বিপ্লব অথবা মৃত্যু এক
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে ইসলাম বিপন্ন দেখিয়ে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সহযোগীতা আসে যা দিয়ে ইসলামের উপর 'আক্রমন' প্রতিরোধ করে ইসলামের 'প্রচার' ও 'প্রসার' ঘটাতে পারে। সৌদী আরব, কুয়েতের মত দেশ থেকে বিভিন্ন নামে বেনামে এদেশের মৌলবাদীদের অর্থায়ন করা হয়েছে। এদের সহযোগীতা নিয়ে বাংলাদেশের মৌলবাদী গোষ্ঠী অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়েছে এবং এই ধারা এখনো অব্যাহত আছে।
ইসলামী শিক্ষা প্রসারের নামে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার নামে এখানে জঙ্গী তৈরীর প্রাথমিক রিক্রুটমেন্ট সেন্টার তৈরী করা হয়েছে, যেটা জাতিকে বিভক্ত করার কাজেও ব্যবহার হয়। বিপুল পরিমাণ অর্থ বিভিন্ন এনজিও'র মাধ্যমে সারা দেশের মৌলবাদীদের হাতে ছড়িয়ে গেছে এবং এর সাহায্যে তারা পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর মধ্যে মৌ্লবাদের বিস্তার ঘটাচ্ছে যার উদাহরণ আমরা দেখতে পাই বিগত সরকারের আমলে জঙ্গীবাদের উত্থান এবং এর সাথে জড়িত সাধারণ জঙ্গীদের গড় সামাজিক অবস্থান থেকে।
এই অর্থ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকেও জঙ্গীবাদে উৎসাহিত করতে ব্যবহার হয়েছে।
এর পাশাপাশি তারা একটি ব্যাংকিং সহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে তারা একটা শক্ত ভিত্তিও তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে। এই অর্থনৈতিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তারা সামাজিকভাবে নিজেদের এক শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে গেছে; তাদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগের অন্যতম ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে। বৈদেশিক সহযোগীতার নামে আমাদের দেশের ভেতরে আমরা মৌল চেতনা ধ্বংসের হাতিয়ার ঢুকিয়েছি, স্বাধীনতা বিরোধীতাকারী শক্তি জামাত-শিবিরের পোষক সৌদী আরবকে আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভেবেছি এবং তার ফলও আমরা পেয়েছি, পাচ্ছি, পাবো।
দুই
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের নামে আফগানিস্তান ও ইরাকে হামলা চালিয়েছিল তখন তার মিত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল পাকিস্তান, সৌদী আরব।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রত্যক্ষ বিরোধীতা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদী আরব। কিউবার সাথে পাট রপ্তানি চুক্তির 'অপরাধ' এ ত্রানের জাহাজ আটকে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। স্বাধীনতার পরেও যে তিনটি রাষ্ট্র বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতির ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছিল সেগুলো হচ্ছে পাকিস্তান, সৌদী আরব এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বলা বাহুল্য, এই কাজে সিদ্ধহস্ত মাকিনীদের নেতৃত্ত্বই বরাবর মেনে নিয়েছে অপর দুই রাষ্ট্র, তবে শিশুকাল থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশকে খোঁচানো বন্ধ করেনি তারা। স্বভাবতই আঞ্চলিক আধিপত্য বজায় রাখতে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে ভারতের নাম।
তবে সেটা ভিন্ন আলোচনা এবং অন্য কোন সময় সেটা করা যাবে।
যাই হোক, এই সৌদী আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ শুরু থেকেই বাংলাদেশে চলমান যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরোধীতা করে আসছিল। সরকারের উপর বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল এবং এখনও তাদের অপতৎপরতা
অব্যাহত আছে। বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরাও তাদের প্রোপাগান্ডায় আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের সচেতন করে তোলাটা সময়ের দাবী এবং সকল সচেতন নাগরিকদের দায়িত্ব।
সিদ্ধান্ত আপনার ..... ধর্মের নামে হওয়া সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে রূখে দাড়াবেন না কি, দেখেও না দেখার ভান করবেন। সিদ্ধান্ত নেবার আগে শুধু মনে রাখবেন,
যে বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে আপনি সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন সেই বাংলাদেশের স্বাধীনতায় যারা রক্ত দিয়েছে শহীদ হয়েছে তাদের জীবন ধর্ম রক্ষার নামে 'পেয়ারা পাকিস্তান' রক্ষার নামে নিয়েছিল পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তাদের সামরিক বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দালাল ধর্মীয় মৌলবাদীরা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।