আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আব্দুল আলীমের জন্মদিন ও একটি গান

মুক্ত দেশের মুক্ত মানুষ! গতকাল চলে গেল বাংলার লোকসংগীতের এক দিকপাল আব্দুল আলীমের জন্মদিন। এই মহান লোকশিল্পী ১৯৩১ সালের ২৭ শে জুলাই মুর্শিদাবাদের তালিবপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৪৭ এ বৃটিশ ভারত বিভাজনের পর পরই উনি ঢাকায় চলে আসেন এবং পাকিস্তান রেডিওর ঢাকা স্টেশনে যোগদান করেন। গ্রামোফোন কোম্পানির রেকর্ডকৃত গান শুনে শুনেই সংগীতের প্রতি উনার আকর্ষণ জন্মেছিল। লোক সঙ্গীতের এই মেধার বিকাশ ঘটেছিল কিন্তু খুবই অল্প বয়সে।

১৯৪৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে উনি কোম্পানির জন্য দুটি গান রেকর্ড করেছিলেন। উনি তৎকালীন বাংলাদেশের প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ এ কণ্ঠ দিয়ে ছিলেন। ১৯৭৪ সালে খান আতাউর রহমানের ‘সুজন সখি’ কণ্ঠ দেয়ার জন্য উনাকে ‘জাতীয় পুরস্কার (মরণোত্তর)’ প্রদান করা হয়। আব্দুল আলীম তাঁর আধ্যাত্মিক ও মরমী মুর্শিদী গানের জন্য অমর হয়ে থাকবেন। কবি ও বাংলার লোক সঙ্গীতের গবেষক কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, "সমাজকে যারা জাগিয়েছেন আব্দুল আলীম তাঁদের একজন"।

১৯৭৭ সালে এই গুণী শিল্পীকে সঙ্গীতে উনার অসাধারণ অবদানের জন্য ‘একুশে পদক (মরণোত্তর)’ দ্বারা সম্মানিত করা হয়। ঢাকায় এসে বসবাস শুরু করার পর উনি লোক ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের উপর বেদার উদ্দিন আহমেদ, ওস্তাদ মোহাম্মদ খসরু, মমতাজ আলী খান, আব্দুল লতিফ, কানাই লাল শীল, আব্দুল হালিম চৌধুরী প্রমুখের কাছে থেকে দীক্ষা নেন। পরবর্তীতে উনি কবি জসিমউদ্দিন, কানাইলাল শলি, এম ওসমান খান, আব্দুল লাতিফ ও শমশের আলি প্রমুখের সংস্পর্শে এসে গান করেন। চলুন আব্দুল আলীমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা উপভোগ করি কবি জসিমউদ্দিনের লেখা আর আব্দুল আলীমের গাওয়া একটি বিখ্যাত গান। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.