বাংলা আমার জীবনানন্দ বাংলা প্রানের সুখ। আমি একবার দেখি বারবার দেখি দেখি বাংলার মুখ
বাংলাদেশে বসবাসকারী উপজাতীদের মধ্যে চাকমারা সংখ্যাগুরু। তাদের বর্তমান রাজা ব্যরিষ্টার দেবাশীষ রায়। কিন্তু তাদের পূর্বপুরুষ সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি? আসুন জেনে নেই তাদের পূর্বপুরষ সম্পর্কে। অবশ্য কেউ কেউ অবাকও হতে পারেন তাদের পূর্বপুরষদের নাম দেখে।
থাক পরিচিত হই চাকমা রাজাদের সাথে।
(১) ১৭১১ সালের পূর্ব পর্যন্ত চাকমা রাজা ছিলেন রাজা সান্থুয়া (২) ১৭১১ সালে ছিলেন রাজা সান্থুয়ার বড় ছেলে রাজা চন্দন খান। (৩) রাজা সান্থুয়ার ছোট ছেলে রাজা রওন খান ১৭১২ সালে রাজা হন (৪) ১৭১৩ সালে রাজা ছিলেন রাজা কতুয়া (৫) রাজা সান্থুয়ার দৌহিত্র রাজা জালাল বা জল্লিল খান রাজা ছিলেন ১৭১৫ থেকে ১৭২৪ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত। (৬) ১৭২৬ থেকে ১৭৩৬ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজা ছিলেন রাজা জালাল বা জল্লিল খানের ছোট ভাই রাজা ফতেহ খান। (৭) রাজা ফতেহ খানের ছেলে রাজা শেরমস্ত খান ছিলেন ১৭৩৭ সাল থেকে ১৭৫৮ সাল পর্যন্ত।
(৮) ১৭৫৮ থেকে ১৭৬৫ সাল পর্যন্ত রাজা ছিলেন রাজা শেরমস্ত খানের ভাই রাজা শের জব্বর খান। (৯) ১৭৬৫ সাল থেকে ১৭৮২ সাল পর্যন্ত ছিলেন রাজা শের দৌলত খান। তিনি শের জব্বর খানের ছেলে। (১০) রাজা জান বক্শ খান রাজা ছিলেন ১৭৮২ সাল থেকে ১৮০০ সাল পর্যন্ত। তিনি ছিলেন শের দৌলত খানের ছেলে।
(১১) ১৮০০ থেকে ১৮০১ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত ছিলেন রাজা জান বকশ খানের বড় ছেলে রাজা টব্বর খান। (১২) রাজা জান বকশ খানের ছোট ছেলে রাজা জব্বর খান রাজা ছিলেন ১৮০১ সাল থেকে ১৮১২ সাল পর্যন্ত। (১৩) ১৮১২ থেকে ১৮৩২ সাল পর্যন্ত রাজা ছিলেন জব্বর খানের ছেলে রাজা ধরম বকশ খান। (১৪) ১৮৩২ থেকে ১৮৭৩ সাল পর্যন্ত রাজত্ত্ব করেন রানী কালিনদী। তিনি ছিলেন রাজা ধরম বকশ খানের ১ম স্ত্রী।
(১৫) রাজা ধরম বকশ খানের দৌহিত্র রাজা হরিশ্চন্দ্র রায় রাজা ছিলেন ১৮৭৩ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ১৮৮৫ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত। (১৬) ১৮৯৭ থেকে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত রাজা ছিলেন রাজা হরিশচন্দ্রের বড় ছেলে রাজা ভূবন মোহন রায়। (১৭) রাজা নলিনক্ষ রায় রাজা ছিলেন ১৯৩৫ সাল থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত। তিনি ছিলেন ভূবন মোহন রায়ের ছেলে। (১৮) রাজা নলিনাক্ষ রায়ের বড় ছেলে রাজা ত্রিদিব রায় রাজা ছিলেন ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত।
(১৯) রাজা ত্রিদিব রায়ের বড় ছেলে রাজা দেবাশীষ রায় ১৯৭৭ সালে রাজা নির্বাচিত হন এবং এখন পর্যন্ত তিনিই চাকমা রাজা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।