাবে কিং আব্দুল্লাহ’র সাথে বৈঠকে আবার প্রিন্স বন্দর বিন সুলতানকে আবার সক্রিয় দেখা যায়।
মনে করা হয়, বাহরাইনে সংখ্যাগুরু শিয়ারা গনতন্ত্রের জন্য বিক্ষোভ শুরু করলেও সেখানে ন্যাটো কিংবা ইউরোপীয় কোনো দেশকে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা করতে কিংবা তা নিয়ে কথিত গনতন্ত্র কামীদেরকথা না বলার পিছনেও প্রিন্স বন্দর বিন সুলতানের অবদান আছে। সৌদি রাজতন্ত্রের অতি ঘনিষ্ট আত্মীয় স্বজন বাহরাইনের রাজ পরিবারকে রক্ষা করতে আবারো মাঠে আছেন প্রিন্স বন্দর বিন সুলতান।
বর্তমানে প্রিন্স বন্দর বিন সুলতান সাউদী ইন্টিলিজেন্স এজেন্সীর ডিরেক্টর জেনারেল হিসেবে কর্মরত আছেনঃ
Bandar bin Sultan (Arabic: الأمير بندر بن سلطان بن عبدالعزيز آل سعود) (born 1949) is a member of the House of Saud and was Saudi Arabia's ambassador to the United States from 1983 to 2005. In 2005, he was named as Secretary General of the National Security Council. He was appointed Director General of the Saudi Intelligence Agency by King Abdullah on 19 July 2012.
দুর্নীতির অভিযোগঃ
প্রিন্স বন্দর বিন সুলতান ১৯৮৫ সালে আল ইয়ামামা চুক্তিতে ব্রিটেন থেকে সাউদি এরাবিয়ায় ইউ এস ডলার ৮০ বিলিয়ন সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ে সহায়তা করেন যাতে ১০০ টারও বেশি যুদ্ধবিমান ছিলো। চুক্তি স্বাক্ষরের পর ব্রিটিশ আর্মস ম্যানুফ্যাকচারার বৃটিশ এরোস্পেস (বর্তমানে বি এ ই সিস্টেমস) জানায় তারা ইউ এস ডলার ২ বিলিওন দুইটা সাউদি এম্বেসী একাউন্টে স্থানান্তর করে। তারা জানায় এই অর্থ ব্যক্তিগতভাবে খরচ করা হয়েছে এবং এখান থেকে প্রিন্সের ব্যক্তিগত বিমান এয়ারবাস-এ ৩৪০ এর খরচ মেটানো হয়েছে।
কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তাদের মতে-যদিও দুতাবাসের হিসাব কিংবা সরকারী হিসাব কিংবা রাজকীয় পরিবারের সদস্যদের হিসাবের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। যে তদন্ত পরে এটর্নী জেনারেল লর্ড গোল্ডস্মীথ কতৃক বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে প্রিন্স বন্দর লুইস ফ্রীহ কে তার পক্ষের ইয়ামামা কেলেংকারী মামলায় প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দেন।
পরিবারঃ
প্রিন্স বন্দর বিন সুলতান ১৯৭২ সালে প্রিন্সেস হাইফা বিন্তে ফয়সলকে বিবাহ করেন; তারা চার পুত্র এবং চার কন্যার পিতা এবং মাতা। ২০০১ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত তার ছোটো তিন ছেলে মেয়ে ফাহাদ, হুসসা এবং আজুস পটোমেক স্কুল ম্যাক্লীন ভার্জিনিয়ার ছাত্র ছিলো।
তাঁদের আরেক সন্তান প্রিন্সেস রীমা বিনতে বন্দর সাউদি এরাবিয়াতে ব্রেষ্ট ক্যান্সার সচেতনতার জন্য পিঙ্ক রিবন এভেন্টের আয়োজন করেন।
প্রিন্স বন্দর বিন সুলতান সিগার টানতে খুব পছন্দ করেন এবং ইউরোপীয় পোষাক পরিধান করেন; তিনি মার্কিন ইতিহাস এবং পার্টি এবং মদ্যপানের জন্য বিখ্যাত। উল্লেখ্য যে সৌদি আরবের কিং ফয়সল প্রিন্স বন্দরের শ্বশুর এবং বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স সাউদ আল ফয়সল বিন আব্দুল আজিজ বিন সাউদের ভগ্নিপতি।
সম্পত্তির পরিমানঃ
প্রিন্স বন্দর বিন সুলতান তার ব্যক্তিগত এয়ারবাস এ-৩৪০ যোগে ভ্রমন করে থাকেন এবং তিনি গ্লিম্পটন পার্ক, অক্সফোর্ডশায়ারের মালিক।
৯/১১ এর কয়েকমাস পর প্রিন্সে বন্দর স্পেন যান।
সেখানে তার সেখানে ৩২ রুম বিশিষ্ট একটি মেনশন আছে। ২০০৬ সালের ১২ জুলাই জানা যায় প্রিন্স বন্দর আস্পেন, কলোরাডোতে ৫৬০০০ বর্গফুট আকারের ম্যানশন ইউ এস ডলার ১৩৫ মিলিওনে বিক্রি করতে আগ্রহী। বিলাসবহুল যার নাম হালা ব্যাঞ্জ অবকাশকালীন কেন্দ্র যা আসলেই হোয়াইট হাউস থেকেও আকারে বড়,পর্বত শীর্ষে অবস্থিত যার আয়তন ৯৫ একর এবং ১৫ টি বেড্রুম এবং ১৬ টি বাথরুম যা ২৪ কেরেট সোনা দিয়ে মোড়ানো বলে কথিত আছে। তাঁর আরেকটা গেষ্ট হাউস যার আয়তন ১৪৩৯৫ বর্গফুট তিনি বিক্রি করে দেন ইউ এস ডলার ৩৬। ৫ মিলিওনে; এবং বিক্রি করার সম্ভাব্য কারন হলো তিনি এতো ব্যস্ত থাকেন যে এই ম্যানশনে থাকার মত সময় তাঁর হাতে নেই।
তিনি যখন আমেরিকাতে এম্বেসেডর হিসেবে কাজ করতেন থাকতেন এক বিশাল এষ্টেটে যা ম্যাকলিনে পটোমেক নদীর তীরে অবস্থিত ছিলো।
আজকের দুনিয়ায় আর সাম্রাজ্য দখলের জন্য কোনো দেশ দখল করার চাইতেও সহজ কাজ হল তাদের মণন এবং মগজ ধোলাই করা এবং তা কাজে লাগানো; বর্তমানে সারা পৃথিবীর অঘোষিত সম্রাট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য কিংবা আরো সহজভাবে বললে মুসলিম বিশ্বের বরকন্দাজ হলেন উপরে বর্ণিত আমাদের এই রাজকীয় রাজপুত্র। তিনি বহন করছেন সৌদি রাজতন্ত্রের রক্ত এবং যার জন্ম হয়েছিলো অবিববাহিতা মাতা-পিতার ঔরশে আর যারা আমাদের দেশে স্বাধীণতাবোরোধীদের প্রধান আশ্রয়, প্রশ্রয় এবং মদতদাতা।
সুত্র এবং ছবিঃ ইন্টারনেট থেকে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।