গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার।
মৌলবাদ কোন কালে কোন সমাজে সংস্কৃতির বাহন হতে পারেনা। এটা সংস্কৃতিকে অবরুদ্ধ করে ফেলে। যদি মৌলবাদকে কোন সমাজ থেকে চিরতরে নির্বাসন দেয়া যায় তাহলে মুখ থুবড়ে পড়া সমাজের বিবেক চক্ষুগুলোও নির্যাতিতদের আশ্রয় হতে পারে। আমাদের ব্যর্থতা এখানেই।
আমরা সেটা করতে পারিনা। আসলে আমরা সেটা করতে চাইনা। আমাদের মানবিক আবেদনবোধ আমাদের বিবেককে সেভাবে জাগাতে পারেনা। এর মূলে রয়েছে সমাজে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা প্রাগৈতিহাসিক অপসংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারা। আমাদেরকে এই অবরুদ্ধ দেয়াল ভেঙে বেরিয়ে আসতে হবে যে কোন মূল্যে।
এজন্য আমাদের চিন্তা-চেতনাকে শাণিত করতে হবে, বিবেকবোধকে জাগিয়ে তুলতে হবে। মনের মধ্যে মৌলবাদ বিবর্জিত সমাজ গড়ে তোলার জোড় তাগিদ সৃষ্টি করতে হবে। আর এসব কিছুর জন্য আমাদেরকে সবার আগে প্রগতিশীল মানসিকতার পরিচয় দিতে হবে। শিক্ষা সংস্কৃতির সর্বেক্ষেত্রে নতুনকে গ্রহণ করতে হবে পুরাতনের সাথে সমন্বয় এর মাধ্যমে। এটা করার বড় মাধ্যম হতে পারে সাহিত্য।
যে কোন ধরনের ভৌগলিক সীমারেখা কিংবা কৃষ্টির যে কোন ধরনের ভিন্নতার উর্ধ্বে সাহিত্যের স্থান। অআজকাল সর্বত্র জোড়েসোরে বিশ্বায়নের কথা শুনা যাচ্ছে। আমার মনে হয় সাহিত্য হতে পারে এই বিশ্বায়নের স্বপ্ন পূরণের সহজতর মাধ্যমে। যদিও বিশ্বায়ন প্রসংগে আমাদের শ্লোগানটি এখনও শক্ত ভিতের উপর দাঁড়াতে পারেনি। তবুও আমরা যারা আমাদের চিন্তায়-চেতনায়-লেখায় এটাকে লালন করি, এর পরিস্ফুটন ঘটানোর জন্যে বুকের সবটুকু উত্তাপ ঢেলে দেই পরম মমতায় তারা বিশ্বাস করি যে এই শ্লোগান একদিন বাস্তবায়িত হবেই।
সেদিন বিশ্বজুড়ে সংঘাতপূর্ণ রাজনৈতিক সহাবস্থানের পটভূমিতে সাহিত্য প্রেমিক ও সাহিত্য সেবিরা নতুন এক সমাজের নেতৃত্বে এগিয়ে আসবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।