জ্বীন নামাতে পারতেন আমাদের এলাকার এক বড় ভাই। তার নাম রানা (মূল নাম না)। কয়েকবার আমরা ঐ জ্বীন এর সাক্ষাত পাই। Scientifically তাকে (রানা ভাইকে) আমরা ধরাসাই করব এটাই ছিলো আমাদের উদ্দেশ্শ। কিন্তু যতই তার (জ্বীন) সাথে intimacy grow করতে লাগল, ততই জ্বীন এর প্রতি এবং ঐ বড় ভাই এর প্রতি বিশ্বাস বাড়তে লাগল।
একবার মায়ের সাথে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে এক মহিলার উপর জ্বীন ভর করত; মহিলাই কথা বলত, তবে intellect ব্যবহার করত জ্বিনের। মায়ের সাথে কথা বলা ঐ জ্বীন কেও সংগত কারনে বিশ্বাস করি।
১ম জ্বীন: আব্দুল্লা হুজুর (আপনার প্রতি সালাম রইল)
-----------------------------------------------
একটা ঘরে/কক্ষের এক পাশে আমরা, অন্য পশের এক কোনে রানা ভাই বসত। আমাদের মধ্যে এলাকার ছেলে-পেলেরা, মুরুব্বী আর রানা ভাইর বড় ভাই ছিল।
ঘরের এক কোনে রানা ভাই বসে দোয়া পড়ে নিজেকে বাঁধ দিয়ে নিতেন। অন্য কোনায় একটা পিঁড়ি রাখা হত; এজন্য যে জ্বীন হুজুর সেখানে বসতে পারে। তার পর কক্ষটির বাতি নিভিয়ে দেয়া হত। মিনিট দশেক পর আমরা স্পষ্ট দেখতাম, একটুকরো আলো উপর (মূলত: ventilator) থেকে এসে ঐ পিঁড়িতে পড়ে নিভে যেত। পিঁড়িতে ধপাস ধপাস শব্দ হত; কিন্তু শব্দ ছিল নিয়ন্ত্রিত।
তার নাম ছিল আব্দুল্লা। আমরা ডাকতাম আব্দুল্লা হুজুর বলে। বয়স ছিল ৭০০-৮০০ বছর। তিনে সালাম দিয়ে কথা শুরু করতেন। তার কথা প্রচন্ড ভাঙ্গা-ভাঙ্গা ছিল।
বিভিন্ন সময়ের কথপকথন, উপস্থিত মানুষের নানা সমস্যার সমাধান, এবং আমাদের সাথে তার আচরন এর ফলে জ্বীন সম্পর্কে উল্লেখ করার মত কয়েকটা বিষয় হল:
ক। আব্দুল্লা হুজুর-এর মতে জ্বীন দের মধ্যেও ভাল-খারাপ আছে। মানুষের ক্ষতি করার জন্য খারাপ জ্বীনরা দায়ী।
খ। জ্বীন দের চলাচল খুব ক্ষীপ্ত।
পৃথিবী থেকে বহু দূরে তাদের অবস্হান। মানুষের সাথে interaction করতে তাদের অনুমতি লাগে।
গ। মানুষের গোপোন/অগচরের কিছু বিষয়, জ্বীনদের জানার সুযোগ আছে; তবে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ কম।
ঘ।
মানুষ রুপে তারা নামাজ পড়ে, হজ্ব করে। বিভিন্ন সময় আতর, টুপি, জায়নামাজ ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয় করে। মিস্টি তাদের পছন্দের, পৃথিবীর ভাল-ভাল মিস্টির দোকান থেকে তারা মিস্টি কিনে।
কয়েকটি ঘটনা:
০১। আমরা একবার ২০০ টাকা ঝোগার করে টিক করলাম আব্দুল্লা হুজুরকে বলব ভরতের কোন একটা দোকানের মিস্টি খাব।
আব্দুল্লা হুজুর আসার পর তিনি বললেন, "বড় ভাই এর কাছে মিস্টি খেতে আবার চাঁদা তুলতে হয় নাকি?" তিনি আসার সময় আমাদের জন্য মিস্টি নিয়ে এসেছিলেন, ওরকম মিস্টি আর জীবনে দ্বিতীয়বার খাইনি।
০২। আমার সেজভাই তার সাথে করমর্দন করেছিল; তার হাতে মোজা পরা ছিল; আর হাত স্বাভাবিকের চাইতে বড় ছিল।
০৩। তখন আমার একটা দামি ঘড়ি হারিয়েছিল।
তিনি যেখানে খুজতে বলেছিলেন, ঠিক সেখানে আমি খুজে পাই।
০৪। আমরা বড় ভাইকে সবাই ডাক নামে চিনত। প্রথমবারই আব্দুল্লা হুজুর তাকে নির্ভূলভাবে আসল নামে সম্বোধন করে।
২য় জ্বীন: নাম জানিনা
--------------------
যে মহিলার উপর এই জ্বীন ভর করত, তিনি পারিবারিক ভাবে আমাদের দূরের আত্বীয় হন।
তিনি অত্যন্ত বিনায়ী, মিস্টভাষী ও পর্দানশীল ছিলেন। কিন্তু যখনি জ্বীন ভর করত, তখন তিনি উগ্র ভাবে এবং চিবিয়ে চিবিয়ে কথা বলতেন।
পর্দার আড়ালে থেকে জ্বীন ভর করা অবস্থায় তিনি কথা বলতেন। ময়ের সাথে একবারই যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল।
(টিকা: বাংলায় গতি কম হওয়াতে ব্লগটি লিখতে দারুন কষ্ট হইছে; পরবর্তি রিপ্লাই গুলো ইংরেজীতে দিব; তাই আগেই ক্ষমা চাচ্ছি)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।